এমন অসংখ্য ছাত্র কিংবা স্টুডেন্ট আছে, যারা চায় ব্যবসায় নিজেদের মনোনিবেশ করতে। এই স্কুল-কলেজ বন্ধে সময়ে, কিংবা করোনা মহামারীর সময় কে নিজের ব্যবসার জন্য কাজে লাগাতে চান। তবে আজকে আমি দশটি দারুন আইডিয়া দিব। যা ছাত্রদের জন্য ব্যবসা করার জন্য বেশ ভালো হবে।
তবে আপনাকে নিজ থেকে সময় ম্যানেজ করে নিতে হবে। যাতে একই সময়ে পড়াশোনা এবং ব্যবসার মাঝে একটি মিল-বন্ধন তৈরি করতে পারেন।
ছাত্রদের জন্য ব্যবসা :
এখানে আমি 14টি ছোট ব্যবসা লিস্ট করে দিয়েছি। যেগুলো ছাত্রদের জন্য ব্যবসা করার দারুণ সব আইডিয়া হতে পারে। যারা বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তাদের জন্য খুব উপকারী দশটি ব্যবসার আইডিয়া। আমি আশা করি আপনি নিজের পছন্দসই ব্যবসা ধারণাটি উপলব্ধি করে নিতে পারেন।
এসব দারুন ধারণা ও আইডিয়াগুলো বিভিন্ন জরিপ পূরণ করার third-party সাইটগুলো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো ছোট পরিসরে করা যায়। যেগুলো ছাত্রদের জন্য ব্যবসা হিসেবে উপযুক্ত। এমনকি ছাত্র এর বয়স 18 বছর হলে, সেও চাইলে এধরনের ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে পারে।
বাংলাদেশ এ সমস্ত ব্যবসার আইডিয়া দারুণভাবে কাজে আসবে। তার কারণ এইসব ব্যবসা এর চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। এ ব্যবসার মধ্যে পদ্ধতি গুলোর মধ্যে কিছু অসাধারণ আইডিয়া দেওয়া হলো।
তবে আপনার জন্য মনে রাখা ভালো যে, এসব ব্যবসার আইডিয়া কোন ব্যবসায়িক প্লেন কিংবা পরিকল্পনার নয়। শুধুমাত্র আমি কিছু ব্যবসায় এর সম্বন্ধে জানাবো। সেগুলো কিভাবে সম্পন্ন করবেন?
এ সম্বন্ধে কোন গাইডলাইন দেয়া হবে না। এসমস্ত ব্যবসার আইডিয়া কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করে নিতে পারেন। এবং ব্যবসায় সফলতা লাভের জন্য অগ্রসর হতে পারেন।
বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য ব্যবসা করার 14টি দারুন পদ্ধতিঃ
1. ব্যক্তিগত টিউশন করার সার্ভিস
এটি কোন ইউনিক ও অসাধারন আইডিয়া নয়। বাংলাদেশের জন্য এটি খুবই সাধারণ। আপনি চাইলে অন্যান্য ছাত্রদেরকে টিউটর করার শুরু করতে পারেন।
টিউশন করানো এর মধ্য দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। এর মাধ্যমে আপনি অন্যকে জ্ঞান বিতরণ করতে পারেন। এবং একইভাবে আপনার জ্ঞানের চর্চা ও ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম হবে।
এসমস্ত অনলাইন টিউশনিকে কাজে লাগিয়ে দারুন সব ব্যবসার আইডিয়া পাওয়া যায়। যেমনঃ আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন। যেখানে আপনি অনলাইন টিউশন এর জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ করে ছাত্রদেরকে এড করাতে পারেন।
এবং সেখানে আপনি টিউশন করানোর বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান করতে পারেন। বিশেষ করে অন্যকে টিউশন ধরিয়ে দিতে পারেন। এর বিনিময়ে ভালো কমিশন নিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, ছাত্রের জন্য আরেকটি অসাধারণ ব্যবসা হলোঃ আপনারা কয়েকজন মিলে রুম ভাড়া নিতে পারেন। তারপর একটি কোচিং সেন্টারে তৈরি করতে পারেন। যদিও এটি সময় বহুল, এমনকি ব্যয়বহুল। তবে এ ধরনের উদ্যোগ পরবর্তীতে দীর্ঘ সময়ের জন্য মুনাফা করার সুযোগ দিবে।
যদি আপনি হন কোন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, কিংবা সিনিয়র ব্যাচের কেউ। তবে কয়েকজন মিলে শহর অঞ্চলে একটি কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে দিন। এমনকি প্রথমদিকে কিছু ছাত্রদেরকে কম টাকার বিনিময়ে পড়ার সুযোগ দিন। আপনাদেত পড়ানোর দক্ষতার উপর নির্ভর করে ধীরে ধীরে কোচিং সেন্টারের নাম ডাক হবে।
2. মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসা
