ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় - ব্লগিং করে , ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম।

আপনি কি ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করতে চান? নিঃসন্দেহে একটি ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উপায় অনেক আছে। যদি অনলাইনে আয় করার চিন্তাভাবনা করেন, তবে ব্লগ থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা জানা অতি জরুরি। 

তাহলে চলুন জেনে নেই, ব্লগিং ইনকাম কিভাবে করা যায় তা জেনে নিই।

{tocify} $title={Table of Contents}

ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় তা সম্পর্কিত ছবি

ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

একটি বাংলা ব্লগ থেকে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করা যায়। ব্লগ সাইট বানিয়ে সেখানে ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করার করবেন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে। আবার, স্পন্সর এবং এফিলিয়েট করেও ব্লগ থেকে আয় করা যায়।

আমরা জানি, গুগোল ব্লগ এ কিভাবে ফ্রিতে ব্লগ সাইট তৈরি করতে হয়। এবার এর থেকে আয় করার কিছু উপায় আছে। প্রথমত আপনি ব্লগ সাইট তৈরি করেছেন কেন? 

অবশ্যই আপনার ব্লগ সাইটে লোক যাতে ভিজিট করে তাই। এবং আপনার ব্লগ সাইট যেন দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। নিজের জন্য তো আর আপনি লিখছেন না। অন্যান্যরা যাতে উপকৃত হয় তার জন্যই তো লিখছেন।

অন্যরা যখন উপকৃত হওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। তখনই আপনি পেয়ে যাবেন আয় করার দারুন সব উপায়। প্রথমত আপনি চাইলে ওয়েবসাইটে অ্যাড বসাতে পারবেন। সাইটে এড শো করাতে পারবেন।

পড়ুনঃ


ওয়েবসাইটে এড শো করালে কি আয় হয়?
হ্যা, ওয়েবসাইটে এড শো করালে ভালোমতোই আয় হয়। অসংখ্য মার্কেট ও পণ্যের কোম্পানি আছে। যারা কাস্টমার খুজছে। 

এডের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের ওয়েবসাইট সম্বন্ধে জানান দিতে পারবে। এতে কোম্পানি লাভবান হবে। আপনাকেও এর জন্য মুনাফা দিতে হবে।

1. ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন করিয়ে ব্লগ থেকে টাকা  ইনকাম।

এই যে আপনি ওয়েবসাইটে এড শো করাবেন, তাকে বলে ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন। এই ওয়েবসাইট মনিটাইজেশনের জন্য গুগলের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে। যাকে আমরা বলি গুগল এডসেন্স( Google Adsense)।

গুগল এডসেন্স কি? কিভাবে ব্লগ লিখে এডসেন্স থেকে আয় করবেন?

গুগল এডসেন্স গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট। এটি একটি এড মার্কেটপ্লেস। কিংবা ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট মনিটাইজেশনের জন্য এ ওয়েবসাইট ব্যবহার করাতে পারবেন। যে ওয়েবসাইটটি তাদের অ্যাড দেখিয়েছে তার জন্য, আপনি অ্যাডসেন্স থেকে কমিশন পাবেন।

অ্যাডসেন্সে আপনি চাইলেই কাজ করা শুরু করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে অ্যাপ্রভাল নিতে হবে। মানে হল অ্যাডসেন্সে আপনার ওয়েবসাইটে এপ্রুভ করাতে হবে। যাতে করে আপনার ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন করার সুযোগ পান।

গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার উপায়।

এই অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য অনেক ধরনের পলিসি আছে। যেগুলো গুগল আপনাকে মানার জন্য বাধ্য করবে। 

সেগুলো যদি অনুসরণ করে চালিয়ে যান, তবে সাথে সাথে এপ্রুভাল পাবেন। তার আগে বলি, গুগল এডসেন্স এর জন্য কোন ভিজিটর এর প্রয়োজন নেই। আপনি 0 visitor থেকেও গুগল এডসেন্স পাবেন।

