গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্বন্ধে জানতে চাইছেন? এডসেন্স পাওয়ার উপায় জানতে চাইছেন? তাহলে পুরো ব্লগটি পড়ুন। তো আগে প্রথমেই ক্ষমা চাইছি আপনাকে বিরক্ত করার জন্য। কেননা আমরা Google Adsense নিয়ে আলোচনা করছি। যেখানে পূর্বেই Google Adsense নিয়ে ইন্টারনেট অনেক লেখালেখি হয়েছে। এবং গুগলে এ ব্যাপারে সার্চ করলে এ বিষয়ে অসীম রকমের কন্টেন্ট পাবেন। তাহলে কেন আমি আবার এই বিষয়টাকে ঘুরেফিরে সবার সামনে নিয়ে এলাম? আজকে আমরা
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার বিস্তারিত সকল কিছু জানাবো। কেনই বা টাইটেল এর সামনে গাইডলাইন লাগিয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করছি? এর কারণ আপনাদের জানান দেয়ার বাড়তি কিছু আছে। তো আমরা Google Adsense সম্বন্ধে ছোটখাটো সবকিছুই জানি। এতটুকু যে, Google Adsense প্রোগ্রাম ব্যবহারে অ্যাড শো করে আয় করা যায়। অথবা এখানে অ্যাড পাবলিশার হিসেবে কাজ করা যায়।
গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় বুস্ট করার উপায় সম্বন্ধে জানবো। আমরা সবাই এতোটুকু জানি না যে, কি পরিমান ইনকাম করা যায়? কিভাবে এই ইনকাম আরো বাড়ানো যায়। এডসেন্স ব্যবহার থেকে আরো বেশি আয় করার উপায় গুলো আজকে জানা যাবে।
একই ক্যাটাগরির দুটি ব্লগসাইটে কখনো একই ভিজিটর থাকে না। ভিজিটর থাকলেও গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করা থাকে না। এডসেন্স এপ্রুভ করা থাকলেও সমান ইনকাম হয় না।
গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় কিসের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ সিপিসি রেট ও ক্লিক।অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে কিন্তু এটা বুস্ট করবো কি করে? তার আগে বলি সিপিসি রেট মানে কোনো অ্যাডে প্রতি ক্লিকে কত আয় হয়? আর এখানে ক্লিক বলতে টোটাল ক্লিক করার সংখ্যাকে বোঝানো হয়েছে।
হয় তো এটার উত্তর দিতে গিয়ে অনেকে বলবে যে ভিজিটরের কারণেই এডসেন্সের আর্নিং ও এর থেকে আয়ে এরকম পরিবর্তন হয়। অনেক ক্ষেত্রে এটার উত্তর ভিজিটরের মধ্য দিয়ে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না।
তো এডসেন্স ব্যবহার করে কিভাবে বেশি ইনকাম করা যায়? এবং তার উপায় গুলো সম্বন্ধে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। তার আগে কিছু প্রশ্ন ব্লগে তুলে ধরছি।
আপনাদের করা বিভিন্ন প্রশ্নঃ
এটি সকল ওয়েবসাইটের (অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইট ব্যতিত) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। এপের জন্য অবশ্য অ্যাডমোব নামক অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে। ওটাও গুগলেরই প্রোডাক্ট।
অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে তখনই বেশি পরিমাণ আয় করা সম্ভব, যখন আপনার অ্যাড এ ক্লিক পড়বে বেশি। অ্যাডে ক্লিক বেশি পড়ার উপায় আমি বিস্তারিত উল্লেখ করেছি।
নতুন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটের জন্য গুগল এডসেন্স সবচেয়ে দ্রুত ইনকাম করার পন্থা। তো কেন শুধুমাত্র নতুন ওয়েবসাইটই গুগল এডসেন্স ব্যবহার দ্রুত পদ্ধতিতে আয় করার একমাত্র উপায় হবে?
তার কারণ নতুন ওয়েবসাইটগুলোতে স্বভাবতই কোন স্পন্সর কন্টেন্ট অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থাকে না। থাকলেও সেগুলো বেশিরভাগ কাজে দেয় না। তবে সে ক্ষেত্রে এডসেন্স কোনো একটি র্যাংক করা সাইট আর বিগিনার সকল সাইটকে সমান ভাবে গুরুত্ব দেয়। একটি পুরোনো সাইটের সমতুল্য ভিজিটর নতুন সাইটে থাকলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় একই রকম করা সম্ভব।
তবে যে ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, এবং বিভিন্ন অনলাইন প্রডাক্ট সেল করার প্রজেক্ট থাকে, সেগুলোতে এডসেন্স থেকে 10 গুণ বেশি আয় করা যায়।
প্রতিটি বিষয়ে সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। তো একই ভাবে গুগল এডসেন্স এরও সুবিধা ও অসুবিধা আছে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।
হয় তো এটার উত্তর দিতে গিয়ে অনেকে বলবে যে ভিজিটরের কারণেই এডসেন্সের আর্নিং ও এর থেকে আয়ে এরকম পরিবর্তন হয়। অনেক ক্ষেত্রে এটার উত্তর ভিজিটরের মধ্য দিয়ে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না।
তো এডসেন্স ব্যবহার করে কিভাবে বেশি ইনকাম করা যায়? এবং তার উপায় গুলো সম্বন্ধে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। তার আগে কিছু প্রশ্ন ব্লগে তুলে ধরছি।
আপনাদের করা বিভিন্ন প্রশ্নঃ
- অ্যাডসেন্সের ইনকাম কিসের উপর নির্ভর করে?
- এডসেন্স ব্যবহার করে কিভাবে বেশি ইনকাম করা যায়?
