প্রতিদিন ফ্রি টাকা ইনকাম করুন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব, যে কিভাবে ফ্রিতে টাকা উপার্জন করতে পারেন। ফ্রি টাকা ইনকাম করতে , অর্থাৎ আপনি দৈনিক ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে ঘরে বসেও আপনি ফ্রিতে আয় করতে পারবেন।
{tocify} $title={Table of Contents}
অনলাইনে কিছু সাধারণ কাজ করে ঘরে বসে ফ্রি ইনভেস্টমেন্টেই প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করা যায়, শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা লাগে। ইন্টারনেটে ব্লগিং, ওয়েবসাইট তৈরি কিংবা মাইক্রো জব করে আমরা ফ্রি টাকা ইনকাম করে নিতে পারি।
ফ্রিতে টাকা ইনকাম বলতে কি বুঝায়?
কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই উপার্জন করাকে ফ্রী টাকা ইনকাম বলতে বুঝানো হয়েছে। অনলাইন কিংবা অফলাইন যেকোন উপায়ে উপার্জন করার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন পড়ে। সেটা হতে পারে টাকা ইনভেস্ট করা। অথবা কোন সম্পদ ইনভেস্ট করে উপার্জন।
কিন্তু আমি আপনাদের মাঝে এমন কতগুলো উপায় শেয়ার করব, যার মাধ্যমে আপনি ভালো আয় করতে পারেন। কোন প্রকারের টাকা ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই। শুধুমাত্র নিজের মেধা ইনভেস্ট করলেই চলবে।
ফ্রি টাকা ইনকাম করার ১২টি উপায়ঃ
বাংলাদেশে কোন ইনভেস্ট ছাড়াই ফ্রি টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু ভালো উপায় আছে। যার মাঝে আছে ইউটিউবিং, ব্লগিং, অনলাইন টিউশান, টিউটোরিয়াল লেখালেখি, কোচিং করানো ইত্যাদি।
১। বিটকয়েন মাইনিং ফ্রি টাকা ইনকাম।
বিভিন্ন স্ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ সাইটে মাইনিং করা যায়। এরজন্য faucetpay এবং crypto express সাইট দুটিতে করতে পারেন। তাছাড়াও কিছু প্লে স্টোর এপে গেম খেলে বিশ্বস্ততার সাথে ৫০০-১০০০ সাতোশি সহজেই নেয়া যায়। এরকম করে মোট ১০০০০ সাতোশি হলে faucetpay, crypto express থেকে কয়েন বেসে পাঠাতে পারবেন। পরে সেটি বিকাশে উইথড্র করিয়ে নিতে পারবেন। এখানে মাইনিং করিয়ে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২। কনটেন্ট রাইটার হোন।
ফ্রি টাকা ইনকাম করার জন্য কনটেন্ট রাইটার দের লেখালেখি অনেক জরুরী। কারণ কনটেন্ট রাইটার বা নিজ থেকে একটি কনটেন্ট লিখলে মূল্য পরিশোধ করে বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশাররা। যারা নিজের ব্লগ সাইট কিংবা ওয়েবসাইট আপডেটেড রাখে, তারা আপনার আর্টিকেল যথেষ্ট মূল্য প্রদান করবে।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট অথবা ফাইবারের মত ভাল মার্কেটপ্লেসে ভালো আয় হয়। pratiborton, jit.com.bd এবং techtunes এ কন্টেন্ট লিখেই প্রতিদিন ৫০০ টাকা সহজেই আয় করা যায়। এ সম্বন্ধে আরো ভালো জানতে নিচের পোস্টটি পড়ুন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক BWM Shop নামক একটি মার্কেটপ্লেস তৈরি হয়েছে। যেখানে ফাইবারের মত করে কাজ করা যায়। নিজের আর্টিকেলস পাব্লিস করার সার্ভিস প্রদান করা যায়। সেটা করে প্রকাশ করে দিলেই চলে ।
তারপর সেখান থেকে বেশি বেশি ভিও আসলে, কাস্টমার বেশি পাবেন। পাশাপাশি উপার্জন হবে বেশি। বাংলাদেশী ওয়েবসাইট সরাসরি বিকাশ পেমেন্ট করে থাকে।কন্টেন্ট রাইটার হলে টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে না বলে এভাবে ফ্রিতেই আয় হয়।