আজ মানুষের হাথে হাথে এবং ঘরে ঘরে smartphone আছে। আর, এই স্মার্টফোন ফোন গুলি খারাপ নিশ্চয়ই হয়। তাই, আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজটি শিখে একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে বসতে পারেন তাহলে আপনি অনেকটাই কমিয়ে নিতে পারবেন। কারণ, মানুষ মোবাইল কিনবের আর মোবাইল যিহেতু একটা electronic তাই ও খারাপ হবেই এবং মানুষ আপনার কাছে আসবেই।
3. বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ইভেন্ট প্ল্যান ও যাবতীয় কাজ সম্পাদন।
কোন ইভেন্ট নিয়ে পরিকল্পনা করা বাংলাদেশে সাধারন প্রফেশন নয়। কিন্তু এটি দিনদিন খুব জনপ্রিয় হচ্ছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ছাত্রদের পার্টি, জন্মদিন, অন্যান্য আনন্দ উৎসবে একজন অর্গানাইজার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
যারা ডেকোরেশন, পাশাপাশি প্রফেশনালি পুরো অনুষ্ঠানটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কোন বড় অনুষ্ঠান, আনন্দ-উৎসব সমগ্র কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাবতীয় কাজ গুলো সম্পাদন করে দিলেন। এতে করে আপনার cost- প্রাইস অনেক বেশি হবে। এমনকি ইনকাম হবে প্রচুর।
4. সেকেন্ডহ্যান্ড বই বিক্রিঃ
আমরা সবাই জানি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বই গুলোর দাম অনেক বেশি। এজন্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যা করে তা হলোঃ একটি নির্দিষ্ট সেমিস্টারের জন্য পুরাতন বইগুলো ক্রয় করে নেয়।
আপনি নিজের পুরাতন বই বিক্রয় করতে পারেন। এর মধ্যেও কিছু আয় হবে।
5. পুরাতন সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইল ও পণ্য বিক্রয়।
আপনি চাইলে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন বিক্রি করা শুরু করতে পারেন। নিজস্ব কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। সেখানে ফোন কিংবা বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় হবে।
কেননা অনেকেই আছে যারা নিজস্ব সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন বিক্রি করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ে। এর মধ্য দিয়ে নিজেও সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
দ্বিতীয়তঃ অন্যান্যদের পুরাতন ফোন বিক্রির মাধ্যমে সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে, নিজের ড্রপ শিপিং বিজনেস শুরু করতে পারেন। এমনকি এর মাধ্যমে টাকাও বেশ উপার্জন হবে।
6. ব্লগিং করা শুরু করুন।
নিজের কোনো ব্যক্তিগত ব্লগিং সাইট তৈরী করা মোটেও খারাপ কোনো আইডিয়া নয়। নিজের কোনো ব্লগিং ওয়েবসাইট লেখালেখির মাধ্যমে, ভিজিটর কালেক্ট করতে পারলে, সেখান থেকেও প্রচুর ইনকাম হবে।
আপনি বিভিন্ন টপিকস এর উপর লেখালেখি করতে পারেন। যেটা বর্তমানে ব্যাপক ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। যদি সে মোতাবেক ভালো ভিজিটর নিতে পারেন, তবে সেগুলোকে মনিটাইজ করিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
7. একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিন।
ঠিক ব্লগিং এর মত আরেকটি উপায় হলো ইউটিউবিং। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী, ছেলে-মেয়ে, নারী-পুরুষ সকলেই ইউটিউব এর মাধ্যমে ব্যাপক ইনকাম করছে। বাংলাদেশে ইউটিউব এর পরিসর পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে গেছে।
যদি আপনি অনলাইনে পড়াতে চান, তবে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। শিক্ষা নিয়ে তৈরি ইউটিউব চ্যানেলের ব্যাপক কদর আছে।বিভিন্ন ভিডিও-টিউটরিয়াল কিংবা এন্টারটেইনমেন্ট ধরনের ভিডিও তৈরী করে আপলোড করা যাবে।
