আজকে জানবো, বাংলাদেশে গেম খেলে প্রতিদিন 60 থেকে 200 ডলার আয়। যেহেতু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলছি। সেহেতু যেসকল সাম্প্রতিক ট্রেন্ডিং গেম আছে, সেগুলো কে উল্লেখ করব। এবং এগুলোর মাধ্যমে কিভাবে উপার্জন করা যাবে? তাও বলবো।
বাংলাদেশে কোন গেম খেলে প্রতিদিন 60 থেকে 200 ডলার আয় হয়?
গেম খেলে ডলার করা আসলেই মিথ্যে কোন বিষয় নয়। অনেক গেমার, লাইভ স্ট্রিমার এমনকি ইউটিউবার আছেন। যারা গেম খেলে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছেন। তার মধ্যে যদি বিশ্বের দ্বিতীয় বড় ইউটিউবার কে ধরে নেই, এবং বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে বেশি উপার্জন করা ইউটিউবারকে উল্লেখ করি তাহলে মোটেও ভুল হবেনা।
তাছাড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইউটিউবার মিস্টার ত্রিপল আরকে(Mr. Triple R) কে ধরে নিলেও ভুল হবেনা। কারণ তিনি ইউটিউবিং করে, গেম খেলে বিপুল পরিমাণে টাকা উপার্জন করছেন। মূল আলোচনায় আবারো ফিরে আসি। গেম খেলে উপার্জন বলতে বা গেম খেলা টাকা আয় বলতে কি বুঝাচ্ছি?
অনলাইন দুনিয়ায় এমন অসংখ্য গেমস আছে। যেগুলোর জনপ্রিয়তা তুমুল। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে গেম খেলা টাকা আয় করা যায়। গেম খেলে আয় করার কতগুলো পদ্ধতির মধ্যে আছেঃ
- ব্লগে লেখালেখি করে উপার্জন।
- বিভিন্ন গেম তৈরি করে উপার্জন।
- অনলাইন ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে টাকা আয় করা যায়।
কাজেই পড়ূন,
একইভাবে গেমমের বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্রোডাক্ট; যেমনঃ ডায়মন্ড, জেমস বিক্রয় করে উপার্জন করা সম্ভব। এগুলো গেম খেলে আয় করার সহজ উপায়। তাছাড়া যদি বলি গেম খেলে আমরা কনটেস্ট অংশগ্রহণ করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারি।
বাংলাদেশে ইনকাম করা যায় গেমিং সাইটঃ
কিছু কিছু টুর্নামেন্ট বা কনটেস্ট টাইপের ওয়েবসাইট আছে। যেগুলোতে ছোটখাটো গেম; যেমনঃ লুডু খেলে উপার্জন করা যায়। এগুলো বাংলাদেশি সকল ট্রেন্ডিং গেম খেলে উপার্জন করার ভালো উপায়। এখন চলুন জানি যে, গেম খেলে প্রতিদিন 60 থেকে 200 ডলার আয় করা মোটেও কঠিন না
একটা কথা বলি কি লুডু, দাবা এসব যেমন-তেমন গেম খেলে বেশি আয় করা যাবে না। যেমন, আপনি চাইলে লুডু অথবা অনলাইনে দাবা খেলে বিপুল পরিমাণ উপার্জন করতে পারেন না।
কারণ এগুলো ছোটখাটো গেম। এগুলোর জনপ্রিয়তা খুবই কম। অপরদিকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠা ফ্রী ফায়ার, পাবজি অথবা মোবাইল লিজেন্ডস, ক্লাশ অফ ক্লানস এগুলো থেকে ভালো উপার্জন করা যাবে।
টাকা ইনকাম করার গেম
আমরা কেনই বা বিদেশী ইউটিউবারদেরকে টেনে আনছি, যেখানে গেম খেলে বাংলাদেশী ইউটিউবাররা আয় করছে। সে দিক বিবেচনায় রেখে, যে সকল গেম খেলে বেশি বেশি উপার্জন করা যায়; তার লিস্ট ও বিবরণ নিচে দেয়া হল।
১। ফ্রী ফায়ার(Garena Free Fire)
ফ্রী ফায়ার বাংলাদেশের একটি মাল্টিপ্লেয়ার ব্যাটেলিয়ান গেম। এটি হচ্ছে বর্তমান পুরো পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন গেম। আপনি জানলে অবাক হবেন, প্লেস্টোরে এই গেমসটি বর্তমান ডাউনলোডস প্রায় 1 বিলিয়ন।