পড়ুনঃ
কিন্তু তার জন্য আপনার ভাল কনটেন্ট ও মানসম্মত লেখালেখির প্রয়োজন হবে। মানে হলো আপনার কন্টেন্ট কিংবা আর্টিকেল আপনাকে অ্যাডসেন্সে দিবে। এডসেন্সের জন্য গুগোল পলিসি আছে। সেগুলো পড়তে ক্লিক করুন।

তবে তার আগে এডসেন্সের জন্য কিছু ছোটখাটো রিকোয়ারমেন্ট জানিয়ে দেই। যেমনঃ

১।পরিমাণমতো আর্টিকেল ও যথেস্ট ওয়ার্ড সংখ্যাঃ

আগে অবশ্যই পরিমান মত আর্টিকেল থাকতে হবে। যেমন আপনি কোনো আর্টিকেল ছাড়া এপ্রুভাল নিতে পারবেন না। আপনাকে কম করে হলেও ৫টি থেকে ৩০টি পর্যন্ত কন্টেন্ট রাখতে হবে। 

সেটার আপনার উপর ডিপেন্ড করে। যেমন যদি কম আর্টিকেল রাখেন, তবে প্রতিটি আরেটিকেলের ওয়ার্ড সংখ্যা কম করে হলেও 3 হাজার কিংবা 5000 হতে হবে। আর যদি ২০-৩০ টি রাখেন, প্রতিটি ওয়ার্ড সংখ্যা 1 হাজার হলেও হবে।

২। শতভাগ কপিমুক্ত ইউনিক কন্টেন্টঃ

হয়ে গেল কনটেন্টের বিভিন্ন বিষয় আশয়। পরবর্তীতে কনটেন্টগুলো অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। মানে কোন প্রকারের কপি পোস্ট কিংবা কোন কপি বাক্য ব্যবহার করেন, তাহলেও কিন্তু সমস্যা হবে।

৩। থীম কাস্টমাইজ ও নেভিগেশন সেট-আপঃ

তারপর আপনার ওয়েবসাইটে ঠিকমতো সাজানো লাগতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের নেভিগেশন বার থাকতে হবে। তার মানে হল আপনার ওয়েবসাইটে কিছু ক্যাটাগরিও মেনু থাকতে হবে। যেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোষ্ট সাজানো যাবে।

৪। ভালো সাইট স্পীড ও কাস্টম ডোমেন।

তাছাড়া আপনার অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিতে সাইটে স্পিড থাকতে হবে। তাছাড়া টপ লেভেল কাস্টম ডোমেন ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ .com, .org, .info, .net ইত্যাদি।

৫। সাইট সার্চ কন্সোলে সাবমিট।

ওয়েবসাইট আপনার অবশ্যই গুগল সার্চ কন্সোলে( Search Console) সাবমিট করা লাগতে হবে।

পড়ুনঃ
Google Search Console এ কেন ওয়েব সাইট সাবমিট করবেন?
গুগল সার্চ কন্সোল হলো এমন একটি ওয়েবসাইট। যেখান থেকে আপনি আপনার পোস্টগুলো গুগলে ইনডেক্স করাতে পারবেন। 

আপনি নাও জানতে পারেন, ইনডেক্স এর মানে কি? ইনডেক্স এর মানে হলো আপনার লেখাগুলো গুগোল জমা রাখা।

অর্থাৎ আপনার লেখা আর্টিকেল গুলো গুগোল ক্রল করার পরবর্তীতে সে আর্টিকেলের ইউআরএল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু গুগোল নিজের কাছে জমা রাখবে। 

সেই আর্টিকেল মানসম্মত হলে গুগল সেটিকে সার্চ রেজাল্টে দেখাবে।তো আপনাকে অবশ্যই আপনারা পোস্ট গুলো গুগলে ইনডেক্স করা লাগতে হবে।

৭। প্রয়োজনীয় পেজ তৈরি করে রাখাঃ

পরবর্তীতে আপনার ওয়েবসাইটে কিছু প্রয়োজনীয় পেজ তৈরী করে নিতে হবে। আপনি ব্লগে গিয়ে Page নামক একটি অপশন দেখবেন। সেই পেজ অপশনে আপনাকে কিছু পেজ তৈরী করে নিতে হবে। 