৩। Blogging (অনলাইনে লেখালেখি) করে ফ্রি টাকা আয়
যদি আপনি লিখতে পছন্দ করেন, তাহলে ব্লগিং হবে আপনার জন্য সর্বোচ্চ ভালো। এটি আপনাকে আনন্দ দিবে । মানুষের মাঝে নিজের জ্ঞান শেয়ার করতে পারবেন লেখালেখির মাধ্যমে।
অনেকেরই ঘরে বসে ডায়েরি লেখার মত শখ থাকে। তারা চাইলে অনলাইনে সে ডায়েরি লেখাকে কনভার্ট করে ব্লগিং এ পরিণত করতে পারে। ব্লগিং অনেক জনপ্রিয় একটি পেশা। ব্লগাররা মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারেন।
পড়ুনঃ
অনেক ফুলটাইম ব্লগাররাও মাসে হাজার হাজার ডলার উপার্জন করে নিচ্ছে। শুধু মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টা দৈনিক ব্লগিং করে।
একটি ব্লগ শুরু করার আগে আপনাকে লেখালেখি কে ভালবাসতে হবে। পাশাপাশি নিজের জ্ঞান, ধারণা, টিপস ও ট্রিকস অডিয়েন্সের কাছে প্রকাশ করতে হবে। কোনো রকমের স্প্যামিং কিংবা ভুয়া তথ্য দিয়ে ব্লগিং শুরু করলে সফল হওয়া যায় না।
ব্লগিং ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াও শুরু করা যায়। আপনি চাইলে আমার মতো করে ব্লগার(blogger) প্ল্যাটফর্মে সহজেই ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন।
ব্লগার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে আমি ১০০ টাকা ইনভেস্ট করে ব্লগ সাইট তৈরি করি। এখন দৈনিক ২০০ টাকা আয় করতে পারি মাত্র ৩০০-৩৫০ ভিজিটর নিয়ে। এটা আমার ক্ষেত্রে ফ্রিতেই আয় হয়ে যাওয়ার মত।
আপনি যদি দৈনিক ১০০০ ভিজিটর নিতে পারেন, তবে ৫-৬ ডলার উপার্জন করতে পারবেন। যদি ভালো ব্লগ হয়, তাহলে দৈনিক ৫০ ডলারও উপার্জন করা যাবে। সেখানে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করা কোনো ব্যাপারই মনে হবে না।
৪। ইউটিউব ভিডিও আপলোড করে ইনকামঃ
ইউটিউবিং করে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে। আপনার একটি এন্ড্রয়েড ফোন থাকলে আপনি চাইলে ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন ।
এমন অসংখ্য ইউটিউবার রয়েছেন, যারা শুধুমাত্র স্ক্রিন রেকর্ড দেখিয়ে ইউটিউবার হয়ে গেছেন। এজন্য আপনার কোন good-looking ও প্রফেশনালিস্ট হওয়ার দরকার পড়ে না।
যে বিষয়ে আপনি দরকার, সেটি সাজিয়ে-গুছিয়ে ভিডিও আকারে প্রকাশ করতে পারলেই চলবে। ইউটিউবে দৈনিক মিলিয়ন মিলিয়ন ইউজার অ্যাড হচ্ছে।
এবং ইউটিউবে ভিডিওগুলো দৈনিক কয়েক বিলিয়ন সংখ্যকবার দৈনিক ভিও হয়। অর্থাৎ এখানে ভিজিটরের কোন অভাব নেই। এই প্লাটফর্মে ভিজিটর কালেক্ট করার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে। যেমনঃ
আপনার একটি নির্দিষ্ট টপিক কিংবা ক্যাটাগরি থাকতে হবে। তার ফলে ওই ক্যাটাগরি রিলেটেড থেকে অডিয়েন্স বের করা সহজ হবে। আপনি একাধিক নিশ নিয়ে কাজ করবেন, এমনটা না করে , একটি আলাদা ক্যাটাগরি বা নিশ নিয়ে কাজ করলে ভালো হয়।
ইউটিউবিং করার পর যখন আপনি 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম শেষ করবেন। পাশাপাশি 1000 সাবস্ক্রাইবার নিবেন। পরবর্তীতে আপনি ইউটিউব মনিটাইজেশন শুরু করতে পারেন।
পড়ুনঃ
বাংলাদেশে ইউটিউব মনিটাইজেশন এর প্রতি হাজার বিরুদ্ধে 5 ডলার ফ্রি টাকা ইনকাম করা যাবে।ইউটিউব মনিটাইজেশন এ, প্রতি 1000 ভিউতে সর্বনিম্ন 1 ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 5 ডলার পর্যন্ত উপার্জন করা যাবে।