কাজেই অডিয়েন্সের সংখ্যা অনেক বেশি। এর জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে নয়, বরং দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে এ গেমের ইউজার, ব্যবহার ও গেমের খেলোয়াড় এত বেশি যে; ফ্রী ফায়ারে বাংলাদেশের নিজস্ব সার্ভার আছে। ফ্রী ফায়ার গেম খেলে সবচেয়ে বড় ইউটিউবার রয়েছেন ভারতের Total Gaming। গেম খেলে সহজেই প্রতিদিন 60 থেকে 200 ডলার আয় করা সম্ভব
ভারতীয় সকল ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল আছে। তাছাড়া ফ্রী ফায়ার এ ডায়মন্ড টপ আপ নিয়ে বড় বড় ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে Free Fire BD নামক বাংলাদেশী ওয়েবসাইট আছে। যেখানে ডায়মন্ড টপ আপ দেয়া হয়। তাছাড়া কোডা শপ ডায়মন্ড টপ আপ সেন্টার।
ফ্রিফায়ার ডায়মন্ড টপ আপ থেকে কোডাশপ প্রায় 15% উপার্জন নেয়। এছাড়া ফ্রী ফায়ারে ডায়মন্ড টপ আপ নিয়ে কিছু কিছু ফেসবুক পেজ মাসিক হাজার হাজার, এমনমি লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছে।
ফ্রী ফায়ার গেম খেলে টাকা আয়ঃ
১। ব্লগিং ও গেমিং গাইডলাইন লেখালেখিঃ
ফ্রী ফায়ার বিষয়ে ব্লগিং ও টিউটোরিয়াল এমনকি গাইডলাইম অনেক বেশি জনপ্রিয়। আপনি গুগলে গিয়ে এ বিষয়ে বিভিন্ন সার্চ রেজাল্ট ও কিওয়ার্ড দেখতে পাবেন। সেগুলো সম্বন্ধে ব্লগিং করলে, গেম সম্পর্কে আপনারা ভালো অভিজ্ঞতা তুলে ধরলে ব্যাপক ভিজিটর পাওয়া যাবে।
ঠিক এই টপিকের উপর একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন। পরবর্তীতে ব্লগ সাইটে অডিয়েন্স খুঁজতে তেমন সমস্যা হবে না। প্রথমত বিভিন্ন গেমিং সাইট থেকে অডিয়েন্স পাবেন। বিশেষ করে ফ্রী ফায়ার এর বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাবেন। যেমনঃ লিঙ্কডইন (LinkedIn), টুইটার(Twitter) এমনকি ইনস্টাগ্রামের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। সে সকলের কে আপনি চাইলে এডসেন্সের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন।
পড়ুনঃ
আপনারা হয়তো জানেন যে, গুগল এডসেন্স এড নেটওয়ার্ক সাইট, গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে এড শো করানো যায়। সেই এড শো করার পরিবর্তে আপনি বিপুল পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া গুগোল ব্লগারে( Blogger) একটি ফ্রী ব্লগ সাইট খুলে, লেখালেখি করে পরবর্তীতে অ্যাডসেন্স মনিটাইজ করে উপার্জন করতে পারবেন।
পড়ুনঃ
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন ও শিখুন।
- ৫০০০ টাকার মধ্যে ৪জি মোবাইল।
- জিপি থেকে এমবি ট্রান্সফার করার নিয়ম।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, ব্লগসাইটে গেমিং টপিকে সহজেই তৈরি ব্লগ করা যায়। আমার কয়েকটি ব্লগে ফ্রী ফায়ার নিয়ে আর্টিকেল লিখেছি। ওখানে ভালো ভিজিটর আসে। বাংলাদেশে ফ্রী ফায়ার-এর অডিয়েন্সের পরিমাণ বেশি। কাজেই আপনাকে ভিজিটর নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত হতে হবে না। ভালোমতো মার্কেটিং করালে এই বিপুল পরিমান ভিজিটর পাবেন।
২। ফ্রী ফায়ার গেমিং ইউটিউব চ্যানেল খুলুন (YouTube)