- কিভাবে ইনকাম ধীরে ধীরে বাড়ানো যায়?
- এডসেন্স ব্যবহার ছাড়াও বেশি আর্নিং করার উপায় কি?
গুগল এডসেন্স | Google Adsnese কি?
গুগল এডসেন্স হলো একটি গুগল প্রদত্ত অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্রোগ্রাম। এখানে এডসেন্স মূলত ওয়েবসাইট, ব্লগে ও ইউটিউবে অ্যাড শো (দেখানো) করার জন্য এলাও করে। অর্থাৎ আপনার সাইটে যদি কোনভাবে এডসেন্স এপ্রুভাল নিতে পারেন, তবে এডসেন্স ওয়েবসাইটে অ্যাড চালনা করার সুযোগ- সুবিধা প্রদান করবে ।এটি সকল ওয়েবসাইটের (অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইট ব্যতিত) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। এপের জন্য অবশ্য অ্যাডমোব নামক অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে। ওটাও গুগলেরই প্রোডাক্ট।
অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে তখনই বেশি পরিমাণ আয় করা সম্ভব, যখন আপনার অ্যাড এ ক্লিক পড়বে বেশি। অ্যাডে ক্লিক বেশি পড়ার উপায় আমি বিস্তারিত উল্লেখ করেছি।
Google Adsense অ্যাড কিভাবে কাজ করে?
বিভিন্ন অ্যাডভারটাইজার অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আসে বিভিন্ন অ্যাড, যেগুলো গুগল অ্যাডওয়ার্ড( Ad Word) ব্যবহার করে অ্যাড কোড তৈরি করে। এবং আপনাদের ওয়েবসাইটে অ্যাড-ওয়ার্ড থেকে স্পেশাল এডসেন্স কোড নিয়ে ফিড দেয়া হয়। মানে প্রবেশ করানো হয়। সেখান থেকেই সাইটে অ্যাড চলে। আবার আর্টিকেলের ভিতরে এডসেন্স অ্যাড শো করানোর জন্য Blogger এর লে-আউট এ গিয়ে, তারপর Post Body লে-আউট থেকে কাস্টমাইজ করে নিতে হয়। অথবা অটু এড চালু থাকলে অটোম্যাটিক্যালি এড চলবে।নতুন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটের জন্য গুগল এডসেন্স সবচেয়ে দ্রুত ইনকাম করার পন্থা। তো কেন শুধুমাত্র নতুন ওয়েবসাইটই গুগল এডসেন্স ব্যবহার দ্রুত পদ্ধতিতে আয় করার একমাত্র উপায় হবে?
তার কারণ নতুন ওয়েবসাইটগুলোতে স্বভাবতই কোন স্পন্সর কন্টেন্ট অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থাকে না। থাকলেও সেগুলো বেশিরভাগ কাজে দেয় না। তবে সে ক্ষেত্রে এডসেন্স কোনো একটি র্যাংক করা সাইট আর বিগিনার সকল সাইটকে সমান ভাবে গুরুত্ব দেয়। একটি পুরোনো সাইটের সমতুল্য ভিজিটর নতুন সাইটে থাকলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় একই রকম করা সম্ভব।
তবে যে ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, এবং বিভিন্ন অনলাইন প্রডাক্ট সেল করার প্রজেক্ট থাকে, সেগুলোতে এডসেন্স থেকে 10 গুণ বেশি আয় করা যায়।
প্রতিটি বিষয়ে সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। তো একই ভাবে গুগল এডসেন্স এরও সুবিধা ও অসুবিধা আছে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।
গুগল এডসেন্স এর সুবিধা ও অসুবিধাঃ
গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামের কিছু নির্দিষ্ট সুযোগ-সুবিধা আছে। এডসেন্স প্রোগ্রামে জয়েন করা একদম ফ্রি!এখানে অন্যান্য ভালো এড নেটওয়ার্ক থেকে বেশি উপার্জন করা যায়।এখানে এপ্রুভাল নেয়ার জন্য ট্রাফিক কিংবা ভিজিটিরের লিমিট নেই।
সকল এড ইউনিট ব্যবহার উপযোগী।
এডসেন্স থেকে গুগল আপনাকে মাসিক ইনকাম দিবে যদি আপনার রেভিনিউ 100 ডলার অতিক্রম করে। এবং সেটা ডিরেক্ট ব্যাংক ডিপোজিট এর মাধ্যমে সহজেই উত্তোলন করা সম্ভব।
একটি এডসেন্স একাউন্ট থাকলেই যথেষ্ট। সেটি ব্যবহার করে একাধিক ওয়েবসাইটে অ্যাড চালনা করা যায়। বেশিরভাগ ব্লগার একাধিক ওয়েবসাইট পরিচালনা করে। যাতে ইনকাম বেশি হয়। কেবল একটি ওয়েবসাইট থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভালো ইনকাম করা যায় না। ভালো আয়ের জন্য একাধিক নিশের একাধিক ওয়েবসাইট প্রয়োজন পড়ে।(Pro Tip)
অ্যাডসেন্সের অ্যাড কোড চালনা করে মোবাইলে অ্যাড প্রদর্শন করা সম্ভব। এবং মোবাইল ইউজার দের থেকেও ভালো রকমের প্রফিট পাওয়া যায়।
নিজের এডসেন্স একাউন্ট হয়ে গেলে অর্থাৎ এপ্রোভাল পেয়ে গেলে, সেটি সরাসরি ব্লগসাইটে কানেক্ট করে নিন। পরবর্তীতে সেটি ব্যবহার করে অনলাইন আয় করা যায়।
একটি এডসেন্স একাউন্ট থাকলেই যথেষ্ট। সেটি ব্যবহার করে একাধিক ওয়েবসাইটে অ্যাড চালনা করা যায়। বেশিরভাগ ব্লগার একাধিক ওয়েবসাইট পরিচালনা করে। যাতে ইনকাম বেশি হয়। কেবল একটি ওয়েবসাইট থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভালো ইনকাম করা যায় না। ভালো আয়ের জন্য একাধিক নিশের একাধিক ওয়েবসাইট প্রয়োজন পড়ে।(Pro Tip)