যদি আপনার চ্যানেলটি বাংলাতে হয়, আপনি চাইলে শিক্ষামূলক চ্যানেল খুলতে পারেন। যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে সাজিয়ে সাজিয়ে বুঝিয়ে ভিডিও আপলোড দিবেন।
৫। অনলাইনে টিউশন করানোঃ
অনলাইনে টিউশন করিইয়ে অনেক ভালো ইনকাম হয়। কোনো ইনভেস্ট ছাড়াই ফ্রী টাকা ইনকাম করা যায়। তার জন্য বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট আছে। বিভিন্ন কোর্স, টিউটোরিয়াল লিখে টাকা উপার্জন করা যায়।
তার জন্য udemy.com এর মতো ভালো অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম আছে। একইভাবে আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হন। তবে ইংরেজি টিউশন করিয়ে দৈনিক প্রতি ঘন্টায় ১০ ডলার উপার্জন করতে পারেন। তার জন্য আছে VipKid নামক একটি ভালো সাইট। যেখানে ছোট বাচ্চাদের ইংরেজি শিখিয়ে সহজে উপার্জন করা যায়।
৬। ফ্রীল্যান্সিং করুন, ফ্রি টাকা ইনকাম নিন।
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সকলেরই নিজস্ব প্রফেশন। কিংবা স্বপ্ন যদি হয় ফ্রীল্যান্সিং, আপনি এখনই ছাত্রাবস্থায় থাকা কালীন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকে পড়তে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিংইয়ে মাঝেমধ্যে চর্চা করলে ভবিষ্যতে কাজে আসবে। যখন ফ্রিল্যান্সাররা সফল হয় , তখন মাসিক লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে নিতে পারে। ভালো ফ্রিল্যান্সাররা কখনই থেমে থাকে না। আপনি এ বিষয়ে কোর্স গ্রহণ করে শীঘ্রই ফ্রীলান্সিং নলেজ উন্নত করুন।
৭। এফিলিয়েট মার্কেটিং বা এফিলিয়েশন ব্লগিং
ব্লগিং শুরু করার পর আপনি চাইলে মনিটাইজ করতে পারেন। কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এই উপায়টি মূলত অ্যাফিলিয়েট ব্লগিং এর জন্য।
অনেকেই আফিলিয়েশন করা নিয়ে একটি ব্লগ সাইট খুলে। যারা নিজের ব্লগ কে কোন প্রকার মনিটাইজেশন না করে শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টের জন্য ব্লগ তৈরী করে। খুব ভালো উপার্জন আসে।
পড়ুনঃ
আপনারা চাইলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার রয়েছে, অর্থাৎ বিভিন্ন নিজের ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে।
তারা মাসে লাখেরও বেশি উপার্জন করতে পারে। কাজেই, যদি আপনি ব্লগিং শুরু করেন, তবে অ্যাফিলিয়েট ব্লগিংয়ের দিকেও একটু মনোযোগ দিবেন। অর্থাৎ বিভিন্ন অনলাইন শপের প্রোডাক্ট রিভিউ দিয়ে সেগুলোর এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে দিবেন আরকি।
৮। হস্তশিল্প অনলাইনে বিক্রি করুন, প্রতিদিন কম করে ১০০০ টাকা আয় হবে।
ঘরে বসে হাতের তৈরি বিভিন্ন শিল্প কিংবা কারুকাজ সকলেরই তৈরি করার শখ থাকে। আপনি যদি ঘরে বসে ছোট ছোট হাতের কাজ দেখে বিভিন্ন শিল্প তৈরি করতে জানেন। যেমনঃ ফেসবুক পেজ অথবা একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট। সেখান থেকে ভালো সেল হবে। এবং ইনকাম করাও যাবে।
বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই টি শার্ট তৈরি করিয়ে অনলাইনে বিক্রি করছে। এর জন্য শুধুমাত্র একটি টি-শার্টের ডিজাইন নিজে্র মতো তৈরি করতে হয়।
টি-শার্টের কোয়ালিটি ভালো কাপড়ের উপর ভিত্তি করে। বাকিটা হচ্ছে ডিজাইন। ডিজাইন দিতে পারেন।
