কম্পিউটার গেম আসক্তি, এর ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা।এ আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

গেম খেললে কি কি ক্ষতি হয়? কম্পিউটার গেমের ক্ষতিকর প্রভাব, কুফল কি, আসক্তি থেকে মুক্তিলাভের উপায় জানবো। গেম কি আদৌ আমাদের জন্য সুফলদায়ক? নাকি কম্পিউটার গেমের মাধ্যমে শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে? চলুন এ ব্লগ পড়ে সম্পূর্ণ জেনে নেই।
কম্পিউটার গেমের ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা

কম্পিউটার গেম আসক্তি কি?

আপনার বাচ্চা অথবা ছেলেমেয়ে কম্পিউটার গেম খেলতে গিয়ে অনেক সময় ব্যয় করছে? আপনাকে এখন থেকেই একজন পিতা বা মাতা হিসাবে অনেক বেশি শক্ত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। তার কারণ, কম্পিউটার গেম শুধু যে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়, তা কিন্তু নয়। শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি, পাশাপাশি গেমের প্রতি আসক্তি সৃষ্টি করে। কম্পিউটার গেমের পিছনে বাচ্চা ছেলে মেয়েদের বেশি সময় অতিক্রম করা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বরং খারাপ লক্ষণ। 

এ আসক্তির ব্যাপারে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন(WHO),যা জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা। সেটি বেশ ভালভাবেই অবগত।

"International Classification of Disease 2018"  অনুযায়ী গেমে আসক্তিকেও একটি মানসিক ডিজঅর্ডার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মানসিক ডিসঅর্ডারের খবর পুরো বিশ্বে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এবং মানুষ সতর্ক হয়ে যায়। পাশাপাশি এই কম্পিউটার গেম এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে অনেক ব্লগে লেখালেখি ও আলাপ-আলোচনা, এমনকি সমালোচনা হয়।

যেখানে কম্পিউটার গেম একটি মেন্টালি ডিসঅর্ডার, সে দিক থেকে আমিও কম্পিউটার গেমের পক্ষ-বিপক্ষ অনুসরণ করছি না। আমি সরাসরি কম্পিউটার গেম, কিংবা গেম খেললে কি ক্ষতি হয়? সে সম্বন্ধে বিস্তারিত উল্লেখ করছি।

এটা নিশ্চিত যে আমরা অনেক বেশি সময় ব্যয় করেছি গেম খেলার পেছনে। এখন কম্পিউটার গেম এর ক্ষতিকর প্রভাব জানতে হয়। যখন কম্পিউটার গেম এর আবিষ্কার হয়, তখন এটি ছিল আশীর্বাদস্বরূপ। মানুষ কোন একটি স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে এন্টারটেইন দেয়ার মতো কিছু তৈরি করতে পেরেছে, এটা আসলেই মস্তিষ্ক বিকাশের উদাহরণ। 

কিন্তু যে কোনো বিষয়ে, যে কোন এন্টারটেইনমেন্ট তখনই ক্ষতিকর হয়ে যায়। যখন এর অতিরিক্ত ব্যবহার সাধিত হয়। সে দিক থেকে কম্পিউটার গেমও একই অবস্থা তৈরি করে।  কম্পিউটার গেমের কিছু উপকারিতা আছে। সেটাকে অমান্য করার মতো আমি কেউ নই। 

কিন্তু অপকারিতা গুলো দিন দিন এমন হুমকি স্বরূপ হয়ে উঠছে যে, উপকারিতা গুলো কে একটু আধটু তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা যায়।


কম্পিউটার গেমের কুফল কি কি? যেগুলো সম্বন্ধে এখনই সচেতন হোন।


১) আচরনগত ও মানসিক সমস্যা | Behavioral and mental changes:

একটি ছেলে কিংবা শিশু যে কিনা ঘন্টার পর ঘন্টা গেম খেলছে। হোক সেটা মোবাইল গেম অথবা পিসি গেম, সেটা তার মানসিক অবনতি সাধন করবে। তার কারণ, কোন কম্পিউটার গেম ঘন্টার পর ঘন্টা খেলার নিয়ম নেই। যদি হয় সেটা আনন্দ পাওয়ার জন্য, তবে দিনে সর্বোচ্চ 1 ঘন্টা অথবা 2 ঘন্টা। তার বেশি খেলা মানসিক সমস্যা বলে পরিগণিত।

একটি শিশু, যে গেম এর উপর ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাচ্ছে। তার ধরন কিছুটা এরকমঃ

