যদি এমনটা হয় যে, ফেসবুক ব্যবহার করছেন শুধুমাত্র বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য। মেসেজিং করার জন্য। কিংবা আপডেটেড থাকার জন্য। তবে আজকের ব্লগটি পড়তে পারেন কিছু ইউনিক উপায় জানার জন্য। যে কিভাবে ওই ফেসবুক থেকেই অনলাইনে উপার্জন করা সম্ভব।
ফেসবুক থেকে টাকা আয়
জানলে অবাক হবেন, এমন অসংখ্য মানুষ আছে। যারা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে। অনলাইন স্টোর ও শপিং তাদের উপার্জনের একমাত্র কেন্দ্রস্থল। ধরুন, কোনো ব্যবহার্য বস্তু বিক্রি করার আছে, যদি আপনি কারো কাছে বিক্রি করতে চান। তবে সোশ্যাল মিডিয়া সাইট সেরকম প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সম্পুর্ণ এ ব্লগেই পেয়ে যাবেন।
প্রথমে জেনে নেই,
ফেসবুক থেকে কারা উপার্জন করতে পারবেন?
ফেসবুক এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। যেখান থেকে সকলেই উপার্জন করতে পারেন। যদি আপনার সেরকম স্ট্যাটিজি অথবা দক্ষতা থাকে। আপনার থাকতে হবে অদম্য ইচ্ছা এবং অধ্যাবসায়। ধরুন, প্রথমবার ফেসবুকে কোন একটি অনলাইন ব্যবসা স্থাপন করলেন। এবং দেখলেন সেটি হচ্ছে না। কেউ ক্লায়েন্ট হিসেবে আসছে না, তখন আপনি ইচ্ছা শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারবেন না। বরঞ্চ আপনার উচিত অদম্য ইচ্ছা ও ধৈর্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
ফেসবুক প্রোফাইল ও টাকা আয় করার সম্পর্কঃ
ফেসবুকের একটি সুন্দর ও মানসম্মত প্রোফাইল, যে কারো ইম্প্রেশন টেনে নেওয়ার জন্য উপযোগী। বর্তমান ফেসবুকে অনেক স্প্যামিং ছড়িয়ে পড়েছে। আর স্প্যামারদের তো অভাব নেই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ততার সাথে ফেসবুকে কাজ করতে হয়। এবং সেখান থেকে অনলাইনে আয় করতে হয়।
ফেসবুকে উপার্জন করার পদ্ধতি গুলো ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ আপনি এককভাবে উপার্জন করতে পারেন। যদি নিজের গ্রুপ অথবা টিম থাকে, কোন ব্যবসা পার্টনার থাকে সেখান থেকেও উপার্জন সম্ভব। যারা অনলাইনে ব্যবসার সূচনা করে, তাদের অবশ্যই ব্যবসার পার্টনার থাকে। সে দিক থেকে সমষ্টিগত ভাবে উপার্জন করা সম্ভব।
তার আগে আপনি একজন ব্যক্তি, যে ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল ব্যবহারে উপার্জন করতে যাচ্ছে। তার আগে এতোটুকু শিউর হন যে, আপনার ফেসবুক প্রোফাইল দ্বারা আপনি যে একজন ব্যক্তি কিংবা একজন অ্যাক্টিভ ফেসবুক ইউজার সেটা বোঝা যায় কিনা।
প্রোফাইল ঠিক রাখা কেন উপার্জনের কারণ হবে। কারণ স্প্যামিং থেকে সকলকে বিশ্বস্ত রাখা।তার আগে ফেসবুকের প্রোফাইল সেকশনে নিজের একটি প্রোফাইল সেট করুন। যাতে আপনার ছবি এবং একদম আসল এবং নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। দ্বিতীয়তঃ কভার পেইজ, কভার ইমেজ সেট করুন। এতোটুকু তো সবাই করে।
ফেসবুক গ্রুপ এককভাবে বা সমষ্টিগত ভাবে খোলা যায়। ফেসবুক পেজ সেভাবেই চালনা করা যায়। আপনাকে দেখে যত এতটুকু মনে হয় যে একজন আসল ব্যক্তি।
পরবর্তীতে নিজের কন্টাক্ট ইনফর্মেশন, এবং নিজের লোকাল অ্যাড্রেস এগুলোর মাধ্যমে নিজের গ্রুপ সমৃদ্ধ করুন। ফেসবুক গ্রুপ অথবা পেজ মূলত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। আর এজন্য কন্টাক্ট ইনফরমেশন সবসময়ের মতোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি ফেসবুকে কিভাবে উপার্জন করতে চাইছেন, কি ধরনের ব্যবসা করবেন, সেটার উপর নির্ভর করে সেপারেট প্রোফাইল তৈরি করুন।
এর মাধ্যমে নিজের পার্সোনাল ইনফরমেশন এর সাথে ব্যবসায়িক কার্যকলাপের একটি সমন্বয় সাধন করতে পারবেন।
ধরুন, একজন অনলাইন ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধাচের হতে পারে। আপনি কোনো ফ্যাশনেবল আইটেম অনলাইনে বেচাকেনা করতে যাচ্ছেন। এবংএজন্য একটি অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন। তার আগে এতোটুকু শিওর হোন, আপনার প্রোফাইল লিংকিং অনুধাবন করা বোঝা যায় কিনা যে, আপনি একজন ফ্যাশন অথবা এ সম্বন্ধে খানিকটা হলেও বিশেষজ্ঞ। অথবা দক্ষ।
এসব কিছু যদি একটি একাউন্টে তুলে ধরতে পারেন তবে সেটা যথেষ্ট।
ফেসবুকে কি কি বেচাকেনা করে টাকা আয় করা যায়?