ফ্রী ফায়ার এর মাধ্যমে উপার্জন করে উপার্জন করার আরেকটি উপায় ইউটিউবিং। ইউটিউবে এ রিলেটেড এন্টারটেইনমেন্ট করে ভালো উপার্জন আসবে। তাছাড়া ফ্রী ফায়ার নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুললে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
পড়ুনঃ
প্রথমত ফ্রি ফায়ারে ইউটিউব এর দিক দিয়ে ভালো গেমপ্লে তেমন একটা বিষয় নয়। কারণ ভালো গেম খেলা দেখে কেউ অতটা আনন্দ পায় না। যেমনটা ফ্রী ফায়ারের বিভিন্ন কৌতুক, হাস্যজ্জল ভিডিও তৈরি করলে এন্টারটেইনমেন্ট পাওয়া যায়।
আপনি ছোটখাটো একটি টিম বানিয়ে ফ্রী ফায়ারের বিভিন্ন ক্যারেক্টার নিয়ে অভিনয় করে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। অথবা ফ্রী ফায়ারে বিভিন্ন হাসির বিষয় গুলোকে নিয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
কিংবা ফ্রী ফায়ার এর ভিতরে ঢুকে বিভিন্ন ট্রল নিয়ে এন্টারটেনমেন্ট ভিডিও পাব্লিস করতে পারেন। এতে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার চান্স বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে ভালো পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার পাওয়া কোনো বিষয় নয়। আপনি কত ভালো গেমপ্লে করেন সেটা বিষয় না। আপনি কতটা এন্টারটেইনমেন্ট দিতে পারছেন, সেটাই মূল বিষয়।
দেখুন, ফ্রি ফায়ারের যেসকল অডিয়েন্স আছে, তারা ফ্রী ফায়ার বিষয়ক এন্টারটেইনমেন্ট নিতে বেশি উপভোগ করে। কারণ তারা ফ্রী ফায়ার কে খুব বেশি ভালোবাসে।
আপনি দেখবেন ছোট ছোট ছেলেথেকে শুরু করে 25 থেকে 30 বছর বয়সীরাও ফ্রী ফায়ার কে বেশ পছন্দ করে। এবং গেমটি একসাথে বসে খেলে।
৩। ফ্রী ফায়ার নিয়ে টিউটোরিয়াল তৈরিঃ
ফ্রী ফায়ার টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করাও অনলাইনে আয় করার জন্য ভালো উপায় হবে। এমনকি যে পরিমাণে ফ্রী ফায়ার-এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে, আপনি চাইলে সে টিউটোরিয়াল তৈরি করে নিতে পারবেন।
টিউটোরিয়ালটি অন্যান্যরা ক্রয় করে নিবে। তবে টিউটোরিয়ালটি চাইবেন যাতে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই চলে। বাংলা ভার্সনে তেমন বেশি লাভ হবে না। কারণ বাংলাদেশিরা কোনভাবেই গেমপ্লে টিউটোরিয়াল দেখতে চাইবে না।
তাছাড়া বিদেশি ওয়েবসাইটে গেমপ্লে নিয়ে বিভিন্ন টিউটোরিয়ালের ব্যাপক চাহিদা থাকে। পেইড গেমিং টিউটোরিয়ালের জন্য নিজের ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। অথবা গেমিং ফোরামে এবিষয়ে দেখতে পারেন।
৪। ফ্রী ফায়ার টপ আপ বিজনেসঃ
ফ্রী ফায়ারে ডায়মন্ড সেল করে উপার্জন করা যায়। ডায়মন্ড টপ বিজনেস নিয়ে আমি ছোটখাটো একটি আংশিক লেখা লিখেছিলাম। আমার নিজের একটি ব্লগে। সেই ব্লগটি নিচে দেখুন। এবং পড়ে নিন। সেখানে আপনি ডায়মন্ড টপ আপ বিজনেস কিভাবে করবেন, পাশাপাশি ভালো উপার্জন করবেন; তা নিয়ে বিভিন্ন টিপস এবং গাইডলাইন দিয়েছি।
পড়ুনঃ
ডায়মন্ড টপ আপ বিজনেসের জন্য আপনার লোক্যাল জায়গাগুলোতে খবর রাখতে হবে। যে সকল ফ্রী ফায়ার গেমার আছে তারা সবাই কমবেশি ডায়মন্ড টপ আপ করার জন্য অর্থ খরচ করে। তাদের ডায়মন্ড গুলো টপআপ করালে।
প্রতি 100 টাকায় 5-10 টাকা করে লাভ হবে। এভাবে যত বড় বড় দামের ডায়মন্ড টপ আপ করে দিবেন, তত বেশি উপার্জন হবে।
পড়ুনঃ
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন ও শিখুন।