>> সে বিশৃংখল হতে পারে।

>> যে কোন ব্যাপারে আগ্রহ হারাতে পারে।
 
>> তাছাড়া সামাজিক চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে।

>> তারমধ্যে অনুগত হওয়ার ব্যাপারটি থাকবেনা।   কম্পিউটার গেম অতিরিক্ত খেললে মা বাবা কিংবা ঘরের বড় কর্তারা সবসময়ই ধমক কিংবা শাসনের উপর রাখবে। সে যেহেতু ঘন্টার পর ঘন্টা খেলতেই থাকে, সেহেতু তার মাঝে দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ, এমনকি বড়দের কথা না শোনার মত সমস্যার সৃষ্টি হবে।

>> তাছাড়া এটি একটি অনুন্নত ব্যক্তিত্বের প্রাধান্য সৃষ্টি করে। কারণ একজন কম্পিউটারগেম আসক্ত ব্যক্তি লোকজনের সাথে কথা বলতে বা কারো সাথে সামাজিক চলাচলে অসমর্থ হয়।

২) বস্তু-জগতের অন্যান্য জিনিসপত্রের উপর আগ্রহ হারানো। এবং খারাপ একাডেমিক পারফরম্যান্স।

ধরে নিলাম কম্পিউটার গেম খেলার মানুষের মনে একটি শখ থাকতে পারে। কিন্তু এরকমটা না। ঐ মানুষটার আরো নানান শখও থাকতে পারে। যেমনঃ কারো কাছে যা কিছুই ভালো লাগে করতে, সেটাই তার শখে পরিণত হয়। 

একজন স্বাভাবিক মানুষের একাধিক শখ থাকে। কিন্তু কম্পিউটার গেম এমন একটি শখ, যে শখ অন্যান্য শখ গুলোকে ধমিয়ে দেয়। বস্তুজগতের অন্যান্য বিষয় বস্তুর প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যায়। শুধুমাত্র আগ্রহ থাকে এই কম্পিউটার কিংবা মোবাইল গেমের প্রতি।

একজন গেম আসক্ত ব্যক্তি সবসময়ই গেমিং নিয়ে চিন্তাবার্তা করে। সে গেমিং এর জন্য সবকিছু উৎসর্গ করে দিতে পারে। সেটা হোক তার পড়াশোনা, খেলাধুলা, এমনকি সামাজিকতা।

৩) অলস প্রকৃতির হয়ে যায়, এবং ওজনজনিত সমস্যা তৈরি হয়।

কেউ যদি সারাক্ষণ স্ক্রিনের দিকে নজর দিয়ে রাখে। শারীরিক ব্যায়াম, খেলাধুলা বন্ধ রাখে। অথবা স্বাভাবিক হাঁটাচলা না করে, ঘরে বসে থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটার গেম খেলতে থাকে। তাহলে তা থেকে একটি লক্ষণ তীব্র হয়। সেটি হলো তার অলসতা বৃদ্ধি পায়। এবং ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধি পায়।

কেউ যদি মাসের-পর-মাস এভাবেই কম্পিউটার গেম খেলতে শুরু করে। এবং আসক্ত হয়ে যায়। তবে তার ওজন বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। একইভাবে তার ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা হলেও হতে পারে। হবেই হবে এমনটা  বলছি না। তবে যেহেতু এই ধরনের অবস্থা ডায়াবেটিস তৈরি করার কারন। সেহেতু শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

শুধু যে ওজন বৃদ্ধি পায়, তা না। এর বিপরিতও হতে পারে। কিছু কিছু আসক্ত গেমারের ক্ষেত্রে যা হয় আরকি। এ আসক্তি তাকে খাওয়া-দাওয়া থেকে দূরে রাখে। তার মনেও থাকে না সে কখন খাবে? কখন ঘুমাবে? যার কারণে তার শারীরিক সমস্যা বলতে গেলে ওজন হ্রাস পেতে পারে।

৪) গেমের আসক্তি ব্রেইনের গ্রোথ স্লো করে দেয়।

আসলে ইন্টারনেট দুনিয়ায় গেম যে একদম খারাপ। তা কিন্তু না। কিছু গেম অনেক ভালো। কিছু কিছু গেমস আছে, যেগুলো ব্রেনের ডেভলপমেন্টে অনেক বেশি জরুরী। 