অনলাইনে ব্যবসা করতে চাইলে যেকোন প্রডাক্ট ফেসবুকে বেচাকেনা করা সম্ভব। অনলাইনে মার্কেটিং অনেকটাই ফেসবুক নিয়ে পড়ে আছে। বিশেষ করে আমাদের এই বাংলাদেশ। বেশির ভাগ মানুষ ফেসবুক কে ব্যবহার করছে সেকেন্ডহ্যান্ড আইটেম অথবা ব্যবহার করা গাড়ি এগুলো বিক্রি করতে। আবার হস্তশিল্প, ই-বুক অথবা গ্যারেজ পণ্যসামগ্রী, ফ্যাশনেবল আইটেম প্রভৃতি শেয়ার করার জন্য সেগুলো বেচাকেনার জন্য ফেসবুক সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। বিশেষ করে অনলাইন মার্কেটিং, অনলাইন কেনাবেচার জন্য।
তার আগে কিছু ফেসবুক প্রোডাক্টতুলে ধরছি। যেগুলো ফেসবুকে বেচাকেনা করা সম্ভব না।
- অ্যালকোহল।
- তামাকজাত পণ্য অথবা
- মাদকদ্রব্য।
- প্রাণী পশুর চামড়া ।
- চোর চালান।
ফেসবুকে আপনি প্রায় সকল ধরনের প্রোডাক্ট বেচাকেনা করতে পারেন। উল্লেখযোগ্য প্রোডাক্ট গুলো বাদ দিয়ে,এছাড়া অন্য প্রোডাক্ট ফেসবুকে বেচাকেনা হয় না। আবার স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য যে কোন প্রোডাক্ট ফেসবুকে বেচাকেনা হয়।
অর্থাৎ লোকাল যেকোন দোকানে বা স্টোরে যে সব সামগ্রী বেচাকেনা করতে পারবেন, সেগুলো ফেসবুকে বিক্রয় করা সম্ভব। আবার ফেসবুক থেকে সেসব পণ্য মজুদ নেয়া সম্ভব।
কিভাবে ফেসবুক(Facebook) থেকে টাকা আয় করা যায়:
ফেসবুক থেকে উপার্জনের জন্য যদি একবার আপনার ফেসবুক প্রোফাইল সম্পন্ন হয়ে যায়, তাহলেই হবে। হয়তো ফেসবুকে আপনি কোন একটি সার্ভিস প্রদান করতে পারেন। অথবা কোন নিজস্ব পণ্য বিক্রি করতে পারেন। যার যার ফেসবুকে আয় করার ধরন একেক রকম। নিজের এক্সপেরিয়েন্স ও সার্ভিস প্রমোট করার জন্য ফেসবুক ইউজ করে আয় করা যায়। আবার অনেকে অনলাইন প্রডাক্ট কেনাবেচার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করছে।
চলুন উপার্জনের কতগুলো পদ্ধতি উল্লেখ করা যাক।
1. ফেসবুকে পোস্ট লেখালেখি।
ফেসবুকে আয় করার জন্য একটি ব্যবসা-পেজ তৈরি করতে হয়। যেটিকে অনলাইনে ব্যবসা বলতে পারি। সেখানে অনেক কিছু কেনাবেচা চলতে পারে। শুরুতে যখন কেউ কোনো পণ্য কেনাবেচা করতে চায়, অর্থাৎ ধরুন আপনার একটি ব্যবহার্য মোবাইল আছে। সেটা আপনি বিক্রি করবেন।
এজন্য সবার আগে নিজের একাউন্টের টাইমলাইন অর্থাৎ what's on your mind অপশনে কি বিক্রি করতে চান সেটি পোস্ট-আকারে উল্লেখ করুন। এবং সুন্দর মত লিখুন। এবং নিজের ফ্রেন্ডসদের মাঝে শেয়ার করুন। ফেসবুক অথবা আশেপাশের লোকজনই যে ফ্রেন্ড হিসেবে থাকে তা কিন্তু না। আরো অনেকেই ফ্রেন্ড হিসেবে থাকে। তারাও আপনার পণ্য ক্রয় করে নিতে পারে।
পরবর্তীতে আপনার পোস্ট যে শুধু ফেসবুকে শেয়ার হবে, বন্ধুদের মাঝে শেয়ার হবে। তা কিন্তু নয়। সেটি পাবলিক করে রাখলে অবশ্যই সকলেই সে পোস্ট দেখতে পাবে। তার মধ্য থেকে সেটি শেয়ারও করতে পারে। ফেসবুকে এটি হচ্ছে সবচেয়ে মজার বিষয়।
যে কারো ভাল লাগলে যে কেউ সেটি নিজের টাইমলাইনে বা নিজের একাউন্টে শেয়ার করে দিতে পারে। এতে করে তার বন্ধুরাও অন্যান্যরা সেটি দেখতে পারে। আর এভাবে কোন একটি ভিডিও, একটি পোস্ট ভাইরাল করার জন্য ফেসবুক সবচেয়ে ভালো।
কখনো কখনো এরকম হতে পারে যে আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যেও অনেকেই ব্যবহার্য জিনিসপত্র, রিয়েল এস্টেট ইত্যাদি কেনাবেচা করছে। সার্ভিস প্রদান করছে। সেখান থেকে কোন একটি পোস্ট কে আপনার নিজের মডেল হিসেবে নিতে পারেন। এবং সেটি উল্লেখ করে নিজের পণ্য কেনা-বেচা শুরু করতে পারেন। .
