ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
আজকের এই ব্লগে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, তা সম্বন্ধে জানাবো। ইংরেজিতে ব্লগিং করলে প্রতি হাজার পেজভিউতে নিশ অনুযায়ী গড়ে ৫ থেকে ৩০ ডলার অবধি আয় হয়। বাংলাতে ব্লগিং করে প্রতি হাজার পেজভিউতে নিশ অনুযায়ী গড়ে ২ থেকে ১০ ডলার অবধি ইনকাম হয়।
ব্লগিং করে আপনি মাসে কত টাকা উপার্জন করতে পারেন? এ বিষয়ে আমরা আজকে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করব। প্রথমেই বাংলা ব্লগ থেকে কি রকম উপার্জন হয় এবং উপার্জন করা যায় তা আমার সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা থেকে বলব।
ব্লগার কি?
ব্লগার হলো একটি ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম। যেখানে আপনি কোন রকম হোস্টিং ছাড়াই ব্লগিং করতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রফেশনাল ব্লগিং করতে চাইলে একটি কাস্টম ডোমেইন অ্যাড করে, ব্লগিং করা যাবে। অন্যান্য ব্লগিং প্লাটফর্ম ওয়ার্ডপ্রেসের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই হোস্টিং ক্রয় করতে হবে।
সে দিক থেকে ব্লগারে চাইলে ব্লগিং করে উপার্জন করা যাবে। তেমন একটা ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন পড়ে না।
নিশ কি?
যে টপিকে কিংবা ক্যাটাগরির ব্লগ লেখালেখি করছেন, সে টপিকই হলো নিশ।
তাছাড়া আপনি কিরকম কোয়ালিটি কনটেন্ট পাবলিশ করেন, এবং আপনার কনটেন্ট কত বেশি অর্গানিক ট্রাফিক আসে, তার ওপরও আপনার আর্নিং নির্ভর করে।
আমি আর একটি সুন্দর উদাহরণে দেখিয়ে দিচ্ছি যে, কত উপার্জন হবে।
ব্লগিং করে কত আয় করা যায় তা কিসের উপর নির্ভরশীল?
১। ভিজিটর
এখন ভিজিটরের সংখ্যা ও পরিমাণের উপর অবশ্যই ওয়েবসাইটের আর্নিং নির্ভর করে। আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর যদি 1000 হয় দৈনিক, তবে সেখান থেকে যত উপার্জন হবে। যদি ভিজিটর আপনার প্রতিদিন 100 হয়, সেখান থেকে তত উপার্জন হবে না।
২। এডে কত ক্লিক পড়ল
গুগল এডসেন্স সহ আরো কিছু ওয়েব মনিটাইজেশন প্লাটফর্ম আছে। সেখানে ad' এ ক্লিক করার পর আর্নিং আসে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সিপিসি থাকে। CPC এর মানে Cost Per Click। এর উপর আপনার আর্নিং নির্ভর করবে। কোন একজন ভিজিটর যদি আপনার এডে ক্লিক করে, তবে সেই ক্লিক করার কারনে আপনাকে পে করা হবে।
সিপিসি নির্ভর করে মূলত অডিয়েন্সের ধরনের উপর। তাছাড়া আপনার সাইটের নিশের উপরও নির্ভর করবে। নিশের উপর কিভাবে নির্ভর করবে তা আমি কিছুটা বলে দিয়েছি পূর্বের একটি ব্লগে।
সেখানে আমি বলেছিলাম যে, আপনার ওয়েবসাইট এর ধরনের উপর আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করা অ্যাড থাকবে। আর ঐ এডের উপর নির্ভর করবে আপনার উপার্জন। সেই অ্যাড কোম্পানি যদি ঠিকমতো টার্গেটেড অডিয়েন্স পায়, তবে বেশি বেশি পে করবে। যদি আপনার সাইট একটি নির্ধারিত ক্যাটাগরির হয়ে থাকে এবং ভিজিটর এডে বেশি ক্লিক করে। তবে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করা যাবে।
৩। ভিজিটরের ধরন
ভিজিটরের ধরনের উপরও ব্লগ সাইটের উপার্জন অনেকাংশে নির্ভরশীল। আপনি কোন ধরনের ভিজিটর সাইটে আনছেন সেটা হচ্ছে Main বিষয়। যদি অর্গানিক ভিজিটর অর্থাৎ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন থেকে নিয়ে আসেন, তবে সেখান থেকে ভালো উপার্জন হয়।
কিন্তু যদি আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট থেকে ভিজিটর নেন, তবে আয় অনেকাংশ কম হবে। তাই চেষ্টা করবেন অর্গানিক ভিজিটর আনার, যদি গুগল এডসেন্স এর মত থেকে বেশি আয় করতে চান তো।
অর্গানিক ভিজিটর কি?