এতে করে নির্দিষ্ট অডিয়েন্স কালেক্ট করে নিতে পারলে, সেগুলোকে মজিটাইজ করিয়ে খুব ইনকাম করা যায়। ইউটিউবে ভিউয়ারদের মনিটাইজ করাতে, চ্যানেল মনিটাইজ করাতে google adsense এর সাহায্য নিতে হয়।
8. ফ্রীল্যান্সার লেখক।
আমি ধরে নিলাম, আপনার লেখালেখির বিষয়ে খুব আগ্রহ আছে। তাহলে কোন কিছু না দেখে ফ্রিল্যান্স রাইটার অর্থাৎ লেখক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। এর জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট, যেমনঃ upwork.com, fiverr এগুলোতে প্রফেশনাল কাজ করতে পারেন।
তা না হলে কিছু বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারেন। যেমনঃ blancer, bwmshop.com ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করলে খুব দ্রুত সময়ে টাকা ইনকাম করা যায় না। তার জন্য সময়, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে।
9. SEO করা শুরু করুন।
স্টুডেন্টদের জন্য, ছাত্রদের জন্য ব্যবসা করার ভাল আইডিয়া হলো এসইও এক্সপার্ট হয়ে কাজ করা। এসইও সম্বন্ধে না জানলে এ সম্বন্ধে পূর্ব-অভিজ্ঞতা ও এক্সপেরিয়েন্স সংগ্রহ করে নিন।
SEO সম্বন্ধে পড়াশোনা করে, ভালোভাবে কোর্স নিন। তারপর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ ভালোমতো রপ্ত করতে হবে। আর এ জ্ঞান ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
একজন এসইও এক্সপার্ট এর ইনকাম মাসিক লক্ষাধিক পর্যন্ত যায়। আপনি চাইলে এসইও সেটআপ, কিংবা সার্চ ইঞ্জিন ইভুলেটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে এসইও এক্সপার্টদের ডিমান্ড খুব বেশি।
যেকোন একটি ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো SEO করাতে পারলে ব্যাপক ইনকাম করা যায়। এর জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটঃ ফাইবার অথবা বাংলাদেশী ওয়েবসাইট bwmshop এ কাজ করা যায়।
আপনাকে গুগলের এসইও করাতে হবে। গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর Term মাথায় রেখে লাগাতার একটি কন্টেন্ট র্যাংক করানোর জন্য কাজ করে যেতে হবে। এ সম্বন্ধে ভালোমতো পড়াশোনা, কোর্স কমপ্লিট করলে, ভালো জ্ঞান রপ্ত করতে পারবেন।
তাছাড়া 1 থেকে 2 বছরের এক্সপেরিয়েন্স এর প্রয়োজন আছে। আপনি এসইও নিয়ে ইউটিউবে কিছু বেসিক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। অ্যাডভান্স tutorial's নিতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন। যেমনঃ উদেমি কিংবা বড় বড় ওয়েবসাইট থেকে কোর্স কমপ্লিট করে নিতে পারেন।
10. নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক প্রজেক্ট instructor হয়ে কাজ করুন।
আপনি কি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র? এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন প্রজেক্ট ডেভেলপিং এর বিশেষ অভিজ্ঞতা আছে? তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রজেক্টে সাহায্য করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।
যেমন ধরুনঃ বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল প্রজেক্ট, ম্যানেজমেন্ট, একাউন্টিং প্রজেক্টে ডেভেলপিং করে সেখান থেকে আয় করা যায়।
তাছাড়া ছাত্রদের জন্য কিছু ইন্টারনেট বেসড ব্যবসার দারুন আইডিয়া আছে। একেকটি স্টার্টআপ বেশ ভালো। মুনাফা ও কমিশন অর্জন করার জন্য যথেষ্ট।
11. নিজের ই-কমার্স ওয়েব স্টোর তৈরি করুন।
আপনি কয়েক হাজার টাকা ইনভেস্ট করে একটি ভালো ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যেটির মালিকানা আপনি নিজের কাছে থাকবে।
পরবর্তীতে এর মার্কেটিং করানো অনেক বেশি জরুরী হবে। যদি সে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ক্রেতা এবং বিক্রেতা চান তবে।