যার মধ্যে আছেঃ Privacy Policy, About, Contact, Disclaimer, Terms & Conditions। এই পেজ গুলো তৈরি করে নিলে, গুগল এডসেন্স আপনার সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারবে। আপনার ওয়েব সম্বন্ধে খানিকটা জেনে নিতে পারবে।

যদি এগুলো তৈরি নাই করেন তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইট সম্বন্ধে কিছু জানবে না। এতে করে এপ্রুভালও পাবেন না।

তো গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিয়ে ছোটখাটো আলাপ-আলোচনা হয়ে গেল। এবার আসি,

অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাওয়ার পরে ব্লগিং ইনকাম করবেন কিভাবে?

আপনি ওয়েব সাইটে অ্যাড বসাতে পারবেন। সেই অ্যাডগুলো শো করাতে পারবেন। পরবর্তীতে যখন ভিজিটর এডে ইম্প্রেশ হয়ে ক্লিক করবে, সেই অ্যাড ক্লিক করার জন্য আপনাকে কম করে হলেও 0.10 ডলার থেকে শূন্য দশমিক 90 ডলার পর্যন্ত দেয়া হবে। যদি আপনি বাংলা ওয়েবসাইট তৈরি করেন তবে।

আর যদি ইংরেজি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তাহলে প্রতিটি এডে যদি ভিজিটর ক্লিক করে তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ 5 থেকে 10 ডলার পর্যন্ত দেয়া হবে।

ব্লগে নিশ সিলেক্ট ও ভালো আর্নিং।

দেখুন আপনাকে ব্লগ সাইট তৈরি করতে চাইছেন। সে ব্লগ সাইটে আপনি অবশ্যই ব্লগিং করবেন। আর ব্লগিং করে মূলত উপার্জন করবেন। এখন এই যে ব্লগিং করতে চাইছেন এবং উপার্জন করতে চাইছেন। 

তার আগে কি বিষয়ে লেখালেখি করতে চাইছেন? সেটাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ব্লগিং করার জন্য বিভিন্ন বিষয় বস্তু আছে। যেমনঃ খেলাধুলা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, ট্রাভেলিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা ইত্যাদি।

এ টপিকের যেকোনো একটিকে নিয়ে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। অথবা একাধিক বিষয়বস্তু একাধিক ক্যাটাগরি বিষয়বস্তু নিয়েও আপনি ব্লগিং করতে পারেন। সমস্যা নেই। 

নিশ সিলেক্ট করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যখন শুধুমাত্র খেলাধুলা নিয়ে ব্লগিং করবেন।মানে বিভিন্ন খেলা, যেমনঃ ক্রিকেট, ফুটবল কিংবা মৌসুমী খেলা যেমন, শীতকালে ব্যাডমিন্টন ব্যাডমিন্টন নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল লিখলেন।

কিংবা বিভিন্ন ব্যাডমিন্টন রেকেট কোম্পানির ব্যাডমিন্টনের প্রাইস লিখে দিলেন। তখন গুগল এডসেন্স বুঝবে যে, আপনার ওয়েব সাইটে কি ধরনের এড শো করানো উচিত? তারা অবশ্যই খেলাধুলা নিয়ে এড বেশি শো করাবে। 

এতে সেগুলোর সিপিসি ও ক্লিক বেশি বেড়ে যাবে। মানে হলো যখন কেউ ক্লিক করবে, আপনার যে উপার্জন টা আসবে সেটার পরিমাণ টা বেড়ে যাবে।

এই গেল ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন। যার মাধ্যমে আপনি এড বসিয়ে উপার্জন করতে পারেন। 

এখন প্রশ্ন হল, শুধুমাত্র কি ওয়েবসাইট মনিটাইজেশনের জন্য একজন ওয়েবসাইট তৈরী করে?  এত আর্টিকেল লেখালেখি করে। অন্যের সুবিধার জন্য এত কষ্ট করে শুধুমাত্র এড শো করে উপার্জন করার জন্য?