যে সমস্ত ভিজিটর গুগল থেকে, অর্থাৎ গুগলের সার্চ রেজাল্ট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে আসবে, তাদেরকে অর্গানিক ভিজিটর বলে। তাছাড়াও bing, yahoo, baidu এর মতো সার্চ ইঞ্জিন থেকেও ভিও আসলে তারাও অর্গানিক।
তো এই গেল, বিভিন্ন বিষয়ের উপর আয় কিভাবে নির্ভর করে তা নিয়ে আলোচনা। অথবা বিশেষ স্ট্র্যাটেজির উপর আর্নিং কি রকম হয়? তার ব্যাপার স্যাপারও তুলে ধরলাম।
বাংলা ব্লগ থেকে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
বাংলা ব্লগ সাইটে মূলত বেশি উপার্জন হয়না। যেমনটা ইংরেজি ব্লগ সাইটে হয়ে থাকে। কারণ বাংলা ব্লগ সাইটের অডিয়েন্স মূলত বাংলাদেশি অথবা পশ্চিম ভারতীয় হতে কিছু হয়।
বাংলাদেশি অডিয়েন্সকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে এত বেশি উপার্জন হয় না। কারণ বাংলাদেশ এখনো ইন্টারনেট জগতে অতটা উন্নতি লাভ করেনি। যেমনটা ওয়েস্টার্ন দেশগুলোতে উন্নতি হয়েছে। যেমন একজন আমেরিকান কেউ একটি এডে ক্লিক করলে যত বেশি উপার্জন দিবে। বাংলাদেশের কোনো ভিজিটর এডে ক্লিক করলে তার থেকে 10 গুণ কম বা তে থেকেও কম উপার্জন দিবে।
বাংলা ব্লগিং করে আমি কত আয় করছি?
আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, আমি প্রতিদিন গড়ে 0.15 ডলার করে সিপিসি পাই। এবং আপনারা আমার ব্লগ গুলো দেখতে পাচ্ছেন। বিভিন্ন নিশের উপর ব্লগ লেখালেখি করি। আলাদা নিশ নিয়ে লেখালেখি করি না। চাইলে আপনিও মাল্টিপল নিশ নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। তাতে লেখা টপিকস এর কোনো অভাব হয়না।
এমন না যে, মাল্টিপল নিশে গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন দেয় না। বরং এতে কোনো সমস্যা হয় না। ব্লগে কিভাবে এড শো করাবে তা কন্টেন্টের কিওয়ার্ড ও অর্গানিক ট্রাফিকের ধরনের ওপর নির্ভর করে।
আমি প্রায় 12 থেকে 15 টাকা পর্যন্ত সিপিসি পাই। মানে প্রতিটি এডে ক্লিক করলে আমাকে গড়ে 13 টাকা দেয়। মাঝে মাঝে হঠাৎ করে সিপিসি বেড়ে যায়। কারন মাঝে মাঝে যদি আপনি সাইটে এমেরিকান ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন, তাহলেই হবে। যেমনঃ একদিন আমার সিপিসি ছিল প্রায় 70 টাকার মতো।
সেখানে আমাকে 160 টাকা এডে ক্লিক করায় দিয়ে দেয়। যেখানে একজন এমেরিকান ভিজিটর ক্লিক করেছিল। পরবর্তীতে কিছু বাংলাদেশেরও ক্লিক পড়ে। যার কারণে গড়ে 70 থেকে 80 টাকা সিপিসি হয়।