যে কেউ সেখানে নিজের প্রোডাক্ট সার্ভিস সেল করতে পারবে। তবে সেটি সেল করার পরিবর্তে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কিছু কমিশন বরাদ্দ রাখবেন। এতে করে সেখান থেকে প্রতিটি সেল কিংবা বিক্রয় কার্য সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তীতে নিজে কমিশন পাবেন। সে কমিশন আপনার টাকা ইনকামের সোর্স হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন।
তাছাড়া একসময় সেই ই কমার্স ওয়েবসাইট এর ড্রপশিপিং ব্যাপারে নজর দিতে হবে। তার জন্য অবশ্যই ওই কমিশন কিংবা আলাদা চার্জ এড করতে পারেন। যখন কোনো একটি পণ্য সরাসরি ডেলিভারি করা হবে, তখন shiping চার্জ প্রযোজ্য হবে।
12. এফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুব দারুণ ছাত্রদের জন্য ব্যবসায়েরর পদ্ধতি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য পুরো একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে পারেন। আপনাদের আশেপাশে কেউ যদি কোনো একটি পন্য যেকোনো ই-কমার্স স্টোর থেকে ক্রয় করে।
তবে সেদিক থেকে যেন সে আপনার এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে ক্রয় করে। এবং একজনের প্রয়োজনে অপরজন এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে পণ্য ক্রয় করবেন।
তাছাড়া নিজস্ব একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করলে মন্দ হয় না। কয়েকজন ছাত্র মিলে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। সে ব্লগের আর্টিকেলগুলোতে সরাসরি এডভার্টাইজিং করিয়ে পেইড ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন।
কেননা এফিলিয়েট ব্লগে পেইড ট্রাফিক বেশ কাজের। এবং যেহেতু কাউকে পন্য ক্রয় করতে পারলেই ভালোমতো কমিশন পাবেন। এজন্য সরাসরি আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারেন। এমনকি ইংরেজিতে ব্লগিং করা শুরু করতে পারেন।
13. Ice-cream parlor এর দোকান
আজকাল অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া ভোরে রয়েছে। সেরকম একটা ছোট ব্যবসা হলো ice-cream parlor এর দোকান দেওয়া। হে আপ্নে ঠিক শুনেছেন। আজকাল মানুষ নিজের কাজ কর্ম এবং পড়া-শোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে থাকে। তাই, লোকেরা ice-cream parlor এর মতো খোলা মেলা জায়গা ভালো বাসেন যেখানে অল্প সময় বোসে তারা নিজের মাথা এবং মন তাজা (fresh) করতে পারে।
14. কন্টেন্ট লেখালেখি ও মার্কেটিং
বর্তমান মার্কেটে অরিজিনাল কনটেন্টের খুব বেশি কদর আছে। নিজের কনটেন্ট মার্কেটিং এরদিকে নজর রাখেন। বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ হয়ে কাজ করতে পারেন। যেমন B2B, B2C ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের ব্লগে কোন একটি পণ্যের মার্কেটিং করতে পারলে, প্রতি ঘন্টায় 20 থেকে 30 ইউরো সহজে ইনকাম করে নেয়া যায়। এর জন্য আপনি essay, e-book, আর্টিকেল লেখালেখি করতে পারেন।
15. প্রিন্টিং স্টোর
শিক্ষা জীবনে কম পুঁজিতে কি ব্যবসা করা যেতে পারে, তাহলে xerox এবং printing এর দোকান দেয়ার কথা আপনি ভাবতে পারেন। প্রিন্টিং স্টোর বর্তমানের অনেক লাভজনক। আজকাল লোকেরা ছোট খাটো থেকে বড়ো বড়ো কাজে xerox এবং প্রিন্টিং এর দোকান খোঁজে। স্কুলের বাচ্চাদের এবং অফিসে কাজ করা লোকেদের অনেক রকমের project থাকে এবং তারা দোকানে গিয়ে নিজেদের বানানো project print করেন।
16. ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট।
