ইউটিউব গুগলের প্রোডাক্ট। ইউটিউব থেকে আয় করা তাই অনেকবেশি সিকিউর এবং সাচ্ছন্দ্য। আজকে আমরা ইউটিউব থেকে আয় করবেন যেভাবে এ ব্যাপারে জানব।
একইভাবে প্রয়োজনে ভিডিও সার্চ দিয়ে অথবা হোমপেজ থেকে দেখা যায়। যেগুলো দেখে উপকৃত হওয়া সম্ভব। ইউটিউব ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছিল 2005 সালে। বর্তমানে ইন্টারনেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে ইউটিউব অন্যতম। এখানে প্রায় 6 বিলিয়ন ভিডিও ঘন্টা থাকে প্রতি মাসে।
ইউটিউবে ভিডিও শেয়ারিং এবং এর প্ল্যাটফর্ম এত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে যে, যদি একটি ভিডিও ইন্টারনেটে দেখেন তাহলে সেটি নিশ্চিত করে বলা যেতে পারে যে ভিডিওটি আসলে ইউটিউবের।
বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ও ব্লগের পাশাপাশি বা কনটেন্ট এর পাশাপাশি যখন একটি ইউটিউব ভিডিও দেয়া হয়, তখন ধারণা রাখা যায় যে ভিডিওটি ইউটিউব থেকে দেয়া আছে।
ইউটিউব ভিডিও দেখতে অনেক সহজ। এবং সেখানে সহজেই যেকোন বিষয় দেখে উপকৃত হওয়া সম্ভব। তো আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হল, ইউটিউব থেকে অনলাইনে আয় করার উপায় কি? এবং কিভাবে আয় করা যেতে পারে তার কতগুলো পদ্ধতি। ইউটিউব যেহেতু ভিজিটর প্রতিমাসেই রাখে, এবং সেখান থেকে আয় করার উপায় ও অনেক থাকতে পারে। সেগুলো আমরা আলোচনা করবো।
Name (You Tuber)
(Chart History: 2017-2018)
উপরোক্ত চার্টটি আপনাকে দ্বিধায় ফেলে দিলো যে, আসলে তারা কিভাবে এত উপার্জন করতে সক্ষম হলো?
আপনাকে একজন ইউটিউবার প্রেমিয়াম অথবা পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে জয়েন করতে হবে। এবং সেখান থেকে মনিটাইজেশন অন করে সরাসরি মনিটর করতে পারেন। এড প্রদর্শন করতে পারেন। সেখান থেকে কিছু উপার্জন করা যায়।
তাছাড়া নিজের চ্যানেলের জন্য নির্দিষ্ট অডিয়েন্স তৈরি করে নিতে হবে। তাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। প্রতিনিয়ত অডিয়েন্স তৈরি করে নিতে পারবেন, যদি প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করেন তবে। নিজের অডিয়েন্স থাকলে বা রেগুলার ভিও থাকলে সেটা অনেক বেশি লাভজনক। এভাবে মনিটাইজেশন এবং অন্যান্য উপায়ে আয় করা
ধরুন আপনার ইউটিউব এডে কোন ইম্প্রেশন অথবা ক্লিক হলো না, তবে আপনি সেখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন না। শুধুমাত্র ইউটিউব ভিউ এর উপর সব কিছু নির্ভর করে না। ইউটিউবে ভিউ হওয়ার পাশাপাশি কত ইম্প্রেশন পড়ল, এডে ক্লিক পড়ল তার উপর নির্ভর করে এড রেভিনিউ জেনেরেট হয়।
ইউটিউবে কন্টেন ক্রিয়েট করে ভালো আয় করার জন্য সবসময়ই প্যাসিভ ইনকামে নজর দিতে হয়। কারন ইউটিউবে যত এড রেভিনিউ জেনারেট হবে, তার 45 ভাগ ইউটিউব নিজে নিয়ে নেয়।
বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন এডসেন্স মনিটাইজেশন অন করে সরাসরি ইউটিউব এর মত গুগল হোস্টেড সাইটে মনিটাইজেশন করা যায়। সেখান থেকে বিভিন্ন ভাবে আয়ও করা যায়।