ডিজাইনেবল টি-শার্টের কদরই বেশি থাকে। তার কারণ, কেবলমাত্র কাপড়ের কোয়ালিটি দিয়ে সবকিছু হয়না । টি-শার্টের মননশীলতা দিয়ে ব্যাক্তি রুচি প্রকাশ পায়।
৯। Photography করে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করুন।
অনেকেই আমরা সেমি ডিএসএলআর ক্যামেরা, কিংবা ল-রেঞ্জের ডিএসএলআর ক্যামেরা ব্যবহার করি। অথবা যে কোন একটি ভালো ফোন, যেখানে ভালো পিক্সসেল ক্যামেরা আছে। তা হলেই চলবে।
সে ক্যামেরা দিয়ে ফটোগ্রাফি শুরু করতে পারেন। MiPic নামক ভালো ওয়েবসাইট আছে। যেখানে নিজের তৈরি ফটোগ্রাফি বিক্রি করে ডলার উপার্জন করা যায়।
যেকোনো বিবাহের, জন্মদিন কিংবা উৎসব অনুষ্ঠানের ফটো গুলো বিক্রি করে ভালো উপার্জন হয়।এসমস্ত নিচের সাইটগুলোতে ফটোগ্রাফি করে ফ্রি টাকা ইনকাম করে নেয়া যায়।
gettyimages১০। লোকাল মার্কেটিং করতে পারেন।
আপনি চাইলে লোকাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। লোকাল বা স্থানীয় বিভিন্ন পণ্য কিংবা দোকান থাকে। সেগুলোর ইলেকট্রনিক্স পণ্য গুলো একটি লোকাল ফেসবুক ফ্যানপেজ এর মধ্য দিয়ে মার্কেটিং করাতে পারেন।
এ ধরনের চিন্তাভাবনা বাংলাদেশে সম্ভব হয়নি। তবে শীঘ্রই এরকম কিছু উদ্যোগ আসবে। তার মানে নিজস্ব লোকাল পণ্যগুলো এডভারটাইজিং তাদের একটি সোশ্যাল পেজের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। এটা অবশ্যই লোক্যালিটির একটি ফেসবুক পেজ।
১১। নিউজ সাইট তৈরি করে উপার্জন।
আপনি চাইলে একটি নিউজ চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। নিউজ চ্যানেলে কনটেন্ট তৈরি করার জন্য বেশ মেহনত করতে হয় না। তার কারণ নিউজ চ্যানেলের কনটেন্টগুলো বেশিরভাগ একই ধরনের হয়।
একই ধরনের নিউজ সবাই ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশ করে। তবে নিউজ এর মূল প্রেক্ষাপট সূত্র একই থাকে। এরকম দৈনিক ভালো ভালো নিউজ সাইট গুলো 20 থেকে 30 টি আর্টিকেল পাবলিশ করে।
আপনি যদি দৈনিক 5 থেকে 10 টি নিউজ পাবলিশ করতে পারেন, তাহলে মোটামুটি আঙ্গিকে নিউজ সাইটটি চলবে।একটি নিউজ সাইটে মাসিক তিনশো এর মত আর্টিকেল প্রকাশ পায়।
তার চেয়েও বেশি আর্টিকেল প্রকাশ পেতে পারে। কারণ নিউজ সাইট সবসময় আপডেট থাকে। নিউস সাইটে বেশি ট্রাফিক আসে। নিউজ সাইটে ভালো ভিজিটর কালেক্ট করতে পারলে কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রি টাকা ইনকাম করুন।
তার কারণ বিভিন্ন আর্টিকেল থাকে, আর্টিকেল সংখ্যা বেশি থাকে বিধায় কিছু কিছু আর্টিকেল র্যাংক করে । আর্টিকেল যখন র্যাং ক করবে, তখন গুগলের সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক আসবে। তাছাড়া নিউস সাইটগুলোতে সোশ্যাল ট্রাফিক আসে বেশি বেশি। বেশি ট্রাফিক আসলে সেগুলো
মনিটাইজ করানোর জন্য বিভিন্ন এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করানো যায়।
১২। সেলসপারসন হয়ে কাজ করুন অনলাইনে।
আপনি চাইলে অনলাইনে সেলসপারসনের কাজ করতে পারেন। এটি একটি ভাল দিক। এজন্য আপনাকে কাস্টমারদের নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব রাখতে হবে। একটি ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ্লিকেশান ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করতে হতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার অনলাইনে কাজ করে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর কদর বেড়েই চলছে। তার কারণ, যেকোন একটি সোশ্যাল মিডিয়া পেজে প্রোফাইল ম্যানেজ করার জন্য একজন ম্যানেজার প্রয়োজন আছে।