মোটকথা একটি সহজ উপায় থেকে আপনার অনলাইন আয় শুরু হবে। তো ধরুন, কেউ আপনার কোনো একটি পণ্য ক্রয় করতে চাইছে, এবং তারা অবশ্যই আপনাকে মেসেজ বা কোনোভাবে কনট্যাক্ট করার চেষ্টা করবে। তার সাথে কনভারসেশন করুন। ইউজার ফ্রেন্ডলি কথা বলুন। এবং সেটি বিক্রয় করার জন্য আপনার প্রতি বিশ্বস্ততা তৈরি করুন। নিজের অথরিটি বা নিজের প্রোফাইল সম্বন্ধে তাকে ধারণা দিন।
ধরুন, কেউ এসে আপনার কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে নিলো। যারা ক্রয় করল তাদের একটি লিস্ট তৈরি করে নিবেন। তাদেরকে সব সময় মনে রাখবেন। যখন কোন নতুন পণ্য আপনি বিক্রি করতে চাইবেন, তাদের কেউ সাথে সাথে মেসেজিং করবেন।
আর ফেসবুকে ম্যাসেজ অন করা অপশন অবশ্যই থাকবে। সেদিক থেকে কোন একটি ম্যাসেজিং করে রাখতে পারেন। এতে করে তারাও যদি ইন্টারেস্টেড হয় তাহলে সেটিতে অংশ নেবে। ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এ নিয়ে বিশাল পরিধিতে লেখালেখি সম্ভব।
2. স্থানীয় কেনাবেচার গ্রুপগুলোতে জয়েন করে নিন।
স্থানীয়ভাবে কোন পণ্য সকলেই ক্রয় করতে চায়। অথবা বিক্রি করতে চায়। কারণ স্থানীয়ভাবে কোন একটি পণ্য বিক্রি করতে চাইলে সেখানে দেখা-সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি অনেক অনলাইন পেজ দেখবেন যেগুলোতে টি-শার্ট ক্রয়-বিক্রয় স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠে। এসকল স্থানীয় কেনাবেচার গ্রুপগুলোতে যেটা হয়, সেটা যেহেতু স্থানীয়।
তাই সকলে যারা স্থানীয় অঞ্চলে বসবাস করে, ওই গ্রুপটি উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। কারণ যেহেতু এটি নিজের এলাকার একটি ফেসবুক গ্রুপ। এরকম কোন লোকাল কেনাবেচার ওয়েবসাইট থাকলে বা ফেসবুক গ্রুপ থাকলে সেখানে নিজের পণ্য শেয়ার করতে পারেন। এটি তাদের সাথে যোগাযোগ করে নিয়ে ভেরিফাই করে চাইলে শেয়ার করতে পারেন।
বেশিরভাগ গ্যারেজ সেল এবং অটো মোবাইল কোম্পানিগুলো স্থানীয় বেচাকেনা কাজটি করে। যেটা আমার নিজেরও সাক্ষাৎ। যেমন আমি যে অঞ্চলে বসবাস করছি। সেখানে ছোট অটোমোবাইল গ্যারেজ আছে। যেগুলোর ফেসবুক গ্রুপ আছে।
সেখানে সরাসরি যে কোন প্রোডাক্ট অর্ডার দেয়া যায়ম এবং যেকোন ফ্যান, লাইট এগুলো ঠিক করে নেয়া যায়। তাদেরকে বললেই বাসায় এসে সার্ভিস প্রদান করবে। এজন্য অনলাইনে সার্ভিস প্রদান করা সম্ভব। বিশেষ করে অনলাইনে জানিয়ে দিলে তারা পণ্য মেরামত করার জন্য সরাসরি ঘরে এসে সার্ভিস প্রদান করবে।
এখানে থেকেই ফেসবুকে আয় করার সূচনা। অন্যান্য গ্রুপগুলোতে থেকে নিজ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজ ব্যবসায়ের ফেসবুক গ্রুপ খুলে নিতে পারবেন।
3. ফেসবুকে কেনা-বেচা করুন।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের পণ্য বিক্রয় করুন। শুরু থেকে যৌথ ব্যবসার বিষয়টাকে নিয়ে আসলাম। পণ্য বিক্রয় কথাটিকে উল্লেখ করে ব্যবসা ও সার্ভিস থেকে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়। সেগুলোর কথা উল্লেখ করলাম। কোন একটি পণ্য বিক্রি করে আমরা সেখান থেকে প্রফিট অর্জন করতে পারি।
এজন্য ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে সরাসরি ইনকাম করা যায়। হয়তো এ মার্কেটপ্লেস বড়। কম দামে কোন পণ্য আপনার থেকে ক্রয় করে নিবে। তবে এতে কিছুটা হলেও লাভবান হওয়া যায়।
আবার ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে সরাসরি পণ্য এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন। যেহেতু ফেসবুক বিশাল মার্কেটপ্লেস। সেখানে ভালো পরিমাণে পোস্ট শেয়ার আসবে। বিভিন্ন মানুষ আপনার পোস্টটি শেয়ার করতে চাইবে। সে দিক থেকে আপনার অনলাইনে কেনাবেচা ভালো চলবে। এফিলিয়েট কমিশনও বাড়বে।