তবে এটি যে একমাত্র উপায়, তা কিন্তু না। ইউটিউবে অন্যান্য আরো উপায় আছে। যেখান থেকে বিপুল পরিমান উপার্জন করা যায়। এর রিভিনিউ কেবলমাত্র অ্যাডে ক্লিক, অর্গানিক ভিও কতবার একটি ইউটিউব ভিডিওতে আসলো, তার উপর নির্ভর করে দেয়া হয়। এবং তাতে কয়েক ডলার থেকে শুরু করে কিছু পরিমাণ আর্নিং সম্ভব হয়। যেটি ইউটিউবে অন্যান্য উপায়ে করা থেকে কিছুটা কম।
পুরো ইন্টারনেটের প্রায় অর্ধেক ইউজাররা ইউটিউবে অবশ্যই কোনোভাবে এসেছে। এখানে প্রতি মাসে এক দশমিক 9 বিলিয়ন ইউজার লগইন করে এবং নিয়মিত ব্যবহার করে।
এখানে প্রতিনিয়ত যেভাবে ভিজিটর আসে এবং ভিজিট হয়, একইভাবে প্রতি মিনিটে 500 ঘন্টা ভিডিও আপলোড হয়। এখানে ভিডিও আপলোড এবং ভিডিও ওয়াচ এক তালে চলতে থাকে।
ধরুন আপনার ইউটিউবে মিলিয়ন অথবা কয়েক লাখ ভিজিটর আছে। তাহলে আমার ব্লগে দেয়া উপায় গুলো ইউটিউবে আরনিং করার জন্য বেশ ভালো হতে পারে। তারপরও যদি আপনার কোনো ইউটিউব চ্যানেল না থাকে, অথবা ভালো ভিজিটর না আসে, তারপরেও উপায় গুলো দেখে নিতে পারেন। ভবিষ্যতে উপকৃত হবেন।
ইউটিউব থেকে আয় করবেন যেভাবে তার উপায়সমূহ উল্লেখ করছি। এ সমস্ত উপায়ে ইউটিউব থেকে বেশি আয় করা সম্ভব।
তাছাড়া ইউটিউবে পার্টনার প্রোগ্রামের জয়েন দেওয়া এতটা বাধ্যতামূলক না। যদি আপনি মনিটাইজেশন পেয়ে যান এডসেন্স থেকে, তবে সেখান থেকে ইনকাম করে নেয়াই যথেষ্ট।কিন্তু একটি কথা আছে, সেটি হলো ইউটিউবে পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের জয়েন দেয়ার মাধ্যমে এ ব্যাপারটা আরও সহজ হয়।
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে জয়েন করার মাধ্যমে বিভিন্ন আর্নিং স্ট্রিম অফিশিয়ালি যুক্ত হওয়া যায়। যেমনঃ শুধুমাত্র এডভারটাইস নয়, ইউটিউব প্রেমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ফি, যেখান থেকে সুপার চ্যাটিং করা যায়। চ্যানেলের মেম্বারশিপ ইনেবল করা যায়। এতে করে মেম্বাররা সেখানে ভিডিও দেখতে অথবা চ্যানেলের জয়েন করতে পে করবে। এবং সেখান থেকে উপার্জন হবে।
চলুন বিষয়টি step-by-step বুঝিয়ে দেয়া যাকঃ
আপনার কমপক্ষে 1000 সাবস্ক্রাইবার লাগবে।
এছাড়া 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম প্রয়োজন পড়বে পুরো এক বছরে।
তাছাড়া আছে ভিডিও ওয়াচ টাইম। যেটি ইউটিউব মনিটাইজেশনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাকাউন্টে সাইন করে নেওয়ার পরে একদম উপরের ডান দিকের অপশনটিতে ক্লিক করুন। সেখান থেকে Youtube Studio বেছে নিন।
পরবর্তীতে বামদিকের মেনুতে যেসকল অপশন আসবে তার মধ্যে একটি ফিচার আসে other feautures >> Monetization
সেখানে গিয়ে আপনি একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। অথবা নিজের আগে থেকে এডসেন্স একাউন্ট থাকলে সেটি কানেক্ট করতে পারেন। এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করার মাধ্যমেই মূলত মনিটাইজেশন শুরু হবে। এবং আপনাকে তার জন্য ইউটিউব এর প্রোগ্রাম ও পলিসি গাইডলাইন ফলো করতে হবে। এবং যে সকল রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো ফুলফিল করতে হবে।
আপনাকে একটি অ্যাডভারটাইজার ফ্রেন্ডলি অর্থাৎ কনটেন্ট অ্যাডভারটাইজার ফ্রেন্ডলি মনিটাইজেশন শুরু করতে হবে।
একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার ভিডিওতে সমালোচনা যত কম হবে, ইউটিউব এড চালাতে ততো ভালো অনুভব করবে। অর্থাৎ আপনি যদি এডভেটাইজ ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করেন, তবে এটি আপনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে।
ইউটিউব প্রিমিয়াম রেভিনিউ: ইউটিউব এর কোন প্রেমিয়াম মেম্বার যদি আপনার ভিডিও দেখে অর্থাৎ ভিডিও ভিউ করে, তবে সেখান থেকে কিছু অংশের সাবস্ক্রিপশন ফি হিসেবে আপনি পাবেন। এটা অটোমেটিক্যালি চলে এবং যেটি আসলেই দারুন।
আপনাকে কম করে হলেও 18 বছর বয়স হতে হবে। আপনার 30 হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। আরো আছে সুপার্চাট পেমেন্ট সিস্টেম: যদি আপনার বিপুল পরিমাণে ফ্যান থাকে, যারা আপনার ভিডিও দেখে প্রচুর ভালো অনুভব করে। তবে super chat সিস্টেম অন করতে পারেন।
ধরুন, টি শার্ট বিক্রি করছেন। তাহলে নিজে সেই টি-শার্ট পরিধান করে থাকুন। আবার কোন প্রোডাক্ট যদি শেয়ার করতে চান, তাহলে সেটি রিভিউ করুন। অথবা দেখান যে কিভাবে সেটা আপনি ব্যবহার করছেন নিজের প্রতিদিনের জীবনে।
এছাড়াও যারা সদ্য নতুন প্রোডাক্ট কিনেছে,এবং ব্যবহার করছে, তাদের থেকে রিভিউগুলো ভিউয়ারদের মাঝে দেখান।
ভিডিও ডেসক্রিপশনে নিজের স্টোর এর লিঙ্ক এড করতে কখনো বলবেন না। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে করে নিজের ই-কমার্স সাইটে নতুন নতুন অর্গানিক ভিজিটর আনতে পারেন। অডিয়েন্সরা জানবে যে কোথা থেকে প্রোডাক্ট গুলো কিনতে হবে। ইউটিউব থেকে আয় করবেন যেভাবে জানুন।
Suggestion: কেউ পণ্য কিনে নিলে ধন্যবাদ বলতে বলবেন না। নিজের ভদ্রতার পরিচয় দিন।
Suggestion: স্পনসর ভিডিও তৈরি করা হয় কোন একটি পণ্যের বা কোম্পানির মার্কেটিং করানোর জন্য। আপনার ইউটিউব ভিডিও কনটেন্ট যদি তাদের সাথে সাদৃশ্য হয়, তবে তাদের স্পন্সর করতে পারবেন। তা না হলে সেটি দৃষ্টিকটু দেখাবে।
YouTuber Aaron Marino, a.k.a. Alpha M, সহ আরো অনেকে স্পন্সর কন্টেন্ট করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করে নিয়েছে।
আবার জনপ্রিয় ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ব্রাজিলের ডিজে অলোক ফ্রি ফায়ারের ক্যারেক্টার আনার মাধ্যমে ফ্রী ফায়ার গেমের স্পন্সর করেছে। এবং সে গেমে পার্টনারশিপে জয়েন দিয়েছে।
নিজের কনটেন্ট এবং নিজের সাবস্ক্রাইবারদের কে আগে থেকেই গড়ে তুলুন যাতে তারা আপনার প্রতি অনেক বেশি সহনশীল এবং সহানুভূতিশীল হয়।
বিভিন্ন মার্কেটিং প্রোগ্রাম ও অ্যাফিলিয়েট লিংক এর সাথে আগে থেকে সাইনআপ করে রাখুন। সাইন করে রাখুন, যাতে করে এফিলিয়েট প্রডাক্ট প্রমোশন করতে পারেন। ইউটিউবে এফিলিয়েট লিংক ও প্রডাক্ট প্রমোশন এর মাধ্যমে উপার্জন করা যায়।
কোনো কন্টেন্ট স্পন্সর করার পরবর্তীতে কত টাকা নিবেন, সেটি নির্ভর করেঃ
স্পনসর কনটেন্ট ও এডভারটাইজিং করার আগে সতর্ক থাকা খুব জরুরী। আগে দেখতে হবে, এই স্পনসর্ড অডিয়েন্সের জন্য যথোপযোগী কিনা? তা না হলে আপনার সমালোচনাও বেড়ে যেতে পারে।
ইউটিউবে নিজের ফ্যান তৈরি করুন যাতে করে তারা সরাসরি আপনাকে পে করতে পারে!