না না, ভাই। এমনটা না। গুগল এডসেন্স ছাড়াও বেশি পরিমাণে উপার্জন করার অসংখ্য উপায় আছে। যেমন ধরুনঃ এডসেন্সের যেটা হয় সেটা কে আপনি দ্বিগুণ করে নিতে পারবেন। একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।

সেটা তে আমি আর গেলাম না। পরবর্তীতে ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় তার আরও উপায় আছে।

2. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে আয়

আপনি কোন একটি প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে পারেন। এর জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্টের এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করতে পারেন। এতে অ্যাডসেন্সে তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না। যদি আপনি কম পরিমাণে আফিলিয়েট মার্কেটিং করেন, তবে সমস্যা নাই।

3. স্পন্সর পোস্ট করে ব্লগিং ইনকাম

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। যার কারণে ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলো আগ্রহী হচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে স্পন্সর পোস্ট করানো জন্য। 

আপনি যে কোন একটি প্রোডাক্ট নিয়ে স্পন্সর পোস্ট করলেন, তাহলে সেখানে আপনি বিপুল পরিমাণ আয় করতে পারবেন।

স্পনসর্ড পোস্ট কোথায় পাবেন?

স্পন্সরড কোথায় পাবেন তা নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা করতে হবে না। এর জন্য বিশেষ ওয়েবসাইট আছে। যেখানে সাইন আপ করে রাখলেই এ ব্যাপারে বিভিন্ন কন্ট্রাক্ট করতে পারবেন। 

তাছাড়া যদি আপনার ওয়েবসাইটে স্বনামধন্য ও ভালো ভিজিটর থাকে তবে অনেক ওয়েব সাইট আপনার সাথে সরাসরি কন্টাক্ট করে নিবে।

স্পনসর্ড পোস্ট কেন করবেন?

ব্লগ থেকে আয় করার জন্য এটি বেশ উপযোগী। মনিটাইজেশন চালু থাকলে স্পন্সর পোস্ট করলে বাড়তি উপার্জন করা যায়। এবং এতে বিশেষ কোনো ক্ষতি নেই। 

আপনার পোস্ট কিংবা স্পন্সর করা কোন কন্টেন্ট ভিজিটররা চাইলে পড়বে, মন না চাইলে পড়বে না। এতে কোনো বাধা-বিপত্তি নেই। আপনি সরাসরি পোস্ট করার সাথে সাথেই নির্ধারিত এমাউন্টের টাকা পেয়ে যাবেন।

4. ব্লগপোস্ট বিক্রি করে টাকা ইনকাম

তারপরে দেখুন, যদি আপনার লেখা লিখি অনেক ভাল হয়, কনটেন্টগুলো মানসম্মত হয়। তবে পরবর্তীতে কনটেন্ট শপ(Article Shop) নামে একটি ফিচার আপনার ব্লগ এ এড করতে পারেন। 

একটি category করলেই চলবে। সেখানে সরাসরি কন্টাক্ট করে মানসম্মত কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারবেন। কন্টেন্ট সেল করে নিলে ভালো পরিমাণে উপার্জন নেয়া যায়।

ভালো ব্লগ সাইট থেকে যে কেউ ভাল কনটেন্ট দামে ক্রয় করে নিতে চাইবে। এই সার্ভিস আপনি নিজেই প্রদান করতে পারবেন, নিজের ব্লগ সাইট ব্যবহার করে।


ব্লগ এ ভিজিটর ও ইনকাম বাড়ানোর উপায়।

এই গেল ব্লগ থেকে উপার্জন করার কতগুলো উপায়। পরবর্তীতে আপনাকে জানতে হবে ব্লগ এ ভিজিটর আনার জন্য কি করতে হবে। ব্লগ থেকে উপার্জন করার উপায় যদি আপনি সার্থকভাবে কাজে লাগাতে চান। 

তবে ভালো পরিমাণ ভিজিটর প্রয়োজন হবে। আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের জন্যই আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করা। সম্পূর্ণ তাদের জন্য উৎসর্গ। যদি ভিজিটর ধরে না রাখতে পারেন, তবে ওয়েবসাইট শীঘ্রই অবনতির দিকে চলে যাবে।