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর পরিসর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারদের একটি অন্যতম জব হল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেকোনো একটি ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সার্ভিস প্রদান করা সাপোর্ট প্রদান, ইমেইলের রিপ্লে দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করা, অনলাইন শপিং এর সহায়তা করা এসবে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করে।
অন্যান্যদের অনলাইনে সাহায্য করে নিজেই একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এবং এর মাধ্যমে ভালো ইনকাম করা যাবে। তার জন্য শুধুমাত্র ইন্টারনেট কানেকশন, একটি ল্যাপটপ প্রয়োজন। পরবর্তীতে ঘরে বসেই কাজ করতে পারেন।
17. ফাস্টফুড ব্যবসা
শিক্ষা জীবনে আপনারা কয়েকজন বন্ধু মিলে শুরু করতে পারেন। আজকাল লোকেরা বাইরে tasty বা স্বাদের খাবার (fast food) খেয়ে অনেক ভালোবাসে। তাই, এই fast food এর ব্যবসা আজকাল অনেকটাই লাভজনক এবং কম টাকা দিয়ে আপনি আরম্ভ করতে পারবেন।
18. ট্রাভেল এজেন্ট। ছাত্রদের জন্য ব্যবসা
আপনি যদি গ্রীষ্মকালে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ উপভোগ করেন। যখন বেশিরভাগ স্কুল বন্ধ থাকে, তাহলে কেন আপনার সাথে আরও বেশি ছাত্রছাত্রী আনার মাধ্যমে ব্যবসা করবেন না? আপনি অন্যান্য উৎসবে ইভেন্ট ভ্রমণের আয়োজন করতে পারেন।
এবং আপনার সহ-শিক্ষার্থীদের কাছে প্রিমিয়াম টিকিট বিক্রি করে, ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারেন। কিছুটা টিকিট বিক্রির এফিলিয়েট এর মতো। এটি একটি ভাল চুক্তি, যে কোনও কলেজছাত্র স্টার্টআপ ব্যবসা হিসাবে কাজ করতে পারেন।
19. ভিডিও এডিটিং
বর্তমানে অনেক ছেলেমেয়ে ভিডিও করে অনেক টাকা উপার্জন করছে। তবে ভিডিও এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে এডিটিং। যে ভিডিও এডিটিং ভালো হয়, সেই ভিডিও দেখতে অনেক ভালো লাগে। বর্তমানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ ভিডিও এডিটিং প্রয়োজন হয়।
তাছাড়া অনেকে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও এডিটিং করে থাকে। আরে সকাল ভিডিও হাজার হাজার মানুষ দেখে থাকে। আর আপনি যদি এডসেন্স পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
20. আইটি বিজনেস :
ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে আইটি প্রতিষ্ঠান চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এবং এই চাহিদা আগামী ১০ বছরের মধ্যে তিনগুণ হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা এবং আমাদের মতে , ২০২২ সালে এই সেক্টরে কাজ প্রতিষ্ঠা করলে ভবিষ্যতে আরো লাভবান হওয়া যাবে।
21. ক্রাফটিং ব্যবসা
বর্তমানে কাগজ কেটে বিভিন্ন জিনিস বানানো মানুষের শখে পরিণত হয়েছে। আর কাগজ কেটে ফুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস বানানো যায়। বর্তমানে প্রতিটি স্কুলে ক্রাফটিং শেখানো হয়ে থাকে। আমার পরিচিত একজন ক্রাফটিং করে ভালো টাকা উপার্জন করছে।
কাপটেন করে বানানো জিনিস সাধারণত জন্মদিন ও বিয়ের অনুষ্ঠানে ভালো চাহিদা থাকে। আমি আমার অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এই ইউনিক গুণটি দেখেছি। তাই আপনি চাইলে মার্কেটপ্লেসে এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
পরিশেষেঃ
এসমস্ত ব্যবসার ধরন বিশেষ করে ছাত্রদের জন্য। আপনারা যারা বাংলাদেশে বসবাস করছেন তাদের জন্য। এই সকল ছাত্রদের জন্য ব্যবসা আইডিয়া ব্যাপক কার্যকর। এজন্য আপনাকে খুব বেশি ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন নেই।
ছাত্র অবস্থায় আয় করুন অনলাইনে।
খুব ছোট পরিসরে ইনভেস্ট করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু তার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এবং টাকা ইনকাম করার জন্য কিছুটা বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োজন আছে।