ইউটিউবে টাকা আয় করার যে সকল ব্যতিক্রমী উপায় আছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম। এর আগে সুপার চ্যাট হলো মনিটাইজেশন ইউটিউব এর একটি ফিচার তা বলেছি।
3. ভক্তদের উৎসাহিত করুন ইউটিউব এ প্রেমিয়াম মেম্বারশিপ নেয়ার জন্য।
যখন কেউ ইউটিউবে প্রেমিয়াম মেম্বারশিপ নিয়ে আপনার ভিডিও দেখবে, তখন সেই মেম্বারশিপ ফি থেকে আপনিও কিছু অংশ পাবেন। এবং এভাবে আপনি ভালো এবং অটোমেটিক্যালি উপার্জন করতে থাকবেন।
{tocify} $title={Table of Contents}
ইউটিউব কি? (What is YouTube?)
ইউটিউব একটি ফ্রি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট। এ ওয়েবসাইট এর এন্ড্রয়েড ভার্সন এপ্লিকেশন আছে। ইউটিউবে আমরা চাইলে মন পছন্দের যেকোন ভিডিও শেয়ার করতে পারি। সেগুলো সকলকে দেখানোর উপযুক্ত করতে পারি। নিজের ভিডিও প্লেলিস্ট তৈরি করতে পারি। সেখানে ভিডিও জমা দেওয়া, এমনকি চাইলে ভিডিও দেখতেও পারি। এখানে যে কোন ধরনের ভিডিও তৈরী করে আপলোড দেয়া যায়।একইভাবে প্রয়োজনে ভিডিও সার্চ দিয়ে অথবা হোমপেজ থেকে দেখা যায়। যেগুলো দেখে উপকৃত হওয়া সম্ভব। ইউটিউব ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছিল 2005 সালে। বর্তমানে ইন্টারনেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে ইউটিউব অন্যতম। এখানে প্রায় 6 বিলিয়ন ভিডিও ঘন্টা থাকে প্রতি মাসে।
ইউটিউবে ভিডিও শেয়ারিং এবং এর প্ল্যাটফর্ম এত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে যে, যদি একটি ভিডিও ইন্টারনেটে দেখেন তাহলে সেটি নিশ্চিত করে বলা যেতে পারে যে ভিডিওটি আসলে ইউটিউবের।
বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ও ব্লগের পাশাপাশি বা কনটেন্ট এর পাশাপাশি যখন একটি ইউটিউব ভিডিও দেয়া হয়, তখন ধারণা রাখা যায় যে ভিডিওটি ইউটিউব থেকে দেয়া আছে।
ইউটিউব ভিডিও দেখতে অনেক সহজ। এবং সেখানে সহজেই যেকোন বিষয় দেখে উপকৃত হওয়া সম্ভব। তো আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হল, ইউটিউব থেকে অনলাইনে আয় করার উপায় কি? এবং কিভাবে আয় করা যেতে পারে তার কতগুলো পদ্ধতি। ইউটিউব যেহেতু ভিজিটর প্রতিমাসেই রাখে, এবং সেখান থেকে আয় করার উপায় ও অনেক থাকতে পারে। সেগুলো আমরা আলোচনা করবো।
সবচেয়ে বেশি ইনকাম করে এরকম ১০ জন ইউটিউবার।
ইউটিউব থেকে অনলাইনে আয় করা একেবারে কঠিন কোন পদ্ধতি না।তার আগে আমরা জেনে নেই, 2017 থেকে 2018 এর পরিসংখ্যানে ইউটিউব থেকে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করছে এরকম 10 জনের নামঃName (You Tuber)
Name (You Tuber) | Subscribers | Earnings (Year) |
---|---|---|
Ryan's World | 22.4 million | 22 million |
Jake Paul | 19.7 million | 21.5 million |
Dude Perfect | 47.1 million | 20 million |
Dan TDM | 22.3 million | 18.5 million |
Jeffree Star | 16.5 million | 18 million |
Markiplier | 24.5 million | 17.5 million |
Vanoss Gaming | 24.9 million | 17 million |
Jacksepticeye | 23 million | 16 million |
PewDiePie | 102 million | 15.5 million |
Logan Paul | 19.9 million | 14.5 million |
(Chart History: 2017-2018)
উপরোক্ত চার্টটি আপনাকে দ্বিধায় ফেলে দিলো যে, আসলে তারা কিভাবে এত উপার্জন করতে সক্ষম হলো?