অ্যাডসেন্সের অ্যাড কোড চালনা করে মোবাইলে অ্যাড প্রদর্শন করা সম্ভব। এবং মোবাইল ইউজার দের থেকেও ভালো রকমের প্রফিট পাওয়া যায়।
নিজের এডসেন্স একাউন্ট হয়ে গেলে অর্থাৎ এপ্রোভাল পেয়ে গেলে, সেটি সরাসরি ব্লগসাইটে কানেক্ট করে নিন। পরবর্তীতে সেটি ব্যবহার করে অনলাইন আয় করা যায়।
গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়।
এডসেন্স এর গ্রহণযোগ্যতা ও এপ্রুভাল পাওয়া অনেকাংশেই সহজ। এবং ফ্রী! আপনি যে কোনো সাধারন ক্যাটাগরি ব্যবহার করে অ্যাডসেন্সে এপ্রুভাল নিতে পারেন। তো একটা কথা বলে রাখি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে গুগল এডসেন্স সহজেই অনলাইনে আয় এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট গুলোতে এপ্রুভাল দিতে চায়না। যেমনটা আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে।আমি আমার প্রথম ওয়েবসাইটে অনলাইনে আয় নিয়ে অনেক বেশি লেখালেখি করেছি। এবং সেগুলো যথারীতি ভালো পদ্ধতিতে র্যাংক করানোর চেষ্টাও করেছি। তবে অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নেয়ার বিষয়ে গুগলের EAT (Expertise, Authoritativeness, Trustworthiness) লংঘন হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের ওয়েবসাইটে ভালো কোনো বিশ্বস্ততা এবং অথরিটি ছিলনা।
যথারীতি পরবর্তী ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র কবিতা, গল্প, লেখালেখি সৃজনশীল লেখা লেখির ইত্যাদি পাবলিশ করে সহজেই দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এপ্রুভাল নেয়া গেলো। ওয়েবসাইটের ৬ মাস বয়স হলে Google Adsense এর কাছে ওয়েবসাইটটিকে তখন স্ক্যাম বলে মনে হয় না। এবং এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে সহজ হয়। এখন দেখুন, অ্যাডসেন্সের এপ্রুভাল নিয়ে কতই না মাথা গামালেন?
তো সহজ হয়ে গেল। যদি কোন একটি ট্রেন্ডিং টপিক, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, অনলাইন ইনকাম নিয়ে ব্লগ সাইট খুলেন, তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার যোগ্যতা ভেরিফাই করতে হবে। একদম ভালো করে ভেরিফাই করতে হবে যে বিষয়টিতে আপনি দক্ষ। যাতে ওয়েবসাইট দেখে এডসেন্স বুঝতে পারে যে আপনি একজন স্পেশালিস্ট।
তা না হলে সহজে এপ্রুভাল দিতে চাইবে না। কারণ অনলাইনে আয় নিয়ে অনেক স্ক্যাম ছড়িয়েছে। আবার কোনো ডাক্তার না হয়েও যেকেউ স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ দিতে চলে আসে। এগুলো হাস্যকর! তো এখন আসলো মজার ব্যাপার।
যদি আপনি সৃজনশীল লেখালেখি করেন, গল্প লিখেন তবে কোন যোগ্যতার দরকার লাগে বলেন দেখি? আবার চাইলে প্রযুক্তি বিষয়ে, ছোটো খাটো টিপস লিখেও এপ্রুভাল নেয়া যায়। এর জন্য গাইডলাইনগুলা আরেকবার দেখে নিবেন।
তো অনেক বকবক করা হলো। এবং মূল টপিকস থেকে অনেকটা দূরে সরে গেলাম। তাহলে চলুন আগের মতোই মূল টপিকসে ফিরে আসা যাক।
অ্যাডসেন্সে বিভিন্ন ধরনের অ্যাড অপশন থাকে। সে গুলোকে কাস্টমাইজ করে সহজেই ওয়েবসাইটের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশে অ্যাড শো করাতে পারনে।
ইউটিউবে google adsense থেকে টাকা আয় করার যোগ্যতাঃ
ইউটিউবে এডসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা শেয়ার করিনি। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই 1000 সাবস্ক্রাইবার এর পাশাপাশি 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকা চাই। কিছু কিছু ক্যাটাগরির উপর মনিটাইজেশন রেস্ট্রিকশন আছে। তা জানতে এডসেন্স ইউটিউব পলিসি পড়ুন।গুগোল আপনার একাউন্ট নিমিষেই গায়েব করে দিতে পারে যদি কোন একটা গুরুতর নীতি ভঙ্গন করেন। অনেক ক্ষেত্রেই অনেক ইউজারের ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। প্রধান কারণ ইনভেলিড ক্লিক। এ কারণে প্রায়ই এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল হয়ে গেছে। দুঃখজনক ব্যাপার। বলে রাখা ভালো,
ইনভ্যালিড ক্লিক মানে নিজেই নিজের অ্যাডে ক্লিক। অথবা অ্যাডে ক্লিক করানোর অবৈধ উপায় অবলম্বন।সকল অনলাইন ইনকামের প্রসেস এর মত অ্যাডসেন্সের ক্ষেত্রেও কিন্তু ট্রাফিকের গুরুত্ব অনেক।
যখন এডসেন্স অ্যাডে কেউ ক্লিক করবে, অর্থাৎ অ্যাডে ক্লিক করবে। তখনই একমাত্র প্রফিট আসবে। ভালো রকমের! তা না হলে সিপিএম (প্রতি হাজার ভিউতে আয়) এর মাধ্যমে ভালো আয় করা সম্ভব না। যতটা সি পি সি (প্রতি ক্লিকে আয়) এর মাধ্যমে আয় করা যায়।
গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার উপায়।
গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করা অডিয়েন্স নির্ভর কেন?