আপনি যদি আপনার আর্টিকেল গুগল সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করেন। তাহলে দেখবেন শুধুমাত্র বাংলাদেশের ট্রাফিক না, ভারত, নেদারল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এমনকি আমেরিকান ট্রাফিকও আসবে। যতবেশি কিওয়ার্ড নিয়ে ভালো ভালো পোস্ট করবেন তত ট্রাফিক বাড়বে।
আপনার ওয়েবসাইটে যদি 200 এর অধিক পোস্ট আপলোড হয় সবশেষে। তবে সেখান থেকে খুব দ্রুত কিছু পোস্ট র্যাংক করা শুরু করবে। আপনার ডোমেইন অথরিটি বেড়ে যাবে। এবং ব্যাপক উপার্জন হবে। কারণ হচ্ছে সেখান থেকে ট্রাফিক ও ভিউজ আসবে।
পড়ুনঃ
মাত্র 200-250 ভিজিটরে আমার দৈনিক উপার্জন হয় প্রায় 3 ডলার। মানে হলো এটা একদম কম না। কারণ আমি এত বেশি ট্রাফিক জেনারেট করতে পারিনি।
এখানে বলে রাখা ভালো, 300 থেকে 400 পেজভিউতে 2-3 ডলার উপার্জন করে নিই নিমিষেই।
এখন এই আর্নিং অবশ্য কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে যেমনঃ আপনি কত সুন্দর করে এড প্লেসমেন্ট করলেন। কিংবা ভালোমতো অ্যাডগুলো রিপ্লেসমেন্ট করতে পেরেছেন কিনা। সেটার উপর নির্ভর করে।
এজন্য অবশ্যই সাজেস্ট করব, গুগলের Auto Ads অন করে রাখার জন্য। আপনি এক মাস উপার্জন দেখে বুঝতে পারবেন না। গুগলের Auto Ads ঠিক মতো কাজ করার জন্য আপনাকে কমপক্ষে ২ মাস অপেক্ষা করতে হবে। তারপর দেখবেন এটা থেকে আপনার খুব দ্রুত আয় হচ্ছে।
একটা বিষয় বলে রাখা ভালো, আমার দৈনিক পেজ ভিঊ হয় 400 এর মত। আড়াইশো ভিজিটর নিয়ে যদি দৈনিক তিন ডলারের উপরে উপার্জন হয়। তবে আপনি যদি, 1000 ভিজিট করতে পারেন। মানে হচ্ছে আরও ব্লগ লেখালেখি করে 1000 ভিজিটর ডেইল আনতে পারেন।
তবে সেখান থেকে আপনি ডেইলি 8 ডলার উপার্জন করতে পারেন। এখন, 40 টা আর্টিকেলে যদি প্রতিদিন ২-৩ ডলার আয় করতে পারেন। তবে যদি আপনি আরো ভালো লেখালেখি করেন, বেশি বেশি পোস্ট করেন। এরকম সর্বমোট ২০০ আর্টিকেল পোস্ট করে নিলেন। আর তা থেকে দৈনিক 10 হাজার ভিজিটর আসবে, এটাই স্বাভাবিক। এরকম অনেক বাংলা ব্লগার আছেন এবং তাদের দৈনিক উপার্জন হয় 20 থেকে 30 ডলার। কিংবা তারও বেশি।
যদি ভাল সিপিসি পড়ে এবং ক্লিকও আসে। তবে সেখান থেকে দৈনিক 40-50 ডলারও উপার্জন করা যাবে। এই গেল একটি বাংলা ব্লগ সাইট থেকে কিরকম উপার্জন হয়, এই সমস্ত বিষয়।
ইংরেজি ব্লগাররা ব্লগিং করে কত টাকা আয় করে?
