১০ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ : SSC 2022 assignment 4th week pdf download
সম্প্রতি ১০ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ পেয়েছে। এসাইনমেন্ট সমাধান আপনারা এখানেই পেয়ে যাবেন। এখানে বর্ণিত হয়েছে ১০ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলা ও ইংরেজি এসাইনমেন্ট।
১০ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর (ইংরেজি)
'People's awareness to fight Covid in Bangladesh"
COVID-19 is an infectious disease caused by coronavirus. This virus was first detected in the city of Wuhan, China, in December 2019, Now it has been spread quickly around the world. This virus was confirmed to have spread to Bangladesh on 8 March
People's behaviour in public places and in public transport:
During lock down, with high risk of couid-19, some people go to their workplace to earn their bread and butter. Other people go outside showing one or another excave. As most of the people are poor, they have to go outside in searching daily needs. The government administration and the law enforcement agencies are in the field to make the people aware. But the people are lotering showing them their thumbs
Public transport was made to take one passenger in every 2 seats. But the reality is that the people do not follow the provision in public transports and in public places as well. It's because the density of our population and the unawareness of our people about the deadly coronavirus and so they use the public transports as usual
No, people don't maintain social distancing during the lockdown due to Covid-19
Due to Covid-15, people should not go outside and it is prohibited during the lockdown. But if there a no other alterative of going out in public, it is important to stay at least 6 feet away from other people and wear a mask to slow the spread of Cavid-19.
Following proper guidelines it is easier said than done because of various socia economic aspects, people go out randomly without maintaining social distance.
People's behaviour while moving from one place to another during festivals:
Nero fiddles while Rame burns is a wise saying and it is true for our country as it is still continuing the celebration of different festivals during Covid-19 threat Though in a limited scale, different religious festivals like Eid, Durga Puja and social festivals like Wedding ceremony, Birthday party etc are celebrated. During festivals, they are moving from one place to another with their whole family without maintaining social distance. They engage in different behaviours like singing, dancing, shouting etc not maintaining physical distance or not wearing masks.
It is not easy to find out the reason why they do that. One common reason is that the people of Bangladesh are naturally emotional They cannot avoid these festivals as they want to interact with their near and dear ones. They also like to pass some of their times in merriments though there is a high risk of spreading Covid-19.
The people who contain coronavirus cough, sneeze, speak, sing or breathe and throw small droplets through their nose or mouth which are spread to another people in front of them. They may be infected with Covid-19 and there will create a chain to spread the deadly coronavirus among the people gathered there. The best way not to be infected is to stay home and not to go where there is a crowd.
What I could do as a responsible citizen of the country to prevent such behaviour:
As a responsible oiten
Firstly can stay at home
can make people aware same as me
I can make them understand not to go public place making gathering or not to go in crowd
• We should not celebrate any festival during Covid-19 pandemic and avoid arranging family celebrations
While going outside, everyone should wear a mask and maintain social distance
We should wash our hands frequently, avaid touching our face, eyes and mouth
I can request the people around me to avoid public transport
We should obey the directives announced by the government during the lockdown.