তো এখন ভিজিটর কেন গুরুত্বপূর্ণ? তার একটা উত্তর দেয়া যাক। ধরা যাক আপনার অ্যাডসেন্সে একটা মাফিকসই ভিজিটর আছে, তবে অত্যাধিক পরিমাণে ভিজিটর নেই। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণের ভিজিটর। এবং সেখান থেকে কম ক্লিক ও কম আয়। অন্যদিকে যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর থাকে, কিন্তু পিপিসি নেই।তারপরও আপনি ইনকাম করতে পারেন। তার জন্য আপনি কি করবেন? একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন দেবেন। অথবা স্পন্সর কন্টেন্ট করবেন। বিভিন্ন কোম্পানির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। তারপর ওদের থেকে ডিরেক্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করাবেন। তাহলে প্রফিট এডসেন্স যতটা দিত তার চেয়ে দ্বিগুণ তিনগুণ হয়ে যাবে।
কারণ এডসেন্স তো মোট প্রফিটের 60 ভাগ আপনাকে দিবে। যেখানে ডিরেক্ট অ্যাড শো এর জন্য ওই ওয়েবসাইট গুলোকে অফার করতে হবে যে, “আমার সাইটে ভিজিটর এরকম এবং এত রেটে অ্যাড পাব্লিস হবে। এবং এতটা ক্লিক পেলে তবেই পেমেন্ট হবে।” এতে অন্ততপক্ষে 90 ভাগ ইনকাম পাবেন। যেখানে গুগল এডসেন্স থেকে ৬০ ভাগ পাওয়া সম্ভব।
আরো আছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্বন্ধে আমরা সবাই জানি। কোন একটা প্রোডাক্ট প্রমোট করে। কোনো সার্ভিস ভিজিটরের কাছে পরিচয় করানো। তো এফিলিয়েট প্রোডাক্ট সেল করার মধ্য দিয়ে প্রচার করানো সম্ভব। এটা কিভাবে হয় সেটা অনেকে জানতে চায়।
এফিলিয়েট থেকে কিভাবে আয় করবো ?
আপনাদের কৌতূহল মেটাবার জন্য বলছি। এজন্য আপনাকে অনলাইনে ওই আফিলিয়েট কিওয়ার্ড নিয়ে কন্টেন্ট লিখতে হবে। এবং সেটিকে কোনভাবে গুগোল এর টপ পেজে র্যাংক করাতে হবে। যদি একবার র্যাংক করিয়ে নিতে পারেন, তবে শুধু আয় আর আয়।
এফিলিয়েট কিওয়ার্ড কি রকম?
১) অনলাইনে ইন্সুরেন্স করতে চাই২) অনলাইনে টাকা ডিপিএস করা
৩) অমুক বইটি অর্ডার করে কেনার উপায়
৪) নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন করবো কিভাবে?
এতে অ্যাডসেন্সের সিপিসি ক্লিক ও হেব্বি বাড়বে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ভালো আয়ও করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে চালাক হতে হবে😎।
ধরুন, ‘ কিভাবে অনলাইনে অমুক বইটি অর্ডার করে নেবো’ এবার এই কি ওয়ার্ডে কোন আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে করালেন। তো rokomari.com অথবা এরকম বিভিন্ন সাইট থেকে এফিলিয়েট লিংক নিয়ে তাদের স্পন্সর করা যায়।
যদি তাদের থেকে বইটি অর্ডার করে নেয়ার প্রসেসটা ভিজিটরদের দেখিয়ে দিতে পারেন, সেখান থেকে প্রচুর আয় করা সম্ভব। কারণ বইটি অর্ডার করার লিংক তো তাদের দিয়েই রেখেছেন। ভিজিটর যতো বেশি মুনাফা ততো বেশি। কারণ উপরোক্ত কিওয়ার্ডটি তারাই সার্চ করেন, যারা বইটি কিনতে চান।
এতক্ষণে ব্যাপারটা বলার একমাত্র কারণ হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর উপর আপনাদের লোভ-লালসা বৃদ্ধি করে দেওয়া। যাতে এডসেন্সকে একটু কম পাত্তা দেন। তো এখন বলবেন, এটাই কি অ্যাডসেন্সের অসুবিধা!
ব্যাপারটা এরকম না। যখন ওয়েবসাইটে ভিজিটর কমে যাবে, সাথে সাথে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, স্পন্সর কন্টেন্ট তুলে নেয়া হবে। অর্থাৎ কেউ আপনাকে এ বিষয়ে সুযোগ প্রদান করবে না। কিন্তু এডসেন্স বন্ধু আপনার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকবে। আপনাকে সহায়তা দিবে।
এটা থেকে কী শিক্ষা নিলেন? বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। মনে রাখবেন এডসেন্স মনিটাইজেশনের ভালো অপশন। তার মানে এই না এটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি আয় দিতে সক্ষম।
এডসেন্স ডিসেবল সমস্যা থেকে পরিত্রানের উপায় কি?