তো আমি যা বললাম, ইংরেজি ব্লগ সাইট থেকে মাসিক সহজে 2000 ডলার পর্যন্ত উপার্জন করা যায়। এবং এমন লোকের সংখ্যা একেবারে কম না। এটা কোনো বাংলা নয়। এটা হচ্ছে ইংরেজি ব্লগ সাইট। যেখানে প্রচুর ট্রাফিক জেনারেট করা যায়। একিভাবে সিপিসিও থাকে অনেক বেশি।
ভালো উপার্জন করার জন্য ভালো ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। তো আপনি যদি একটি ইংরেজি ব্লগ থেকে মাসিক 1000 থেকে 2000 ডলার উপার্জন করতে চান। তবে কম করে হলেও দুই বছর সময় দিতে হবে।
ইংরেজি সফল ব্লগারের অ্যাভারেজ স্যালারি হলো বছরের 32,800 ডলার।
তো একটা কথা বলে রাখি, যেটা আপনার বিশ্বাস নাও হতে পারে। এমন কিছু ব্লগার সম্বন্ধে আমি রিসার্চ করেছি, যারা বছরে 2 লাখ ডলার উপার্জন করে। এটা কিন্তু অনেক হিউজ পরিমান। তারা ফুলটাইম ব্লগার। মানে হলো তাদের মূল প্রফেশন ব্লগিং।
আর তারা অবশ্যই ইংরেজি ব্লগ সাইটে কাজ করে। আর মজার ব্যাপার হলো, তারা সপ্তাহে 10 থেকে 30 ঘন্টা কাজ করে। সেটা অনেক কম, তাদের উপার্জনের তুলনায়। তাদের কাজ করার পরিমাণটা অনেক কম।
এটা কেন হয়েছে? তার কারণ তার আগে থেকেই তারা ব্র্যান্ড ছিল। ডোমেন অথরিটি ছিল। এবং রেগুলার ট্রাফিক ছিল। যদি ফাইনান্সিয়াল বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করেন, সেখানে দেখবেন ব্লগে লেখালেখি কম হয়। কিন্তু সেই ব্লগগুলোতে ভিজিটর আসে মিডিয়াম লেভেলের।
পড়ুনঃ
মানে একেবারে কমও না, আবার বেশি না। কিন্তু উপার্জন হয় সবচেয়ে বেশি। তার কারণ সেখানে থাকে সর্বোচ্চ সিপিসি। একটি এডে ক্লিক করলে সবচেয়ে বেশি উপার্জন হয়।
যখন বেশি বেশি আর্টিকেল পোস্ট করবে। তখন বিভিন্ন আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনের টপ পেজে এড করা শুরু করবে। তারপর থেকে আপনাকে রীতিমতো বুঝেশুনে আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। এত তাড়াহুড়া করে আর্টিকেল পাবলিশ করতে হয়না। কেননা তখন সে সকল সার্চ পেজ থেকে আপনি ইতিমধ্যেই ট্রাফিক পাচ্ছেন।
তারচেয়ে বড় কথা, এমন কিছু ব্লগার আছে। যারা সপ্তাহে 10 ঘন্টা কাজ করে বছরে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার উপার্জন করছে।
তাছাড়া ব্লগপোস্ট পড়ার পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ স্বভাবতই একটি লেখা পড়ে বেশ উপকৃত হয়। সেখানে খুব সহজেই একটি ব্লগ মাপ অনুযায়ী দেখে নেয়া যায়। ব্লগ পোস্টের যে অংশটি জানতে চাচ্ছেন সেটি সেখানেই পড়তে পারেন।
কিংবা যখন আপনার কোন কিছু দরকার পরে, সেখান থেকে সহজেই জেনে নিবেন। ব্লগিংয়ের মান বাড়ছে। একইভাবে ব্লগ পোষ্ট পড়ার অডিয়েন্স এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ব্লগিং করাটাও সময়ের চাহিদা।
ইংরেজি ব্লগ থেকে আয় করবেন কারা?