- ৫০০০ টাকার মধ্যে ৪জি মোবাইল।
- জিপি থেকে এমবি ট্রান্সফার করার নিয়ম।
পরবর্তীতে যখন এ ব্যবসা ভালো পরিসরে চলবে। নিজস্ব ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরি করতে পারবেন। গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে নিলে ভালো পরিমাণে উপার্জন করা যাবে।
ফ্রী ফায়ার পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম চালু আছে। সেখানে জয়েন দিয়ে ইউটিউবার ও টিকটকাররাও বেশ সুবিধা নিচ্ছে।
৫। বড় বড় টুর্নামেন্টে অংশ নিনঃ
ফ্রী ফায়ার নিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, যেমনঃ Khelghor এসবে রেগুলার টুর্নামেন্ট হয়। সেখান থেকে প্রতি টুর্নামেন্টে প্রাইস মানি ১০০-৫০০ পর্যন্ত বা এরও বেশি উপার্জন করা যায়। এছাড়াও বড় বড় ফ্রী ফায়ার টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ১০০০০-১০০০০০ পর্যন্ত প্রাইস মানি জিতে নেয়া যায়।
2. পাব্জি (Pubg Mobile): গেম খেলে প্রতিদিন 60 থেকে 200 ডলার আয়
পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার উভয়কেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। যেহেত ফ্রী ফায়ার একটি পপুলার গেম, সেহেতু ফ্রী ফায়ার পাবজি তুলনায় খাটো করে দেখাও চলবে না। অপরদিকে পাবজি একটি কোয়ালিটিফুল আল্ট্রা গ্রাফিক্সের এন্ড্রয়েড গেম। যার চাহিদা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক, তাই একেও কম গুরুত্ব দেওয়া উচিত হবে না।
বাংলাদেশ পাবজি ইউজারদের তুলনায় ফ্রী ফায়ার গেম এর ইউজার সংখ্যা বেশি। তবে পাবজি বিদেশেও খুবই জনপ্রিয়। সেগুলো থেকে ইন্টারন্যাশনাল অডিয়েন্স নেয়া যায়। আপনি একই উপায়ে ব্যবহার করে অর্থাৎ ব্লগিং এবং ইউটিউব থেকে উপার্জন করতে পারেন।
তবে পাবজি তে বিশেষ করে কনটেস্ট ও টুর্নামেন্টও বেশি হয়। যেখান থেকে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করা যাবে। বাংলাদেশের স্কোয়াড আছে, যেগুলো বড় বড় বড় টুর্নামেন্ট ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এবং অংশ নিয়ে ভালো উপার্জন করছে।
এখন এই টুর্নামেন্ট শুধু যে ইন্টারন্যাশনাল হয়, তা কিন্তু না। বাংলাদেশের বিভিন্ন ওয়েবসাইট, যেমন কিছুদিন আগে রবি সিম কোম্পানি নিজেরাই এই নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট এনেছিল।
তাছাড়া কিছু অ্যাপ্লিকেশন আছে যেখানে প্রতিনিয়ত 100 টাকা থেকে শুরু করে 500 টাকা পর্যন্ত প্রাইস মানি রেখে পাবজি ফ্রী ফায়ার টুর্নামেন্ট রাখা হয়। যদি আপনার গেমপ্লে ভালো হয়, এইখানে ভালো খেলতে পারেন, তবে সে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে উপার্জন করতে পারেন। অ্যাপ্লিকেশনটির নাম হল khelaghor, MPL।
পাবজি রিলেটেড ব্লগ কিংবা টিউটোরিয়াল ও গাইডলাইন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায়। পুরো ইন্টারনেটজুড়ে ইংরেজি ভার্সন একটি সুন্দর টিউটিরিয়াল কিংবা গাইড লাইন লিখে আয় করা যায়। বিভিন্ন ফোরাম সাইট যেকোনো গেমিং ফোরাম সাইটে এ রিলেটেড বেশি ভিজিটর পাবেন। গেম খেলে প্রতিদিন 60 থেকে 200 ডলার আয় করা জানুন।
পড়ুনঃ