গুগলের কিছু সহজ রুলস আছে। সেগুলো এত বেশি কঠিন না। মেইনটেইন করে রাখা সহজই। একটু মনে রাখতে পারলে, সততার সাথে কাজ করলেই গুগল এডসেন্স কখনোই ডিসেবল হবে না। তো গুগল এডসেন্স ডিজেবল না হওয়ার উপায় গুলো দেখুন। যাতে করে কখনো ডিসেবল না হয়। তাহলে আজীবনের জন্য আয় করতে পারবেন।google adsense এর পেমেন্ট ঃ
গুগল এডসেন্স মূলত ডাইরেক্ট এবং মান্থলি পেমেন্ট করে। এর জন্য সর্বনিম্ন উইথড্রল হচ্ছে 100 ডলার। এই এমাউন্ট অতিক্রম করলে এক মাস পর পর আপনাকে সরাসরি ব্যাংকে টাকা প্রেরণ করে দেবে। এবং পেমেন্ট একাউন্ট এর মধ্যে সম্পন্ন হয়। কত রিভিনিউ হবে তা নির্ভর করে কি ধরনের অ্যাড শো করছেন এবং কত ক্লিক পড়েছে। আরো বিভিন্ন উপযোগী ডাটা উপাত্তও আছে।অ্যাডসেন্স থেকে আয় বাড়ানোর কৌশলঃ
গুগল এডসেন্স আর্নিং বুস্ট করার জন্য বিশেষ কিছু গাইডলাইন দিবো। যেখান থেকে আপনার এডসেন্স এডের ধরন ও এর ব্যবহার সম্বন্ধে ধারণা পাবেন। এবং ইনকাম বুস্ট করার উপায় সম্বন্ধে জানতে পারবেন।এডসেন্স অ্যাড এর ধরনঃ
ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স বিভিন্ন ধরনের অ্যাড শো করার সুযোগ দেয়।টেক্সট (Text):
টেক্সট অ্যাড গুলো শব্দ ব্যবহার করে তৈরি। অ্যাড ইউনিটের মধ্যে একটি অফার দেয়া থাকে। অপরদিকে লিংক ইউনিটে বিভিন্ন ব্যবসায়িক অফারের পুরো লিস্ট দেয়া থাকে। এবং বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে।
আপনি সে অ্যাড গুলোর বক্স কালার চেঞ্জ করতে পারবেন। এবং টেক্সটও চেঞ্জ করা যায়।
ছবি (Images):
ছবি অ্যাড গুলো অনেকটা গ্রাফিকাল অ্যাডসI এগুলো বিভিন্ন সাইজের হতে পারে। অর্থাৎ আয়তাকার হতে পারে, আবার বর্গাকার হতে পারে।
আপনি যে কোন একটি ফিড অপশন নিতে পারেন, যেখানে টেক্সট এর পাশাপাশি ছবি অর্থাৎ ইমেজ শো করে।
রিচ মেডিয়া (Rich Media):
একটু ভিন্ন ধরনের অ্যাড। এবং এগুলো বিভিন্ন এইচটিএমএল কোড ইনক্লুড করে থাকে। অর্থাৎ অন্তর্ভুক্ত রাখে। এতে বিভিন্ন ভিডিও অথবা ফ্ল্যাশ থাকতে পারে। “প্রথম আলো” সাইটে গেলে এরকম অ্যাড দেখতে পাবেন।
ফ্ল্যাশ, ভিডিও, অ্যানিমেটেড ইমেজ।
সার্চের জন্য অ্যাডেসেন্সঃ
লক্ষ্য রাখুন, আপনার ওয়েবসাইটে গুগল সার্চ বাক্স আছে কিনা। যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটে এসে কেন কিছু সার্চ করে বিশেষ করে গুগল সার্চ বক্সে। তখন সাথে সাথে অ্যাডসেন্সের একটি সার্চ রেজাল্ট চলে আসে। এটি থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। ক্লিক করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দেখুন প্রো টিপস এখনো বলছি না। সবুর ধরুন, শেষে বলবো।
এডসেন্স থেকে আয় করার নিয়মাবলী
এডসেন্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমান ভালো আয় করার জন্য কোনো একটি পরিকল্পনার প্রয়োজন পড়বে। আপনি বললে আমি সে পরিকল্পনা নিয়ে পরবর্তীতে ব্লগে বলবো। অ্যাডসেন্সের রেভিনিউ বাড়ানোর কতগুলো উপায়ঃ১। গুগলের নিয়মকানুন মেনে চলুন এবং ভাল করে পড়ুন।
ওয়েব মাস্টারদের অবশ্যই গুগলের পলিসি এবং নিয়মের সাথে অ্যাডজাস্ট থাকা উচিত। নিজের অ্যাডে নিজে ক্লিক করা উচিত না।ইনভেলিড ক্লিক, পিপিসি ক্রয় করা (যাতে লোকজন এসে অ্যাডে ক্লিক করে যায়। হা.হা..) অবৈধ। আবার একটি পেজ এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে সকল ট্রাফিক এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেজে ট্রান্সফার হয়, এরকম করা কিন্তু এডসেন্স এর বিরুদ্ধে। মুভি সাইট-গুলা এরকম করে। এজন্যই তারা নিয়মিত ডোমেন চেঞ্জ করে।
Google Adsense থেকে টাকা আয় করার একমাত্র উপায় হলো কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখে ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। যেমনঃ টেকটিউন্স! তারা নিয়মিত আপডেটেড কন্টেন্ট লিখে। সেখানে চাইলে কদিন ব্লগিং করে নিজের কোয়ালিটি বাড়াতে পারেন। ব্লগার কিংবা ইউটউবারিদের বৈশিষ্ট্য হলো ভিজিটরদের নিজের সাইটে আকৃষ্ট করা।
কখনো ভুলভাল কনটেন্ট তৈরি করে ইউনিক ভিজিটরদের নিজের সাইট বা চ্যানেল থেকে হারাবেন না। তাদের আস্থা ধরে রাখুন। যাতে প্রতিনিয়ত আপনার কন্টেন্টগুলো সাবস্ক্রাইব করে রাখে। কোনো কন্টেন্ট এসইও করানো সম্ভব। কোনভাবে ব্ল্যাকহেট অবৈধ পথে হলেও কন্টেন্ট র্যাংক করানো যায়।
কিন্তু যতোই ইউনিক ভিজিটর আসুক না কেন সেগুলো ফেরত চলে যাবে। যদি আপনার পোষ্টের কনটেন্ট কোয়ালিটি বাজে হয়। ১ জন- ২জন ইউনিক ভিজিটর নিয়েই কিন্তু আপনার সাইটের নিয়মিত ভিজিটর বৃদ্ধি পায়। ওদের হারালে আপনার সাইট ডাউন করবে। কাজেই মনে রাখুন।
তাহলে বুঝলেন সততার মূল্য কতটুকু?