এখন আপনি কি বাংলা ব্লগের থেকে নয়, বরঞ্চ ইংরেজি ব্লগ থেকে আয় করতে চাইছেন? কারণ ইংরেজি ব্লগ সাইটে অনেক বেশি আয় হয়। তাছাড়া ইংরেজি ব্লগ থেকে ট্রাফিক জেনারেট সহজ। ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে জানেন? উত্তর যদি হ্যা হয়, তবে আপনার জন্য তাহলে ইংরেজি ব্লগ সাইট হবে সর্বোত্তম।
কারণ সেখান থেকে একইভাবে এ দেশের ট্রাফিক আনতে পারবেন। পুরো বাংলাদেশ সহ পুরো পৃথিবীতে ইংরেজি লেখালেখি পড়া হয়। একইভাবে ইংরেজি ব্লগ সাইটগুলোর থেকে 10 গুণ বেশি আয় আসবে এটাই স্বাভাবিক।
ইংরেজি ব্লগিং করে মাসে 500 ডলার থেকে 2000 ডলার উপার্জন করা মোটেও কঠিন কিছু নয়। আপনার ব্লগ সাইট যদি সফলতা লাভ করে, ভালো ট্রাফিক জেনারেট করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি কিছু কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ হয়ে যায়। মানে হলো গুগলের প্রদর্শন করে।
পড়ুনঃ
তবে সেখান থেকে মাসিক 1000 ডলার উপার্জন যাবে এটাই স্বাভাবিক।
আমার মতে ব্লগিং করা অনেক বেশি পারফেক্ট। তার কারণ এটা আপনার নিজের উপর নির্ভর করে। আপনি কি রকম লেখা লিখছেন, কত সময় নিয়ে ব্লগ লিখছেন, তার উপর নির্ভর করে। আপনাকে অলটাইম কাজ করতে হয়না। আপনি চাইলে একদিন গ্যাপ দিলেও সমস্যা নেই। কিংবা প্রতিদিন ব্লগিং করতে হবে না।
যখন সময়ে পান, তখন একটি ভালো ব্লগ পোস্ট করে সেটাকে ভালোমতো অপটিমাইজ করুন। যাতে করে গুগলে র্যাংক করতে পারে। ব্লগিংয়ে আপনাকে অলটাইম জব করতে হয়না। আপনি ব্লগিং করতে চাইলে নিজের স্বাধীনতা পাবেন।
ইংরেজি ব্লগ থেকে কত আয় করতে পারেন?
ধরুন, আপনি একটি ইংরেজী ব্লগ সাইট শুরু করলেন। এবং সেখানে রীতিমতো ভালো ভালো ব্লগ পোষ্ট লিখেছেন। এবং ব্লগে যদি আপনি দৈনিক 2000 কিংবা 5000 ট্রাফিক জেনারেট করতে পারেন। তবে মাসিক ৫০০ ডলার উপার্জন করতে পারবেন।
আর সেই ৫০০ ডলার উপার্জন করা শেষে প্রথম বছরে আপনি যেটা নিবেন, সেটা শুরুর উপার্জন হবে। পরবর্তীতে দুই থেকে তিন বছর পার করে আপনি মাসে 2 হাজার থেকে তিন হাজার ডলার উপার্জন করতে পারবেন। অবশ্যই সেটা অডিয়েন্স নির্ভরশীল। আপনাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যে কোন টপিকে অডিয়েন্স নিচ্ছেন সেটাতে ইনকাম তারতম্য হবে।
ইংরেজি ব্লগ সাইটে আপনার অডিয়েন্স পুরো পৃথিবী জুড়ে। আপনার উপার্জন অনেকটা অডিয়েন্স নির্ভরশীল। আপনি যদি মাসিক 1,00,000 পেজভিউ নেন, তবে সর্বনিম্ন 500 ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 25 হাজার ডলার পর্যন্ত উপার্জন হবে।
তো আপনি যদি একদম একদম মধ্যম মানের উপার্জন নেন, তাহলে আপনি পাবেন বছরে 10,000 ডলার।
এখন কিছু সাধারন ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করি যে, কিছু কিছু ব্লগার কিভাবে মিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে পারে?🤨 বছরে। তাও ইংরেজি ব্লগ সাইটে কাজ করে।
তো আমি বলেছিলাম যে, কিছু কিছু ব্লগার বাৎসরিক মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে পারে। যারা ইংরেজি ব্লগ সাইটে কাজ করে, তারা অবশ্যই ফুলটাইম ব্লগার। তারা এরকম করতে পারেন। আপনি যদি ফ্রী টাইম ব্লগিং হিসেবে কাজ করেন, কিংবা ফ্রি টাইমে কাজ করেন। তবে এরকম আয়ের ধারে কাছেও যেতে পারবেন না।
আর হ্যাঁ, যদি একজন সফল ব্লগার হতে চান। অনেক ব্যাপারে জ্ঞান থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