পাবজি তে ভার্চুয়াল ক্রেডিট হিসেবে আছে ইউ সি ( UC)। ইউ সি এর প্রাইস/মূল্য খুব বেশি। ফ্রী ফায়ার থেকে যারা প্রফেশনালি ইউ সি বিক্রয় করেন, ব্যবসা করেন, তারা প্রতি 100 টাকায় 10 থেকে 20 টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।
বাংলাদেশে পাবজি ইউসি ক্রয়ে ফ্রী ফায়ার ডায়মন্ড টপ আপ থেকে বেশি করে উপার্জন হয়। সেদিক থেকে ভালো এমাউন্টের অডিয়েন্স নিতে পারলে আপনার ব্যবসা আকাশ চূড়ায় উঠবে। যদি আপনি গেমিং ক্রেডিট সেল করা নিয়ে কোনো ব্যবসা শুরু করেন। তবে অবশ্যই পাবজি গেম টি কে অন্তর্ভুক্ত রাখবেন।
3. মোবাইল লিজেন্ডস (Mobile Legends Bang Bang)
মোবাইল লিজেন্ড গেমটি বাংলাদেশ উঁঠতি পপুলারিটি পাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশে এখনো পাবজি, ফ্রী ফায়ার এর মত জনপ্রিয় হয়নি। তবে এ গেমটি অন্তর্ভুক্ত রাখার কারণঃ যে সমস্ত খেলোয়াড় এ গেম খেলে থাকে তারা অনেকটা এ গেমে আসক্তের মতোই।
কারণ যে সকল Battle Arena গেম গুলো আছে, সেগুলোতে গেইমাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আসক্ত হয়ে যায়। যেমন ধরুন, League of Legends, Mobile legends এন্ড্রয়েড গেম করা হয়েছে। এ গেমগুলো ভারতে ব্যানড। তাও এখন নয়; বেশ কিছু বছর আগে। তার কারণ, এই গেমগুলোর আসক্তি অনেক বেশি।
যারা প্রফেশনালি খেলে, কিংবা ভালো পরিমাণে খেলে, তারা প্রতিনিয়ত এ গেমসে ডায়মন্ড টপ আপ করে। কাজেই এখানে বড় সুযোগ চলে এল। এখানে ডায়মন্ড টপ আপ বিজনেস তৈরি করা যায়। আপনি এ রিলেটেড ডায়মন্ড টপ আপ ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন।
এখানে প্রতি হাজারে 100 টাকা লাভ নেওয়া যাবে। তবে Mobile Legends ব্যাপক অডিয়েন্স আসবে। আর তাদের গেমে ডায়মন্ডের মূল্য কম নয়, যথেষ্ট বেশি।
সেখানথেকে লাভ নেওয়ার চান্স বেশি থেকে যায়। মোবাইল লিজেন্ডস একটি ইন্টার্নেশনাল গেম। যেটা খেয়াল করা যাচ্ছে যে, গেমটি উঠতি পপুলারিটি বেশ ভালো। এবং একসময় এর জনপ্রিয়তা শীর্ষে উঠে যাবে। এর নিজস্ব বড় বড় ইন্দোনেশিয়া সার্ভার আছে। বর্তমানে এগেমের বাংলাদেশী সার্ভারও রয়েছে।
এখানে বাংলাদেশী কোনো বড় ইউটিউবার নেই। তবে বড় বড় ওয়েবসাইট আছে। যেগুলোতে মনিটাইজেশন করছে। আপনি চাইলে একটি ব্লগ সাইট খুলে এ রিলেটেড বিভিন্ন ব্লগ লিখে অবশ্যই আয় করতে পারবেন। কারণ বাংলাদেশে তেমন একটা এ গেম রিলেটেড ব্লগসাইট নেই।
আর যদি কোনও একটি বাংলা ব্লগ সাইট খোলা যায়, তবে অবশ্যই এটি একটি যুগান্তকারী ধারণা হবে। কারণ বাংলাদেশি ভিজিটররা এ রিলেটেড কোন ব্লগ কিংবা গাইডলাইন টিউটোরিয়াল নিয়ে কোন ব্লগসাইট পায়নি।
যদি আপনার ব্লগসাইট ভালোমতো মার্কেটিং করাতে পারেন, তবে ঐ সমস্ত মোবাইল লিজেন্ডস প্লেয়ার আপনার ব্লগে এসে নিয়মিত পড়বে।
তার কারণ তারা হয়তো এমন একটি অনলাইন সাইট খুঁজছে৷ কারণ বাংলাদেশী তেমন কোনো এ রিলেটেড ব্লগ সাইট নেই, যেখানে মোবাইল লিজেন্ড কিংবা এ সমস্ত গেম নিয়ে কোন ধরনের টিউটোরিয়াল লিখা হয়। তো এত টুকু তো বুঝলেনই।
শেষকথাঃ
তো এই গেল বাংলাদেশি কিছু ব্যাপক জনপ্রিয় গেম গুলো থেকে উপার্জন করা নিয়ে।"টাকা ইনকাম করার গেম গুলো কি কি" তা জানলাম। একটি গেম খেলে এর থেকে বিভিন্ন উপায় খুজে নেয়া যায় উপার্জন করার। শুধুমাত্র এর সফল ব্যবহারই এর জন্য প্রযোজ্য। ভালো থাকবেন। খোদা-হাফেজ। পড়ুনঃ