ভিজিটর ঠিক রাখার জন্য অনেকগুলো কনসেপ্ট রয়েছে। যেমনঃ

১। মানসম্মত আর্টিকেল লেখাঃ

ভিজিটর বাড়ানোর জন্য মানসম্মত আর্টিকেল প্রয়োজন। এছাড়াও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বাড়ার জন্য আর্টিকেল খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে সাজিয়ে লেখা লাগবে। আবোল- তাবোল আর্টিকেল ইউজাররা বুঝতে পারবে না।

আর যদি কিছু বুঝে না উঠতেই পারে, তবে আপনার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। একজন ভিজিটর আপনার সাইটে এসে আর কতক্ষন ওয়েট করছে, কত সময় নিয়ে পড়ছে। 

সেটাও কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক করার জন্য অনেক বড় বিষয়। তাছাড়া আপনার কনটেন্ট সুন্দর হলে, আর্টিকেল ভালো লাগলে, পরবর্তীতে আরেকটি আর্টিকেল পড়তে চাইবে। সেটাও কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং ফেক্টর।

২। ভালো সাইট স্পীড থাকাঃ

তাছাড়া ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আপনার ওয়েবসাইটের সাইট স্পিড ভালো থাকতে হবে। যাতে করে একটি কনটেন্ট এর উপর ক্লিক করলেই, কিছু সময় বিশেষ করে এক থেকে দু সেকেন্ডের মধ্যে যাতে সেটি লোড নিয়ে নেয়। 

তা না হলে ইউজার আপনার ওয়েবসাইটকে পছন্দ করবে না আ।পনি ওয়েবসাইট প্রফেশনাল হবে না। আজকে আমরা ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলো জানলাম।

পড়ুনঃ

এই ধাপ গুলো অনুসরন করলে। আমার দেখা মতে, পুরো আর্টিকেলটি বুঝতে পারলে। আপনি এত টুকু জেনে নিতে পারবেন যে, আসলে কনটেন্ট রাইটিং করে খুব সহজেই ব্লগ থেকে উপার্জন করা যায়। 

এবং সেই ব্লগ থেকে উপার্জন করে আপনিও স্বাবলম্বী হতে পারেন।

শেষকথা

আজকে আমরা জানলাম, ব্লগ থেকে আয় করার উপায় । ওয়েবসাইট খোলে গুগল একটি প্লাটফর্ম ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে সহজে আয় করা সম্ভব। 

এই ওয়েবসাইটের কোন বিষয়ে আপনাকে কোন রকমে খরচাপাতি করতে হবে না। আপনি ব্লগারএ সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন। সেখানেপোস্ট করে উপার্জন করতে পারেন।

এই ব্লগ থেকে উপার্জন করার উপায় গুলো আমি গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন। যদি ভালো না লাগে, অথবা কোনো ব্যাপারে যদি জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। খোদা হাফেজ। সবাইকে ধন্যবাদ।
Rakib

রাকিব "এক্সপার্ট বাংলাদেশ" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক। সে অবসর সময়ে ব্লগিং ও লেখালেখি করতে ভালোবাসে। তাছাড়াও, অনলাইনে নতুন কিছু শেখা তার প্রধান শখ।

7 Comments

কমেন্ট করার মিনতি করছি। আমরা আপনার কমেন্টকে যথেস্ট মূল্য প্রদান করি। এটি আমাদের সার্ভিসের অংশ।

তবে কোনো ওয়েবসাইট লিংক প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল।

  1. অনেক উপকৃত হলাম।

    ReplyDelete
  2. অনেক উপকৃত হলাম ভাই

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, ভাইজান।🥰

      Delete
  3. আমি আজই বঙ্গমেলা নামে ফ্রি ব্লগ খুললাম, পেশায় আমি সৃজনশীল লেখক। আপনার একান্ত সহযোগিতা পেলে কৃতার্থ হবো। ধন্যবাদ

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভকামনা রইলো ❤️

      Delete
  4. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
Previous Post Next Post