4. বন্ধুকে রেফার করার মাধ্যমে বোনাস কালেক্ট করুনঃ
সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে বন্ধুদের আনাগোনা। আমরা সবাই জানি, কিছু কোম্পানি নিজের ওয়েবসাইট সার্ভিস প্রদান করার জন্য, শেয়ার করার জন্য রেফারাল প্রোগ্রাম তৈরি করে। এটি খুব সহজ। রেফারাল প্রোগ্রামে কম হলেও উপার্জন করা যায়।
রেফারাল প্রোগ্রামে যোগদান করার জন্য, একটি রেফারেল লিংক নিতে হয়। আপনার সে রেফারেল লিংক ব্যবহার করে, যারা ওই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে সেখান থেকে প্রফিট অর্জন করা যায়।
আপনি যেভাবে রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে বোনাস পেতে চান, একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে এমন হাজার লোকজন আছে যারা রেফার করার মাধ্যমে আয় করতে চায়। একবার যদি কোনো রেফারেল লিংক আপনার ফেসবুক একাউন্টে পাবলিশ করেন,
তবে সেখান থেকে অনেকেই নিজের একাউন্ট এর সাইনআপ বোনাসের জন্য লিংক ব্যবহারে প্রবেশ করবে। এতে করে আপনার রেফারাল অনেক বেশি হবে। পাশাপাশি যারা আপনার রেফারে নিয়েছে, তারা নিজেরাও রেফার করা শুরু করবে। এতে করে Indirect রেফারাল বোনাস পাবেন। ফেসবুক থেকে আয় ২০২২ কিভাবে করা যাবে? সম্পুর্ণ জানুন।
একটি ভালো কোম্পানি সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটে রেফার করার অপশন দেয়। যার মধ্যে আছে ফেসবুক রেফার করার মাধ্যমে আপনাকে কিছু হলে পেমেন্ট দিবে।
ইমেইল অথবা সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধুদের ইনভাইট করতে পারেন। যাতে রেফার লিংক ব্যবহার করে ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে তারা নিজেরাও রেফারেলের মাধ্যমে ইনকাম করে। এতে করে আপনার Directly এবং Indirectly অনলাইনে উপার্জন করবে।
যারা রেফারের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইছেন, তারা রেফার করার বিশাল লাইন লাগিয়ে দিন। যাতে করে বেশি বেশি টাকা উপার্জন করা যায়।
এর জন্য আমরা চাইলে ইমেইল- ইনভাইটেশন ব্যবহার করতে পারি। এভাবে ইমেইল- মার্কেটিং এর প্রোগ্রামে রেফারাল লিংক ব্যবহার করা যায়।
আরো অনেক ওয়েবসাইট ও এপ্লিকেশন আছে। যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে রেফার করার জন্য টাকা পেমেন্ট করে। কখনো না কখনো নিজের প্রিয় অ্যাপ্লিকেশন অথবা ওয়েবসাইটে শেয়ার করার মাধ্যমে উপার্জন করা সম্ভব।
রেফারাল বোনাসের জন্য আছে Rakuten
আবার এখান থেকে অনলাইন শপিং থেকে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়।
5. ফেসবুক এড তৈরি ও টাকা ইনকাম সহজ করা।
ফেসবুকে এড তৈরি করার মাধ্যমে নিজের পেজ প্রমোট করা যায়। কেনো নিজের ফেসবুক পেজ তৈরি করতে চাই? অবশ্যই অনলাইন ব্যবসা অথবা পেজ মনিটাইজ করার জন্য। আবার স্পনসরড ও এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করা জন্য।
এবং এভাবে অন্য কারো পেজও প্রমোট করা যায়। ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে কোন পেজ হলে সেটিকে প্রমোট করালে তার থেকে বেশি ফায়দা নেয়া যায়। মাঝে মাঝে নিজের পেজয়ে পণ্যের বিজ্ঞাপন পাবলিশ করা সম্ভব। ফেসবুক মনিটরিং এডভার্টাইজিং আছে। আবার নিজেও বিভিন্ন স্পন্সর পোস্ট করার মাধ্যমে অনলাইনে উপার্জন করা যায়।
ব্যবসা রিলেটেড পেজ গুলোর বিজ্ঞাপন দিতে Facebook for Business অপশন আছে। সেখানে নিজের মতো করে পণ্য ও পেজ প্রমোট করতে চায়।
ফেসবুকে কোনো পেইজ খোলা খুবই সহজ। আর এতে শুধু মাত্র দুই থেকে তিন মিনিট প্রয়োজন পড়ে। আর একটি ওয়েবসাইট এড্রেস এর প্রয়োজন পড়ে। এর মাধ্যমে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ খোলা সম্ভব।