২। মার্কেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষতাটা কষিয়ে নিতে পারেন। কারণ হচ্ছে যারা আমরা ওয়েবমাস্টার, অর্থাৎ ওয়েবসাইট পরিচালনা করছি, তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এ যদি নলেজ না থাকে। তবে ব্লগ সাইট কিংবা ইউটউব চ্যানেল চালিয়ে কোনো লাভ নেই। কন্টেন্টগুলা বিভিন্নভাবে ভিজিটরের কাছে পৌছাবার জন্য আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং জানতে হবে। ইউটিউবে যে রকমই হোক কতগুলা টিউটোরিয়াল আছে। সেগুলো যদি দেখেন তবে অবশ্যই উপকৃত হবে।তাছাড়া অ্যাডসেন্সে রিভিনিউ বাড়ানোর আর কিছুমাত্র উপায় আছে। রেভিনিউ অনেকটাই ভিজিটরদের উপর নির্ভর করে। বিশেষ করে ইউনিক ভিজিটরের উপর। যারা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে আসছে এবং যারা নতুন তারাই কিন্তু ইউনিক ভিজিটর।
যারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করছে, তাদেরকে গুগল পাত্তা দেয় না। কিন্তু যারা সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে আসছে তাদেরকে গুগল বেশি পাত্তা দেয়। এর কারণটা বেশ সহজ।
৩। আপনার ওয়েবসাইট মোবাইলের জন্য রেসপন্সিভ কিনা?
মোবাইল ইউজারের সংখ্যা বেশি নাকি ওয়েবসাইট ইউজারের?উত্তরঃ মোবাইল ইউজার।
এজন্য অনেকেই এএমপি চালিত ওয়েবসাইট ও পেজ ব্যবহার করছে। যদিও আমি এ বিষয়ে ঠিক বলতে পারছি না যে আসলে এর ব্যবহার করা উচিত কিনা? এর কিছু অপকারিতাও আছে।
যখন গুগোল এ অ্যাডসেন্সের অ্যাড কাস্টমাইজ করবেন, তখন অবশ্যই মোবাইল ইয়ুজারদের কথা মাথায় রেখে তাদের মতে রেস্পন্সিভ কাস্টমাইজ করবেন। যাতে তাদের অ্যাড শো করতে সমস্যা না হয়। তো আমি বলবো,
❝Test ad types and placement to find the options that lead to the most income❞
৪। অ্যাড সাইজ টেস্ট করে দেখুন ।
এডসেন্স অ্যাডের বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড সাইজ আছে। বিশেষ করে মোবাইল ইউজারদের জন্য। যেমনঃ 300×250, 728×90, এবং 160×600। সবগুলো সাইজ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যেখানে বেশি করে ক্লিক দেখবেন, সেটা কে আপনি আদর্শ মান হিসেবে ধরে নিতে পারেন।৫। অ্যাড রিপ্লেসমেন্ট পরিমিত রাখুন।
প্রতিটি পেজে সর্বোচ্চ তিনটি ব্যানার অ্যাড ব্যবহার করা উচিত। যেটা বলছি সেটাই শুনুন। তিনটির বেশি অ্যাড শো করাতে যাবেন না। কন্টেন্টে অ্যাড রাখবেন আর কি। শুরুতেই এত টাকা পাওয়ার চিন্তা করা উচিত না। তিনটি করে অ্যাড আর্টিকেলে শো করাবেন। আদর্শ সাইজে। এরকম ভাববেন না যে যত বেশি অ্যাড দেখানো হবে, তত আয় হবে। সেটা হতে পারে ভুল। তবে অনেক ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণ অ্যাড শো করালে ভিজিটর খুশি হয়।
৬। ফোল্ডের উপরে অ্যাড।
এটাকে আমরা হেডার অ্যাড বলতে পারি। মূলত এমন একটি জায়গা যেখানে থাকে পেজগুলো। পেজগুলোর উপরে অ্যাড শো করানো যায়। তো তার উপরে যদি কোনো অ্যাড লাগানো থাকে, তবে সেটা সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এবং ক্লিক পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। রেভিনিউ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।অ্যাড কি লগো অথবা হেডারের উপরে আছে: হোমপেজের একদম শীর্ষ পর্যায়ে অ্যাড যেকোনো এক ভিজিটরের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করার সবচেয়ে বড় উপায়। অ্যাডটি অবশ্যই লোগোর উপরে স্থাপন করা উচিত।
৭। কনটেন্ট এর ভিতরে অবশ্যই অ্যাড শো করাবেন:
এটার মানে, অ্যাড বিভিন্ন আর্টিকেল অথবা কনটেন্টের ভিতরে থাকা। যেটি খুব দ্রুতগতিতে রেভিনিউ বৃদ্ধি করে। ক্লিক করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ হচ্ছে কন্টেনের ভিতরে যে অ্যাডগুলো শো করা থাকে, সেগুলো বিভিন্ন টপিকস রিলেটেড। যেমনঃ টেকনোলজি নিয়ে আপনার ব্লগ সাইট থাকলে, সেখানে অবশ্যই আপনি প্রযুক্তি নিয়ে লেখালেখি করবেন। এবং আপনার ওয়েবসাইট কন্টেন্ট এর অ্যাডগুলো থাকবে প্রযুক্তি বিষয়ক। এটি যেকোনো একটি প্রযুক্তি সাইটের ভিজিটরকে সহজে আকর্ষণ করবে। এভাবে ক্লিক পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।৮। সর্বদা রেজাল্ট মনিটরিং করবেন।
গুগল আপনাকে সব সব সময় সবচেয়ে বেস্ট টুল দিয়ে সাহায্য করছে। গুগল এনালাইটিক্স দারুন একটি টুল। সার্চ কন্সোলো ভালো। যেগুলো ব্যবহার করে ভিজিটরদের আকর্ষণ, অনুভূতি বিচার বিবেচনা করতে পারেন। এবং সে হারে এগুতে পারেন। এর মধ্যেই গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করা সহজ হয়ে যায়।গুগল এনালিটিক্স এর ব্যবহার করে কিভাবে এর উপর কিভাবে রেভিনিউ বুস্ট করা সম্ভব তা নিয়ে কোনো কন্টেন্ট পড়তে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন। কেননা এ বিষয়ে ধারাবাহিক কন্টেন্ট দেয়া সম্ভব। কারণ গুগল এনালিটিক্স অনেক সুন্দর একটি টুল।
গুগলের মেইল সবসময় চেক করুন: এটা অবশ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যখন কিনা গুগল আপনাকে বিভিন্ন মেইল করছে। সেগুলো হতে পারে আপনার সাইট সম্বন্ধীয়। অথবা অন্য কোন বিষয়। কিন্তু যদি আপনি গুগলের বিভিন্ন কম্পলিমেন্ট এর সাথে ডিল না করতে পারেন, অর্থাৎ ইমেইল গুলো চেক না করেন তবে সেটাও কিন্তু গুগলের পলিসি বিরোধী হতে পারে। তবে এটা গুরুত্বপূর্ণ না। অনেকেই এটাকে রেভিনিউ কম হওয়ার কারণ বলছে।
এডসেন্স থেকে ইনকাম করার প্রো টিপসঃ
১। এক্সপেরিমেন্ট করুনঃ
অ্যাডগুলো কাস্টমাইজ অথবা সাইজ বিষয়ে সব সময় এক্সপেরিমেন্ট করার চেষ্টা করবেন। এর উপযুক্ত সাইজ নির্ধারণ করবেন। থিমের সাথে অ্যাডজাস্ট করে কালার দিবেন। তার উপর ভিত্তি করে আপনার রেভিনিউ রেজাল্ট কত প্রভাব ফেলছে, সেগুলো দেখে নিবেন
ধরুন, এক সপ্তাহ ধরে নীল কালার ব্যবহার করে অ্যাড শো করাচ্ছেন। এবং পরের সপ্তাহে কালো কালার ব্যবহার করেছেন। এবং এতে করে কি রেজাল্ট আসছে সেগুলো দেখার বিষয়।
লিংক এবং বক্স কালারের সাথে এক্সপেরিমেন্টঃ যদি অ্যাডসেন্সে এর কালার আপনার থিমের সাথে মিলে যায়, তবে সেটি চেঞ্জ করে দেখুন। এতে রেভিনিউ রেজাল্ট এ কোন প্রভাব ফেলছে কিনা সেটি নিশ্চিত করুন।
২। অ্যাড প্রতিস্থাপন টার্গেটিং এ লক্ষ্য রাখুনঃ
এটি অ্যাডভার্টাইজ কোন জায়গায় দেখায় সেটাই নিশ্চিত করে। যে অ্যাড গুলো কোন কোন জায়গায় শো করানো হবে।৩। কাস্টম চ্যানেল সেট আপ।
কাস্টম চ্যানেল তৈরি করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে কত আয় হচ্ছে, কেমন ইনকাম সেদিকে নজর রাখা যায়। কি কি বিষয় ইনকামে সাহায্য করছে, আর কোনগুলো রেভিনিউ (মুনাফা) তৈরীতে বাধা দিচ্ছে তা জানা যায়। নতুন শুনলেন, তাই না?৪। প্রতিযোগীদের সাথে ডিল করা
ভালো ব্লগাররা বিভিন্ন সার্ভিস প্রমোট করে। তো যখন কোনো সার্ভিস প্রমোট করবেন, দেখবেন গুগল থেকে যে সকল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট আসে, সেগুলো আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে প্রতিযোগিতা করবে। ধরুন, আপনি ইভ্যালির পণ্য প্রমোট করছেন, ঐদিকে গুগল দেখাচ্ছে আলিবাবার পণ্য। এজন্য two-fold ব্যবহার করতে পারেন।গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার উপায় জানুন বিস্তারিত।
দুই ফল্ড কি সেটা নিশ্চিত জানতে চাচ্ছেন, তাই না?