যেমন ধরুন, ওয়ার্ড গেমস, পাজেল গেম, Chess,  যেগুলো ছোট শিশুদেরকে ছোট থেকেই শেখানো উচিত। সেগুলোতে যদি দক্ষতা অর্জন করে তাহলে তার ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে অন্যান্য গেমসগুলোর দিকে তাকাই। যেগুলো ট্রেন্ডিংয়ে আছে। তার মধ্যে আছেঃ বাংলাদেশে ফ্রী ফায়ার(Free Fire), পাবজি, মোবাইল লেজেন্ডস, পূর্বে ছিল ক্লাশ অফ ক্লানস। এ সমস্ত গেম মানুষের ব্রেনের গ্রোথ আরো কমিয়ে দেয়।

পাজেল কিংবা ওয়ার্ড গেম গুলো মানুষের চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি করে। সে চিন্তা করে, কল্পনা করে ইত্যাদি। কিন্তু এ সমস্ত গেম গুলোতে আসলে হাতের স্কিলের উপর খেলার নির্ভর। যার কারণে ব্রেইন বেশি একটা খাটাতে হয় বলে মনে করছি না। 

অর্থাৎ যে সমস্ত আসক্তি বাড়ে, আবার এসকল গেমস ঘন্টার পর ঘন্টা খেললে ব্রেনে আসক্তি সৃষ্টি হয়। কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।

গেমে আসক্তি খুব খারাপ ভাবে চোখে প্রভাব ফেলে।
Insomnia তে  ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

কিছু ছোট ছেলে মেয়ে খুব কম বয়স থেকেই চশমা পড়া শিখে। কিংবা বিশেষ গ্লাস ব্যবহার করে, তার কারণ গেম খেলা। অথবা সারাদিন মোবাইল স্ক্রিনে চোখ রাখা বিশেষ সমস্যা তৈরি করে।
সব ব্যক্তি দুর্বল দৃষ্টিশক্তি পায় না। কিন্তু কাছের দূরত্ব থেকেও বেশি স্ক্রিনে চোখ রাখলে অবশ্যই মায়োপিয়ার দিকে প্রভাব ফেলে। এছাড়াও গেমে আসক্তি আপনার ঘুমের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। রাতে ঘুমিয়ে পড়া কস্ট হবে। এবং ভালো ও গভীর ঘুম পাওয়া কঠিন হবে।


কম্পিউটার গেম এর ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যাঃ WHO কি বলে?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্বন্ধে আমরা সবাই অবগত। এটি পুরো বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে বিশেষ তদারকি করে যেত। গেম খেলা স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা কিংবা মানসিক ডিসঅর্ডার। তাই এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু পদক্ষেপ দেখা যায়। এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কি অভিমত তাও তো জানা উচিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, 

এ ধরনের মেন্টাল ডিসঅর্ডার তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে গেমের প্রতি বেশি প্রায়োরিটি থাকা কাজ করে। এবং সামাজিক যোগাযোগ থেকে দূরে সরে থাকা, কিংবা বাস্তব জগত থেকে একটু দূরে সরে থাকা মানুষের মাঝে বিরাজ করে। এটি মানুষের সামাজিক জীবন, কর্মজীবন এমনকি মানসিক দিকে বিরাট সমস্যা তৈরি করে। এই ধরনের মানুষের ডিজঅর্ডার ব্যক্তি চিন্তা, পারিবারিক চিন্তা ভুলিয়ে দেয়। এবং মানুষের মাঝে গেমের প্রতি আসক্তি কে আরো তীব্র করে।

কিভাবে বুঝবেন কেউ কম্পিউটার গেমে আসক্ত কিনা?

একজন ব্যক্তির স্বভাবতই তার নিজের জীবন হবে। বাড়ির কাজ, সামাজিক কাজে নিয়োগ থাকে। সকলের সাথে তাল মিলিয়ে থাকে। খেলাধুলা করে। পাশাপাশি মিলেমিশে চলতে পছন্দ করে। কিন্তু যখনই দেখবেন কেউ গেম খেলছেই তো খেলছে, অথচ বাস্তব জগতের এই কাজগুলো সাথে কোন সম্পর্ক রাখবে না। তখন সে এই মানুষের গেমিং ডিজঅর্ডারে ভুগছে।

এই ডিসঅর্ডার এত খারাপ কেস যে,  এ থেকে পরিত্রাণের জন্য কম করে বারো মাস শক্তভাবে অবস্থান করতে হবে ।

এই ডিজঅর্ডারের খারাপ দিক হলো এতে একজন মানুষ 12 মাস ধরে গেম খেলাকেই প্রাধান্য দিবে।


কম্পিউটার আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়-

বাবা-মা কিংবা অভিভাবকের এক্ষেত্রে কি করা উচিত? আসক্তির ধরন একেক রকম। কেউ কেউ নেশাদ্রব্যে আসক্ত, কেউ আসক্ত শুধু গেমে। কেউবা পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত হয়। 