১০ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট(বাংলা)
১। কবি আবদুল হাকিমের মাতৃভাষায় গ্রন্থ রচনার কারণ:
মধ্যযুগের অন্যতম কবি আবদুল হাকিম (১৬২০-১৬৯০) 'বঙ্গবাণী' কবিতায় মাতৃভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক কালজয়ী আদর্শ। মাতৃভাষা বাংলার প্রতি কবির গভীর মমত্ববোধ প্রকাশ পেয়েছে।
কবি ব্যক্ত করেছেন যে, নিজের ভাষার চেয়ে পৃথিবীতে মহান কিছু নেই। কেননা মাতৃভাষাই জগতে শ্রেষ্ঠ। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। তাই বাংলাতেই আমরা আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করি। তার মতে, অন্যের ভাষা আমাদের বোধগম্য নয়, অন্য ভাষায় ভাববিনিময় করা যায়না। এ কারনেই কবি মাতৃভাষায় গ্রন্থ রচনায় মনোনিবেশ করেছেন।
২। মাতৃভাষা-বিদ্বেষীদের প্রতি কবির মনোভাবঃ
এ কবিতায় কবি আবদুল হাকিম স্পষ্টতই বলেছেন, অন্য ভাষার প্রতি তাঁর কোনো রাগ বা বিদ্বেষ নেই। বিশেষ করে আরবি বা ফারসি ভাষায় আল্লাহ ও মহানবীর ভুতি বর্ণিত হয়েছে। তাই এসব ভাষার প্রতি সবাই পরম শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু কবির রাগ সেখানেই যিনি নিজের ভাষাকে অবজ্ঞা করে অন্যের ভাষায় কথা বলতে চান। অন্যের সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে। সেজন্যই তিনি যথার্থই বলেছেন,
"যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।”
অর্থাৎ যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছে অথচ বাংলা ভাষার প্রতি তাদের মমতা নেই, তাদের বংশ ও জনন্ম পরিচয় সম্পর্কে কবির সন্দেহ জাগে। এবং নিজের দেশের বিদ্যার প্রতি যার কোনো অনুরাগ নেই, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ নেই তাদেরকে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যাবার কথা বলেছেন।
'বঙ্গবাণী' কবিতার মাধ্যমেই কবি সহজেই বুঝাতে চেয়েছেন, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা বাংলাদেশেই . আমাদের বসতি, বাংলাদেশ আমদের মাতৃভূমি এবং মাতৃভাষায় বর্ণিত বক্তব্য আমাদের মর্ম স্পর্শ করে।
৩। ভাষার অপপ্রয়োগের দৃষ্টান্তঃ
মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম বাহন ভাষা অর্থাৎ মাতৃভাষা। কিন্তু মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে ভিন্ন ভাষা। এবং সংস্কৃতিকে লালন করা, নিজস্ব ভাষাকে বিকৃত করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় বিশেষ করে বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষদের মধ্যে।
শুদ্ধ বাংলাকে উপেক্ষা করে কুরুচিপূর্ণ বাংলা ভাষার প্রয়োগ ও উচ্চারণ, কথায় কথায় বাংলার সাথে ইংরেজির মিশ্রণ, আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে বাংলা ভাষা এখন তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। বাবাকে 'ড্যাডি' বলা, মা কে 'মাম্মী' বলা, কথায় কথায় 'সরি' বলা, 'এক্সাম’ সামনে আমার হাতে 'টাইম' নাই, আমি তোমাকে 'ফিল' করি, ইত্যাদি বাংলা এবং ইংরেজি একত্রে বলার প্রবণতা দেখা যায়। 'বাংলিশ' নামের একটি বিশেষ ভাষা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করতে দেখা যায়। যেমন-'তোমার সাথে কথা আছে' এই কথাটি শুধু বাংলায় অথবা শুধু ইংরেজিতে বলা গেলেও 'বাংলিশে' বলা হয় 'Tomar sathe amar kotha ache' এই হচ্ছে আমাদের ভাষার বিকৃতি দিক।
সহজ বাংলা এবং শুদ্ধ ভাষারও রয়েছে অপপ্রয়োগ। যেমন- দোস্তো, ফুচকা খাবা?' অর্থাৎ 'খাবে' কে 'খাবা' বলা, যাবে কে 'যাবা' বলা ইত্যাদি। আবার ইংরেজি বাংলা মিলিয়ে শুধু বাংলাও দেখা যায়। যেমন 'এক্সট্রা খাতির' 'সরি বন্ধু' ইত্যাদি।
নামের একটি বিশেষ ভাষা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করতে দেখা যায়। যেমন-'তোমার সাথে কথা আছে এই কথাটি শুধু বাংলায় অথবা শুধু ইংরেজিতে বলা গেলেও 'বাংলিশে' বলা হয় ‘Tomar sathe amar kotha ache' এই হচ্ছে আমাদের ভাষার বিকৃতি দিক।
সহজ বাংলা এবং শুদ্ধ ভাষারও রয়েছে অপপ্রয়োগ। যেমন-'দোন্তো ফুচকা খাবা?' অর্থাৎ 'খাবে' কে ‘খাবা' বলা, যাবে কে 'যাবা' বলা ইত্যাদি। আবার ইংরেজি বাংলা মিলিয়ে শুধু বাংলাও দেখা যায়। যেমন-'একটা খাতির' 'সরি বন্ধু' ইত্যাদি।