যদি আপনার পেইজ খোলা সম্পন্ন হয়ে যায়, তবে সেখান থেকে বিভিন্ন পোস্ট, নিজের ইউজার ফলোয়ারদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। একইভাবে অন্যান্যদের মাঝেও শেয়ার করা সম্ভব। ফেসবুক এড রান করার মাধ্যমে।
নিজের প্রোফাইল টাইমলাইন এ তার লিংক অ্যাড্রেস শেয়ার করার মাধ্যমে আরও বেশি ফলোয়ার করে নিতে পারেন। বন্ধুদের কাছ থেকে বেশি শেয়ার নিতে পারেন। ইত্যাদি।
নিজ থেকে একটি ইমেইল এর লিস্ট সংগ্রহ করে নিতে পারেন। নিজের ফলোয়ারদের প্রতিনিয়ত মেসেজ করবেন। নিজের পেজ থেকে বিভিন্ন ভাবে মার্কেটিং করতে পারেন। অথবা মেসেজ করে পাঠাতে পারেন। এত করে তারা বেশি ইন্টারেস্ট অনুভব করবে।
কখনো ফেসবুকে এড রান করার ব্যাপারটা ভুলে যাবেন না। নিজের পেজ পেইড এড করার মাধ্যমে আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেন।
অ্যাড পোস্ট করার মাধ্যমে অর্থাৎ ফেসবুক থেকে কৌশলে উপার্জন করা যায়। এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে কোর্স আছে। সেগুলো দেখে নিতে পারেন। যে কিভাবে ফেসবুকের এড পোস্ট করে উপার্জন করা সম্ভবI
ফেসবুক এড তৈরি করবেন কিভাবে? ফেসবুক থেকে আয় ২০২২।
ফেসবুজ পেইজে পোস্ট করার মধ্য দিয়ে উপার্জন করা সম্ভব। যত বেশি ফলোয়ার ততবেশি স্পন্সর পোস্ট আসে। নিজের ব্যবসা গ্রো করানো সম্ভব। এজন্য অবশ্যই বেশি বেশি বেশি ফলোয়ার প্রয়োজন পড়বে।
Flourish With Facebook Ads নামক সার্ভিসটি ব্যবহার করেন নিজে থেকে ফেসবুক এড তৈরি করা সম্ভব। এবং সেটি অন্যান্যদের মাঝে অন্যান্য অডিয়েন্সের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
যখনই দেখবেন যে নিজের পোস্টে তৈরি করছেন নিজ পেইজে। তখন তার নিচে Boost Post নামক একটি অপশন থাকে। ওই অপশনে ক্লিক করার পরবর্তীতে এড তৈরি করতে সুযোগ দিবে। ফেসবুক এবং সেখানে নিজের অ্যাড ক্রিয়েটর টুল থাকে। সেখানে পেইড করতে হয়। এবং নিজের ইচ্ছামত এড তৈরি করা যায়।
বুস্ট পোস্ট বাটনে ক্লিক করার পর নিজের ফেসবুক পেজের জন্য এড ক্রিয়েট করার টুল আসবে। সেগুলো ব্যবহার করে যে কোন এড ক্রিয়েট করা যায়। এটি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং।
ফেসবুকে এরকম তিনটি টুল আছে ঃ
অবজেক্টিভঃ (যদি নিজের অর্ডিন্যান্সের সাথে কানেক্ট থাকতে চান। এবং বিক্রি করতে চান। যদি নিজের পণ্য বিক্রয় করতে চান, তবে ফেসবুকের অবজেক্টিভ সম্বন্ধে ধারণা রাখা উচিত)
Audience ( একটি নির্দিষ্ট অডিয়েন্স বা জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করুন। এবং সে দিক থেকে ফেসবুক পেইড এড ব্যবহার করে যান।)
Budget (আপনি নিজের ব্যবসা অথবা সার্ভিস গ্রো করার জন্য কত বাজেট নির্ধারণ করেছেন।)
ফেসবুক এড এর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাঃ
- অডিয়েন্স বাছাই করা যায়। অর্থাৎ আপনি কোন বয়সে, কোন এলাকার এবং কোন লিঙ্গ অথবা কোন দিকের ইন্টারেস্টেড লোক চাচ্ছেন সেটা ফেসবুকে জানান দিলে তারা সে অনুযায়ী প্রদর্শনী করব।
- আবার নিজের ফেসবুক পেইজে যদি অন্ততপক্ষে কয়েকশো জন ফলোয়ার থাকে, তাঁদেরকেও আপনি নিজের কোন ওয়েবসাইট অথবা পেইজের রেফারাল লিঙ্ক এর মাধ্যমে আকৃষ্ট করাতে পারেন। এবং অন্যান্য বন্ধুবান্ধবরা যাতে এই ফেসবুক পেজে আসে, তারা ইনভাইট করে সেদিকে আকর্ষণ করতে পারেন।
- ফেসবুক এড এর আরেকটি সুবিধা হল, আপনি কতটুকু সফল হচ্ছে সেটা মনিটর করতে পারেন। এছাড়া কত ইঞ্জেসমেন্ট হয়েছে সেটি পরিমাপ করতে পারেন।
- এড ক্যাম্পেইন শেষ হলে এনজেজমেন্ট পাশাপাশি প্রতি ক্লিক এ মোট কত জমা হয়েছে সেটি নির্ধারণ করা যায়। সেখান থেকে সফলতা কতটুকু এসেছে সেটাও নির্ধারণ করা যায়। সিপিসি এমাউন্টের উপর নির্ভর করবে এডভার্টাইজিং বাজেট।