এখন গুগল এডসেন্স থেকে তারা যে উপার্জন করে, তারা এর জন্য ব্যাপক প্রিমিয়াম এড নেটওয়ার্ক ব্যবিহাত করে। খুব মধ্যম মানের একটি প্রিমিয়াম এড নেটওয়ার্ক Ezoic।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি এডসেন্সের আয় 50 থেকে শুরু করে 100 ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি করাতে পারবেন। মানে আগে থেকে আয় দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
ঐসকল মিলিয়ন ডলার উপার্জনকারী ব্লগাররা প্রেমিয়াম এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। যেগুলোতে মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট থাকে মাসিক এক লক্ষ পেজভিউ। ঐ সমস্ত প্রিমিয়াম এড নেটওয়ার্ক থেকে খুব বেশি উপার্জন হয়। একইভাবে তারা বেশিরভাগ মনোযোগ দেয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং স্পন্সর পোস্ট এর উপর।
ধরুন আপনি একজন ইংরেজি ব্লগার। ইন্সুরেন্স রিলেটেড কোন একটি কিওয়ার্ডে নিজের পোস্ট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করিয়েছেন। মানে হলো ওই ইন্সুরেন্স রিলেটেড একটি ওয়ার্ড সার্চ করলে তার পোস্টটি প্রথম পাঁচটি পোস্টের মাঝে আসে।
ওই পোস্টে এফিলিয়েট লিংক করানোর জন্য কিংবা স্পন্সর করার জন্য বেশকিছু ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিযোগিতা করবে। সেখান থেকে হায়েস্ট দাম পিক করবে তাদেত সাথেই ঐ ব্লগার মূলত কন্টাক্ট করে নিয়ে নিবে। এভাবে সে শুধুমাত্র ইন্সুরান্স কম্পানি থেকে কয়েক হাজার ডলার উপার্জন করে নেয়।
আর যদি অ্যাডের কথা বলি সেখান থেকেও ভালো উপার্জন করতে পারে। এভাবেই মূলত খুব্য উপার্জন হয়।
এক নজরে ব্লগিং করে আয় করার উপায়গুলো
ওয়েব মনিটাইজেশন করে উপার্জনঃ
যখন আপনি ওয়েবসাইট মনিটাইজ করবেন। যে কোন এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। যেমন ধরুনঃ গুগল এডসেন্স(Adsense, Ezoic, Adsterra, Propeller Ads। এসকল এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ওয়েব সাইট মনিটাইজেশন করলে কিছু নির্ধারিত বিষয়ের উপর নির্ভর করে উপার্জন আসে। যেমনঃ
নিশঃ আপনার ব্লগ সাইট কি টপিকের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে, তাই নিশ। আপনার ওয়েবসাইটের ধরন কি, কোন টপিকের উপর আপনার ব্লগ সাইট তৈরি হয়েছে তার ওপর আপনার অডিয়েন্সের ধরন নির্ভর করে। অডিয়েন্সের ধরন উপার্জন করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি জরুরী। কারন কোন ধরনের অডিয়েন্সকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে একত্র করছেন সেটা বড় বিষয়।
ধরুন আপনার ব্লগ সাইটটি একটি ট্রাভেলিং ব্লগ সাইট। মানে আপনি ভ্রমণ করেন, কিংবা ভ্রমণ বিষয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কিংবা কোন একটি Tourist Spot, একইভাবে কোথাও ভ্রমণ করল কোন হোটেলে উঠতে হবে, সেখানে কি কি করতে হবে, কি কি জানা আবশ্যক সেখানে যাওয়ার আগে কি জানা লাগে, এসব ব্যাপার নিয়ে ব্লগিং করেন।
আপনি অবশ্যই নিজের ওয়েবসাইটে একত্র করেন তাদেরকেই যারা ট্যুরে যাবে, বা কোন একটি জায়গায় ভ্রমণ করতে চাইবে।এড নেটওয়ার্ক গুলো ওয়েবসাইটের ধরন বা নিশের উপর ভিত্তি করেই বেছে বেছে এড প্রদর্শন করায়। যাতে করে অডিয়েন্স এড ক্লিক করে। এবং এর ক্লিক করার পরিমাণ বাড়ে। এতে করে এড নেটওয়ার্কগুলো ঐ সকল ওয়েবসাইট কিংবা ব্র্যান্ড থেকে উপার্জন পায়, যারা ওই এডটি তাদের কাছে দিয়েছে।