যারা অনলাইনে যে কোন একটি ভালো প্রফাইল পেজ ম্যানেজ করে।বড় বড় সেলিব্রিটি ওয়েবসাইট বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ফেসবুক পেজ, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে ম্যানেজার থাকে।
সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ম্যানেজ করে থাকে। তার জন্য কাস্টমারদের নিয়মিত পোস্ট করতে হয়। সেগুলো জন্য ভালো চিত্র ও ফটো আপলোড করা যায়। সে ফেসবুক পেজ যাতে বুলিংয়ের সেটা না হয়, কিংবা স্প্যামিংয়ে যাতে কমেন্ট বক্স ফুল না হয়। সেগুতে নজর রাখে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার।
১৩। অনলাইন কল সেন্টারে কাজ করুন।
আপনি চাইলে কল সেন্টারে কাজ করতে পারেন। বাংলাদেশের কল সেন্টারে বসে অনেকেই ভালো উপার্জন করতে পারছে। কল সেন্টারে কাজ করতে উপার্জন করবেন। তা জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ে নিলে উপকৃত হবেন।
১৪) লটারি খেলে ফ্রী টাকা ইনকাম
লটারিই একমাত্র ফিতে আয় করার উপায়। এখানে ফ্রী লটারির জন্য নম্বর, ইমোজি অথবা বার্থ ডেট বাছাই করে ইনকাম করে নেয়া যায়। অনলাইনে ফ্রি লটারি করে আয় করার কিছু মাত্র সাইট আছে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাইট নিয়ে নিচের ব্লগে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যাবে।
১৫) সার্ভে করে ফ্রি টাকা ইনকাম
লোকেদের কাছে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটি জনপ্রিয় উপায় হলো অবসর সময়ে অনলাইন সমীক্ষা পূরণ করা। গবেষণা সংস্থাগুলি সর্বদা জরিপের উত্তর দিতে এবং নতুন নতুন পণ্য পরীক্ষা করার জন্য বিশ্বব্যাপী নতুন সদস্যদের নিয়োগ করছে।
ফর্ম পূরণের কয়েক মিনিটের জন্য, প্রতিটি জরিপের জন্য ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
চেষ্টা করার জন্য কয়েকটি ভাল জিনিস হল: ব্র্যান্ডেড সার্ভে , Swagbucks , Toluna , Pinecone , LifePoints , i - Say , Opinion Outpost , YouGov , Prizerebel , Marketagent , InboxPounds , Valued Opinions , The Opinion Panel , Mingle Bureau , Opinion Panel , Opinion Panel বেস , ওয়াই লাইভ , সার্ভে জাঙ্কি ।
১৬) ওয়েব ব্রাউজিং বা অনুসন্ধান করে ইনকাম।
আপনি ইতিমধ্যে অনলাইনে যা করছেন, মানে ব্রাউজিং করে দ্রুত অর্থ উপার্জন করতে আগ্রহী? এটি অনলাইনে অর্থ উপার্জনের অন্যতম সহজ এবং ফ্রী উপায়।
Qmee.com আপনাকে Google, Bing, Yahoo, Amazon এবং eBay-এর মত ওয়েব ব্রাউজিং বা অনুসন্ধান করার জন্য পুরস্কৃত করবে। একটি সাধারণ ব্রাউজার এক্সটেনশন ইনস্টল করুন। এবং স্পনসর করা ফলাফলগুলি আপনার সাধারণ অনুসন্ধান ফলাফলের পাশাপাশি দেখাবে৷
qmee পেইড সার্চ
প্রতিটি Qmee ফলাফলের জন্য নগদ পুরস্কার সংযুক্ত আছে। আপনি যদি আগ্রহী হ,ন তবে এটিতে ক্লিক করুন এবং আপনার পুরস্কার সংগ্রহ করুন। আপনি আরও উপার্জন জরিপ সম্পূর্ণ করতে পারেন।
এখানে পেপাল, বিটকয়েনে টাকা উইথড্র করাতে পারবেন।
শেষকথাঃ
ফ্রী টাকা ইনকাম করা নিয়েই আজকের ব্লগ। এসব উপায়ে কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আপনি অনায়াসে দৈনিক 1000 টাকা আয় করতে পারেন। ভালো লাগলে শেয়ার করে নিন। আর স্ক্রীনের ডানপাশের বেল আইকনে ক্লিক করে সাবস্কাইব করুন।
পড়ুনঃ