বর্তমানে এফএম রেডিওতে বাংলাভাষার মুন্ডুপাত করতে দেখা যায়, যেমন-"হ্যালো অডিয়েন্স-এখন যে গানটা পে করবো............ এই ভাষাগুলোকে আমরা কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবো? 'বাবু খাইছো' 'আবার জিগায়' 'ওই মামা, যাইবা ইতাদি ধরণের ভাষাগুলোতো রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে ।
অন্যান্য মিডিয়া বিশেষ করে সংবাদপত্র, টেলিভিশনেও বাংলাভাষার যথেচ্ছা অপপ্রয়োগ এবং কুরুচিপূর্ণভাবে এবং বিকৃতভাবে ব্যবহার করতে দেখা যায়। বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানে যেখানে সাইনবোর্ড কিংবা ব্যানার ইংরেজিতে লেখা না হলে নাকি ক্রেতা বা ভোক্তা বা দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষন করা যায় না। অনেকে এসব জায়গায় ভিন্ন সংস্কৃতির ছবি, আপত্তিজনক ছবি ইত্যাদি সংযোজন করে দেয়।
৪। মাতৃভাষার অপপ্রয়োগ কমাতে এবং যথাযথ প্রয়োগ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা:
মাতৃভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করার মতো শাস্তি মনে হয় অন্য কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিছু সময়ের জন্য নিজেকে জাহির করতে কিংবা অপরের চোখে হিরো সাজার জন্য অন্য ভাষা থেকে ধার করে মনের অনুভূতি প্রকাশ করা যায়, তবে এতে নিজের স্বকীয়তার বিলুপ্তি ঘটে। তাই মাতৃভাষার অপপ্রয়োগ কমাতে হবে এবং মাতৃভাষার যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। যেমন
• পরিবার এবং সমাজের সব জায়গায় মাতৃভাষার প্রয়োগের ব্যপারে সচেতনতা বৃদ্ধি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধ বাংলা শেখা এবং প্রয়োগের যগ্যষণ অনুশীলন করা।
• সরকারি সব কাজে বাংলাকে বাধ্যতামূলক এবং ইংরেজি ভাষাকে সহকারি ভাষা হিসেবে রাখা।
• সাইনবোর্ড, ব্যানার কিংবা অন্যান্য বিজ্ঞাপন বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক করা।
• সর্বস্তরে বাংলাভাষার নির্ভুল প্রয়োগে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা।
• রেডিও, টেলিভিশন কিংবা সংবাদপত্রে বিকৃত বাংলা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
• এই সব মিডিয়ার মাধ্যমে মাতৃভাষার গুরুত্ব জনগণের সামনে তুলে ধরা।
• জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাংলাকে উচ্চাশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
মাতৃভাষার বাংলার গুরুত্ব বোঝাতে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানো।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধ বাংলা শেখা এবং প্রয়োগের যথাযথ অনুশীলন করা।
সরকারি সব কাজে বাংলাকে বাধ্যতামূলক এবং ইংরেজি ভাষাকে সহকারি ভাষা হিসেবে রাখা।
• সাইনবোর্ড, ব্যানার কিংবা অন্যান্য বিজ্ঞাপন বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক করা।
সর্বস্তরে বাংলাভাষার নির্ভুল প্রয়োগে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা।
• রেডিও, টেলিভিশন কিংবা সংবাদপত্রে বিকৃত বাংলা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
• এই সব মিডিয়ার মাধ্যমে মাতৃভাষার গুরুত্ব জনগণের সামনে তুলে ধরা।
• জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাংলাকে উচ্চাশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
• মাতৃভাষার বাংলার গুরুত্ব বোঝাতে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানো
• সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বাংলা ভাষা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা।
• মাতৃভাষাকে বিকৃত করে ইংরেজি ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করাকে আভিজাত্যের প্রতীক মনে না করা।
• সর্বোপরি 'শুদ্ধ বাংলা ক্লাব বা সংঘ' জাতীয় ক্লাব বা সংগঠন তৈরি করে নিয়মিত শুদ্ধ বাংলা চৰ্চা করা।
SSC 2022 assignment 4th week pdf download
If you wamt to download SSC 2022 assignment 4th week pdf, then you have to click here.
শেষকথাঃ
এখানে আমরা ১০ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সম্বন্ধে জানলাম। ১০ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর পেলাম। ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের মাঝে বিতরণ করে দিন। সকলকে ধন্যবাদ।