- আগে যদি কখনও এডভেটাইজ করে থাকেন, তবে আপনি এতোটুকু তো জানেনই যে এডভারটাইস করাটা আসলে অনেকটাই ব্যয়বহুল। এবং খুব দ্রুত সময়ে পয়সা শেষ হয়ে যায়।
- তবে ফেসবুক এডভারটাইস অতটা ব্যয়বহুল নয়। অন্যান্য এড কোম্পানি থেকে আবার এখানে ছাড় পাওগা যায়। ফেসবুক, টুইটার, এসবসোশ্যাল সাইটে যে কোন টার্গেট করা অডিয়েন্সদের এড প্রদর্শন করানো যায়।
- অন্যান্য এড কোম্পানিতে যেখানে হাজার ডলারের মতো খরচ পড়ে। এখানে একটি ক্যাম্পেইন শেষ করতে সেখানে কয়েক ডলার লাগে মাত্র।
- ফেসবুক পেইজ এডভার্টাইজিং খুব কম কোস্ট হয়। অর্থাৎ কম পরিমাণে পেইড করা হয়। এডভারটাইজিং টাকা লাগে বলে ভাববেন না যে এটা আসলে কার্যকরী না।
- এখানে ছোটখাটো ক্যাম্পেইন গুলোতে 10 থেকে 15 ডলারের মতো টাকা লাগে।
6. কন্টেস্ট করে ফেসবুক থেকে আয় ২০২২ ?
ফেসবুক থেকে উপার্জন আরেকটি সহজ উপায় হল ক্যাম্পেইন বা কনটেস্ট অংশগ্রহণ করা। ফেসবুকে যত ব্র্যান্ডিং কোম্পানি আছে, সেগুলো ছোটখাটো কনটেস্ট রাখে। আবার কিছু ইন্ডিয়ান কোম্পানি আছে যেগুলো সার্ভে স পূরণ করে 50 থেকে 500 টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব করে দেয়।
এরকম খুব কমই হয়। এবং কয়েক মাসের পরে হয়। তবে ফেসবুকে বিদেশি নামীদামী কোম্পানিগুলোতে কন্টেস্ট আয়োজিত হয়। সেখানে জয়েন করে যোগদান করে ছোটখাটো টাস্ক পুরন করে, সেখান থেকে উপার্জন করা যায়। এজন্য তাদের ফেসবুক পেজ ফলো করে, আপনার নিজের ফেসবুক আইডি লিংক শেয়ার করে কনটেস্টে অংশগ্রহণ করা লাগে।
বেশিরভাগ কনটেস্ট মূলত ফ্রি। এবং সেখানে জয়েন করার জন্য শুধু আপনার পর্যাপ্ত সময় থাকলেই চলে। সেখানে অংশগ্রহণ করে গুগোল গিফট কার্ড, আমাজন গিফট কার্ড থেকে শুরু করে অর্থ উপার্জন করা যায়।
7. ফেসবুকে ইনভেস্ট করে আয়।
প্রথমত ফেসবুকে ইনভেস্ট করার ক্ষেত্রে অনেক কিছু মাথায় আসে। আর ফেসবুক একাউন্ট বা পেইজ খুলে সেটাকে গ্রো করানোর চিন্তা ভাবনা করতে হবেনা। ফেসবুকে ইনভেস্ট করে উপার্জন করতে পারবেন। ফেসবুক একটি পাবলিক কোম্পানির মতো ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ দেয়।
ফেসবুক ইনভেস্ট করার স্টক এভেলেবেল আছে। ফেসবুকের যেকোনো স্টক, যেখানে আপনি ইনভেস্ট করতে পারেন। ফেসবুক কোম্পানিতে ইনভেস্ট করার জন্য ব্রকেরেজ একাউন্ট এর মাধ্যমে স্টক ক্রয় করা সম্ভব।
সকল স্টক মার্কেট ইনভেস্টমেন্ট মতোই ফেসবুক আপনাকে কখনো শতভাগ নিশ্চয়তা দেবে না যে, টাকা উপার্জন হবে। এটা অনেকটা শেয়ার মার্কেট এর মত। ফেসবুকের উপর ইনভেস্ট করলে তাদের থেকে উপার্জন আসতে পারে। আবার সেখানে আপনার ক্ষতি হয়েও যেতে পারে।
ফেসবুকের স্টক প্রাইস সব সময় বৃদ্ধি পায়। এজন্য আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা করার জন্য, উপার্জন করার জন্য বুঝে শুনে ইনভেস্ট করতে হবে।
8. সামাজিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করুন।
যেকোনো একটি তহবিল ফান্ড ফেসবুকে ভালো রকমের সাহায্য লাভ করে। নিজের সমিতির তহবিল ফান্ড থাকলে সেটি ফেসবুকে প্রমোট করে নিতে পারেন। সেখান থেকে প্রায় সময় ডোনেট নেয়া সম্ভব। আর ফেসবুক নিজ থেকে অনেক সাহায্য সুবিধা প্রদান করে।
কোন কোন জনগোষ্ঠীর বা কোন একটি খাতে আর্থিক সহযোগিতা দরকার পড়লে বাইরে থেকে ডোনেশন আসে। তবে এর আগে ফেসবুক নিশ্চিত করে নেয় যে, আপনার তহবিল সংগঠনটি কী আসলেই ভুয়া নাকি আসল।
যে কোন তহবিল সমিতির পেজ নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে তৈরি করা সম্ভব।
- Personal emergency
- Crisis relief
- Health and medical
- Education
- International
- Faith
- Sports
এটি মহত্তম উদ্দেশ্য নিয়ে করা উচিত। অযথা করা উচিত না। এর জন্য খুব বড় মাশুল যোগাতে হবে যদি ভুয়া কাজের তহবিল গঠন করেন।
9. জব নিয়ে দুশ্চিন্তা!