মানুষ চাইলে ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতেও আসক্ত হতে পারে। তাছাড়া আসক্ত আরো নানা জায়গায় আছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি আসক্ত হচ্ছে মানুষ গেমসে। এবং এটা পুরো বিশ্ব পরিসংখ্যান বলছে।
সে ক্ষেত্রে বাবা-মা যদি সব শিশু সন্তানদেরকে গেম থেকে বিরত রাখতে চায়। তবে তাদেরকে গেম না খেলার জন্য কিছু রিওয়ার্ড করতে পারেন। তাছাড়া পড়াশোনা করা, কিংবা বাড়ির কাজগুলো সেরে ফেললে বাচ্ছাদের এর পরিবর্তে কিছু পুরস্কার দিতে পারেন।

ছোট ছেলে মেয়েদের কে সম্পূর্ণ সময়ের, অর্থাৎ 24 ঘন্টার মধ্যে মাত্র এক ঘণ্টা গেম খেলতে দিবেন। এবং এ ব্যাপারে সব সময় শক্তভাবে অবস্থান করবেন। এর চেয়ে এক মিনিট বেশি দেওয়া উচিত নয়। তবে কম দিলে সমস্যা নেই। তবে এক মিনিট বেশি দেয়া উচিত নয়। এতে করে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবে। দেখা যাবে, দৈনিক সে দুই ঘন্টা থেকে 4 ঘন্টা পর্যন্ত খেলছে। সময় বাড়াতে বাড়াতে।

তাছাড়া ছেলেমেয়েদেরকে বাইরে খেলাধুলার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। আউট-ডোর গেমসে বেশি বেশি আগ্রহ জাগাবেন। বাসায় থাকলে অবশ্যই কম্পিউটার গেমসের সাথে সাথে ইনডোর গেমসে আগ্রহ করাবেন। যেমনঃ দাবা।
 
ছেলেমেয়েদের বিনোদন এএদিকে নজর রাখবেন। বন্ধুবান্ধব এর সাথে মিলেমিশে থাকা শেখাবেন। তবে অবশ্যই ভালো বন্ধু হলে হবে।

ছেলে-মেয়েদের সাথে কিছু সময় নিজ থেকে কাটাতে পারেন। গল্প গুজব করতে পারে। এধরনের স্টেপ আপনাকে কয়েক মাস অব্দি চালিয়ে যেতে হবে। যাতে করে এরকম একটি অভ্যাস ছেলেমেয়েদের তৈরি হয়, সকলের সাথে মিলেমিশে থাকা ও সকলকে সামাজিক দৃষ্টিতে দেখা। ইত্যাদি।

আপনি চাইলে একটি নাচের শিক্ষক রাখতে পারেন। কিংবা গিটার শেখায় এরকম শিক্ষক রাখতে পারে। এ ধরনের বিনোদনে কাজ করলে তাদের মন সতেজ থাকবে।

এখন বলি, গেম খেলার এসকল সমস্যা বা অসুবিধা কেবল তাদের জন্যই যারা গেমে আসক্ত। তাছাড়া খারাপ কিছু আছে তা কিন্তু না। গেম খেলে আয় রোজগার অনেকেই করছে। সেদিকে নজর রাখুন। 

শেষকথাঃ

এমন কিছু বাংলাদেশি গেমিং ইউটিউবার আছে। যাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা উচিত হবে না। যেমন ধরুন, কিছু ইউটিউবাররা ফ্রী ফায়ার গেমস নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলে। তাদের ভিজিটর বিভিন্ন দেশ থেকে আসে। এবং সেখান থেকে তারা উপার্জন করছে কয়েক  লক্ষ টাকা। 

গেমের আরো উপকারিতা আছে। যেমন, অসংখ্য মানুষ গেম রিলেটেড ব্লগিং করে নিজের আয় রোজগার করছে। অনেকের কাছে তা প্রদর্শন করছে। একইভাবে ইনকাম করছে। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। সকলকে ধন্যবাদ।

Rakib

রাকিব "এক্সপার্ট বাংলাদেশ" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক। সে অবসর সময়ে ব্লগিং ও লেখালেখি করতে ভালোবাসে। তাছাড়াও, অনলাইনে নতুন কিছু শেখা তার প্রধান শখ।

Post a Comment

কমেন্ট করার মিনতি করছি। আমরা আপনার কমেন্টকে যথেস্ট মূল্য প্রদান করি। এটি আমাদের সার্ভিসের অংশ।

তবে কোনো ওয়েবসাইট লিংক প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল।

Previous Post Next Post