এটা হচ্ছে, গুগলের একটা পদ্ধতি। গুগোল অ্যাডভার্টাইজমেন্টে আপনি 200 টা অ্যাডভারটাইজার ইউআরএল ব্লক করতে পারবেন। তাদের মধ্যে ভেবেচিন্তে আপনার কম্পিটিটরদের ইউআরএল ব্লক করে দিবেন।
এতে করে তাদের অ্যাড শো করানো হবে না। তবে এটা অনেক ভেজাল। ব্লক করা ইউআরএল অ্যাডে হয়তো আর ভালো রেভিনিউ পেতেন, ওটাই চিন্তার বিষয়। এ কথা গুলো বলার কারণ এই যে, প্রত্যেক ব্লগারই একসময় ভালো পর্যায়ে পৌছাবে। তখন কিন্তু এ ব্যাপারগুলা কাজে দিবে। জেনে রাখলে লস কিসের?
একটা মজার ব্যাপার বলি। আপনি আদৌ জানেন না যে, কোন লিংকের অ্যাড আপনার ওয়েবসাইটে শো করানো হচ্ছে। জানারও সুযোগ নেই। নিজের অ্যাডে যেভাবেই ক্লিক করুন না কেন, গুগল ধরেই ফেলবে। ইনভ্যালিড ক্লিক হবে।
যদি না জানেন তবে কি করে ব্লক করবেন? ইউ আর এল এর য়ে ঐ ব্র্যান্ডের নাম খুজে পেতেও কস্টকর। কারণ অ্যাড লিংকের কোথাও হয়তো ব্র্যান্ড নেম ও লিংক লুকিয়ে আছে। যখন কোন একটি বিশেষ সার্ভিস আপনি প্রমোট করতে চাচ্ছেন। তো এই সার্ভিস প্রোভাইড করা বা প্রমোট করা যখন বড় কস্টকর হবে, তখন এই কথাগুলো বেশ কাজে আসবে।
কোনভাবে যদি অ্যাড লিঙ্ক পেয়ে যান বিশেষ করে অন্য কারো ডিভাইসে। অনেকটা আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে। লিংক কালেক্ট করবেন। সাথে সাথে সেটা কপি করে পেস্ট করে নিবেন। কারণ অ্যাডের লিংক অনেক বড় থাকে। সেখান থেকে কোন অ্যাডভাইজার আপনাকে অ্যাড শো করাচ্ছে সেটাও জানতে পারবেন।
গুগল এডসেন্সের অল্টারনেটিভ নেটওয়ার্কঃ
গুগল এডসেন্স এর মত অনেক জনপ্রিয় অ্যাড মার্কেটপ্লেস আছে। যেমনঃ মেডিয়ানেট ( Media Net), ইনফলিংক (InfoLink)। বাংলাদেশিদের সেখানে এপ্রুভাল পাওয়া অনেক কঠিন। এর জন্য আপনাকে আমেরিকা এবং কানাডা থেকে ভালো ভিজিটর আনতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটকে হতে হবে মানসম্মত, রেগুলোর ভিজিটর ভালো থাকতে হবে। তা না হলে এপ্রুভাল পাওয়া যায় না।
কিন্তু এডসেন্স সম্পূর্ণ বিপরীত। ভিজিটরের প্রয়োজন পড়ে না। আপনার ওয়েবসাইট যদি মানসম্মত হয়, বিভিন্ন নিয়ম কানুন মেনে চলে। তবেই হয়।
এডসেন্স ছাড়া অন্যভাবে আয় করার উপায়ঃ
এডসেন্সই কেবল ওয়েবসাইট থেকে আয় করার একমাত্র উপায় নয়।আরো অনেক উপায় আছে। এবং যতই আপনার ওয়েবসাইট এস্টাবলিশ হবে, ট্রাফিক বাড়তে থাকবে। ততই আপনি এডসেন্স এর সুব্যবহার থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং স্পন্সরের দিকে এগুতে থাকবেন। ঐখানে বেশি উপার্জন করা যায়।এবং এডসেন্স থেকেও দশগুণ উপার্জন করা সম্ভব। এর জন্য অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটকে মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর উপরে স্পন্সর করতে হয়।
কোন সার্ভিস প্রমোট করে উপার্জন করা যায়। যাদের সার্ভিস প্রমোট করাতে চাচ্ছেন, তাদের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করে রাখতে হয়। সেখান থেকে ভালো উপার্জন আসে। শুধুমাত্র এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে না ই-বুক বিক্রয় করার মাধ্যমে আয় হয়। যারা বেগিনার তাদের জন্য সর্বপ্রথম আয় করার উপায় হল এডসেন্স মনিটাইজেশন।
ব্লগিং কেউ তখনই করে, যখন কেউ কোন একটা বিষয় এক্সপার্ট হয়ে যায়। এক্সপার্ট হয়ে গেলে ব্লগিং নিয়ে বিভিন্ন কোর্স তৈরি করতে পারেন। সেখান থেকে উপার্জন করা সম্ভব। আবার কখনো কখনো নিজেই সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন। সেখান থেকে ভালো উপার্জন করা সম্ভব। যেহেতু আপনি একজন ব্লগার!
পরিশেষে আমি কি সফল?
আপনাদের জন্য এডসেন্স ও তার ভাই-ব্রাদারদের নিয়ে আজকের এই ব্লগ গোছালাম। ভালো লাগলে শেয়ার করুন। কিছু জানানোতেই আমার সফলতা নিহিত। আজকে আমি আপনাদের গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার উপায়গুলো বললাম।---আল্লাহ-হাফেজ---