এবং তার থেকে আপনারও মুনাফা আসে। এসমস্ত ব্যপারে আপনার অনেক ক্ষেত্রে ইনকাম নির্ভর করে। যেমন আপনি যদি ট্রাভেলিং নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করেন। এ সমস্ত এড আপনাকে যথেষ্ট পরিমান ভালো উপার্জন দিবে।
অপরদিকে আপনি যদি নিউজ পেপার বা নিউজ সাইট খোলেন। যেখানে প্রতিনিয়ত ব্লগের মত কনটেন্ট আপডেট দেন। তবে সেখান থেকে নির্ধারিত কোন এড নেটওয়ার্ক যাচাই করে নেয়া যায়না। সেখান থেকে কোনো টপিকের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট নির্ধারিত ভাবে প্রদর্শন করা যায় না।
যার কারণে নিউজপেপার সাইটগুলোতে অডিয়েন্সের পরিমাণের তুলনায় আয় কম হয়। একইভাবে আপনি যদি শিক্ষা ও গেইমিং নিয়ে একটি ওয়েবসাইট খুললেন সেখানে ততো বেশি ইনকাম হবে না। যতটা ইনকাম হবে অর্থনীতি ও ফিন্যান্স নিয়ে তৈরি ব্লগে।ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় জানুন।
তাছাড়া যারা ফরেক্স ট্রেডিং, বিভিন্ন কারেন্সি লেনদেন, ব্যাংকিং বিষয়াদি তাছাড়া বীমা ও ইন্সুরেন্স নিয়ে লেখালেখি করেন। ঐ সমস্ত ফিন্যান্স ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করা যায়।
UPDATE : ব্লগিং করে বর্তমানে প্রতি হাজার ভিউতে গড়ে ৬ ডলার ইনকাম হয়। এভাবে ৪৫ হাজার ভিজিটে ইনকাম হচ্ছে মাসিক গড়ে ২০০ ডলার।
আমি নতুন সাইট খুলেছি,মাত্র দুদিন হলো।সাতটা আর্টিকেল লিখেছি।আমি ব্যক্তিজীবনের দরকারী সকল টিপস্ নিয়ে ব্লগ লিখার জন্যই সাইট টা খুলেছি।কিন্তু কথা হলো টিপস্ নিয়ে লিখে কি মনিটাইজেশন পাবো?আর আমি একদম নতুন গাইড করার কেউ না আমার সাইট টা ইকটু দেখে দিয়ে বলবেন প্লিজ আমার লিখার মান কেমন?আমি কি সামনে এগোতে পারবো?
ReplyDeleteজ্বী, অবশ্যই সহযোগিতা করতে পারি। ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য।
Deleteআপনার ব্লগের লিংক দিন আপু ।
ReplyDeleteআপনার পোষ্টগুলা এক/ দেড় হাজার শব্দের লিখবেন এরপর 25/30 টা ব্লগ লেখার পর এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। আশা করি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন । লিংক দিয়েন
ব্লগিং নিয়ে চমৎকার একটি লেখা। এ সংক্রান্ত আরেকটি আরেকটি লেখা দেখে নিতে পারেন
ReplyDeletehttps://12mishali.com/archives/1661
ore mora. boleche je nijer bloger link na dite.
Deletemurkho konker
Valo likhechen vai...puro beparta sposto chilo..amio try korchi likha likhir..Dua chai Rakib vai..R help korar sujug thakle..koiren..
ReplyDeleteশুভকামনা রইলো❤️
Deleteআপনার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে? ভাই। 🥺🥺
ReplyDeleteনতুন হিসেবে দোয়া চাই
ReplyDeleteধন্যবাদ এমন তথ্যবহুল আর্টিকেল শেয়ার করার জন্য। অনেক উপকৃত হলাম।
ReplyDeleteআপনাকেও ধন্যবাদ ব্লগটি পড়বার জন্য।
Deleteখুব সুন্দর লিখেছেন ব্লগিং বিষয়টি। পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ
ReplyDeleteআসাধারন পোষ্ট। ধন্যবাদ৷ আনেক কিছু শিখতে পারলাম
ReplyDeleteঅনেক ভালো লিখেছেন ভাই।
ReplyDeleteঅসাধারন লেখা, পড়ে খুবই ভালো লাগলো, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ReplyDelete