ফেসবুকে নিজের একটি জব বোর্ড আছে। সেখানে আপনার জন্য যেকোনো একটি জব খুঁজে দিতে পারে। সেটা লোকাল অথবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হতে পারেন।
লোকাল কোম্পানিগুলো ফেসবুক এডভার্টাইজিং এ ক্যাম্পেইন শুরু করে। নতুন নতুন জব প্রার্থী ও ট্যালেন্টেড ব্যক্তিদের নিজের কোম্পানিতে আনার জন্য। ফেসবুক Job অপশন দিয়ে দিয়েছে সেখানে নতুন জব খুঁজে পেতে পারেন। এবং ফেসবুক ব্যবহার করে উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকের জব বাটনে যখন ক্লিক করবেন, তখন আরো অন্যান্য জবের লিস্ট আকারে গ্রুপ আসবে। তাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে জয়েন করে রাখতে পারেন। এত করে যখন একটি জব এর নোটিশ আসবে দ্রুত খবর পেয়ে যাবেন।
10. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে ফেসবুক থেকে আয় ২০২২?
সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যাম্পিয়ন হলে অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার সকল কাজ জানলে, একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়েও অনলাইনে উপার্জন করা যায়। এজন্য বিভিন্ন কর্পোরেট একাউন্টগুলোকে চালনা করতে হয়। সেগুলো মেন্টেন রাখতে হয়।
এর জন্য কিছু কাজ রেগুলারলি করতে হয়। তার মধ্যে আছেঃ
- নির্দিষ্ট সিডিউল বা রুটিন মেনে প্রতিনিয়ত ফেসবুকে পোস্ট করা।
- ইউজারদের কমেন্টে রিপ্লে করা।
- শুধু পোস্ট করলেই চলে না। সেগুলোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স বানাতে জানতে হয়। এবং সেগুলো বিতরণ করতে হয়।
- বিভিন্ন ম্যাট্রিক্স ও টুল ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউজারদের মনিটর করতে হয়।
- এনালাইজ করতে হয়।
- স্প্যামিং দেখলেই তা কন্ট্রোলে রাখতে হয়।
- ইউজারদের সাথে সুসম্পর্ক থাকা লাগে।
- কোন একটি সেলিব্রিটি একাউন্ট বা পেজে কত কত ফলোয়ার থাকা উচিত। এবং ফলোয়ার কোনো কারণে কমে যাওয়া সম্বন্ধে সতর্ক থাকে।
ফেসবুকের মত সকল সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার কাজ করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে কিভাবে উপার্জন করা যায়। এ নিয়ে বিস্তারিত টিউটোরিয়াল আকার একটি ব্লগে করেছি। সেটি পড়তে ক্লিক করুন।
ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, টুইটারে সবকিছুই সোশ্যাল সাইট। এখানে একটি পেজ, সেলিব্রেটি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর প্রয়োজন আছে।
11. ফেসবুক গ্রুপে জয়েন দিয়ে ইউজারদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করুন।
একজন ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়ীদের সমিতি মিলে যদি ফেসবুক গ্রুপ অথবা পেজ খুলেন। সেখানে ইউজারদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন পড়ে। কমেন্ট করে, মেসেজ করে সেগুলো উত্তর দিতে হয়। সমস্যার সমাধান করতে হয়। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত একটিভ থাকতে হয়। যারা ব্যবসায়ী তারা ক্লায়েন্টের সাথে মিট করতে পারে না। কিন্তু এমন অসংখ্য লোক রেখে দেয়, যারা প্রতিনিয়ত তাদের সাথে ফ্রেন্ডলি ভাবে কথা বলে। সমস্যার সমাধান করে। এভাবে ফেসবুকে উপার্জন করা সম্ভব।
যদি কোন ব্লগার হন, তবে তো সুন্দর মতোই কাজ করতে পারবেন। ওই সাইটের ভালো ভালো পেজ গুলো একবার ভিজিট করে আসুন। তাদের সাথে কন্টাক্ট করুন। এবং পরবর্তীতে এখানে কাজ করার জন্য জয়েন করে নিন।
ইনভেস্টিং গ্রুপে জয়েন।
আবার যদি আপনার ভালো ইনভেস্ট করার দক্ষতা থাকে। ছোটখাটো ইনভেস্টিং গ্রুপ গুলোতে জয়েন করে নিতে পারেন। প্রতিনিয়ত তারা একে অপরের সাথে সাজেশন নিয়ে ইনভেস্ট করে। ইনভেস্টের জন্য একজনের মেন্টর প্রয়োজন পরে। পরবর্তীতে উপার্জন করা সম্ভব হবে।
যদি ইনভেস্ট করার দক্ষতার না থাকে, তবে ফেসবুক পেইজের লোকেদের সহযোগিতা করতে পারেন। তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন। এতে করে একটা সময় নিজের লিংক তাদেরকে পৌঁছিয়ে দিলে, নিজের পেজ অথবা একাউন্ট লিংক পৌঁছে দিলে, তারা সেখানে ভিজিট করবে। আপনার রেপুটেশন আনবে।
এমনকি কখনো কখনো তাদের থেকে আফিলিয়েট কমিশন নেয়া সম্ভব হবে। প্রোডাক্ট, ফ্যাশন ডিজাইন, ফ্যাশন প্রোডাক্ট নিয়ে যে সকল পেইজ আছে সেগুলোতে এরকমটা হয়।ফেসবুক থেকে আয় ২০২২ সম্পুর্ণ জানতে কিছু বৈদেশিক ব্লগ অনুসরণ করতে পারেন।
ফেসবুকে কয় বৃক্রয় নিয়ে যে সকল পেক আছে, সেগুলো তো জয়েন করে রাখতে পারেন। নিজের ব্যবহারযোগ্য পণ্য বিক্রি করতে পারেন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট পণ্য বিক্রয় করে কমিশন অর্জন করতে পারেন। অনেক কিছুই করা সম্ভব।ত
তবে বেশীরভাগ গ্রুপে স্প্যামিং থেকে দূরে রাখার জন্য পলিসি আছে। তাই চেষ্টা করবেন যাতে কোনরকম স্প্যামিংয়ে জড়িয়ে না পড়েন।
12. ফেসবুক লাইভ ভিডিও করে আয়।
ক্যামেরার সামনে আসতে যদি লজ্জা অনুভব না করেন, তবে ফেসবুক লাইভ ভিডিও করে উপার্জন করতে পারেন। যে কোন পার্সোনাল অভিজ্ঞতা, কোন একটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করার উপায়, অর্থ উপার্জনের উপায় ইত্যাদি নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করতে পারেন। বা লাইভ ভিডিও করতে পারেন।
ফেসবুকে সব সময় ইউজাররা অ্যাভেলেবল থাকে। আপনার লাইভ ভিডিও তে অবশ্যই ভিও আসবে। কখনো কখনো লাইভ প্রশ্ন-উত্তর করার মাধ্যমে, যে বিষয়ে দক্ষ সেখানে নিজের ব্র্যান্ডিং তৈরি করা সম্ভব।
বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ অনেক বেড়ে গেছে। এবং ক্রমাগত বাড়ছে। যার কারণে ফেসবুক, ইউটিউব এর লাইভ ভিডিও ও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম থেকে কম না। ফেসবুকের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।
13. ফেসবুক সিকিউরিটি ও ওয়েব-টেস্টিয়ে যোগদান করুন।
ফেসবুক এবং অন্যান্য বৃহত্তর ওয়েবসাইটগুলোর সব সময় নিজের সিকিউরিটি ইস্যু নিয়ে চিন্তিত থাকে। এবং ক্রমাগত বিভিন্ন লোক নিয়োজিত রাখতে চায় সিকিউরিটি প্রবলেম সলভ করার জন্য। যদি ফেসবুকের কোন সিকিউরিটি ও বাগ নিয়ে ফিডব্যাক দিতে পারেন, সেখান থেকে আপনাকে তারা রিওয়ার্ড প্রদান করবে। আবার ফেসবুক ও অন্যান্য কোম্পানির অসংখ্য এরকম কন্টেস্ট আছে। যেখান থেকে অর্থোপার্জন করা যায়।
পরিশেষেঃ
ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা সম্বন্ধে জানলাম। ফেসবুক থেকে যে কেউ চাইলে উপার্জন করতে পারে। এখানে আয় করতে নিজের কোনো অনলাইন ওয়েবসাইট, এফিলিয়েট লিংক অথবা লোকালে পণ্য বেচাকেনার ব্যবসা থাকতে হয় না।
বিভিন্ন ফেসবুক পেজে জয়েন করে, ফেসবুকে একটিভ থেকে উপার্জন করা সম্ভব। যেমনঃ আমি বলেছিলাম, ফেসবুকের সিকিউরিটি ফিডব্যাক ও ম্যানেজমেন্ট করার মাধ্যমে আয় করা যায়।নিজে যদি গ্যারেজের বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করেন সেখানে ফেসবুক উপার্জন করা যায়।
আরও পড়ুনঃ