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে কি অনলাইনে আয় করা সম্ভব?
প্রকৃতপক্ষে যারা কনটেন্ট ক্রিয়েট করে তারা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করলেও তা থেকে কোনো উপার্জন করতে পারে না। তার জন্য youtube-এর মনিটাইজেশন ফিচারটা অন করতে হয়। এবং মনিটাইজেশনের জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। আর এমনিতে যেকোনো একটি কনটেন্ট আপলোড দেয়ার সাথে সাথেই আপনাকে পে করা হবে না।আপনাকে একজন ইউটিউবার প্রেমিয়াম অথবা পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে জয়েন করতে হবে। এবং সেখান থেকে মনিটাইজেশন অন করে সরাসরি মনিটর করতে পারেন। এড প্রদর্শন করতে পারেন। সেখান থেকে কিছু উপার্জন করা যায়।
কারা আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে নিয়মিত ভিউ করবে?
আপনার কনটেন্ট এর সাথে মিল আছে এরকম অডিয়েন্স আপনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিনিয়ত আসবে। তার আগে আপনার ইউটিউনের কন্টেন্ট হতে হবে মানসম্পন্ন। মানসম্মতভাবে কন্টেন্ট তৈরি করে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করে নিবেন।তাছাড়া নিজের চ্যানেলের জন্য নির্দিষ্ট অডিয়েন্স তৈরি করে নিতে হবে। তাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। প্রতিনিয়ত অডিয়েন্স তৈরি করে নিতে পারবেন, যদি প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করেন তবে। নিজের অডিয়েন্স থাকলে বা রেগুলার ভিও থাকলে সেটা অনেক বেশি লাভজনক। এভাবে মনিটাইজেশন এবং অন্যান্য উপায়ে আয় করা
ইউটিউবে আয় করার জন্য কি পরিমান ভিউ এর প্রয়োজন?
ভালো পরিমাণে মুনাফা আয় করার ক্ষেত্রে youtube-এর ভিউ কাজে আসে না। কাজে আসে কেবল আপনার ইউটিউব ভিডিও এর এ্যাডে কি পরিমান ক্লিক পড়েছে। এবং অ্যাডে ইম্প্রেশন কিরকম হয়েছে। একজন ভিজিটর এর বয়স, এছাড়াও কোন লোকেশন ও জিওগ্রাফিক এলাকা থেকে ভিজিটরটি এলো তার উপর এড রেভিনিউ নির্ভর করবে।ধরুন আপনার ইউটিউব এডে কোন ইম্প্রেশন অথবা ক্লিক হলো না, তবে আপনি সেখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন না। শুধুমাত্র ইউটিউব ভিউ এর উপর সব কিছু নির্ভর করে না। ইউটিউবে ভিউ হওয়ার পাশাপাশি কত ইম্প্রেশন পড়ল, এডে ক্লিক পড়ল তার উপর নির্ভর করে এড রেভিনিউ জেনেরেট হয়।
ইউটিউবে কন্টেন ক্রিয়েট করে ভালো আয় করার জন্য সবসময়ই প্যাসিভ ইনকামে নজর দিতে হয়। কারন ইউটিউবে যত এড রেভিনিউ জেনারেট হবে, তার 45 ভাগ ইউটিউব নিজে নিয়ে নেয়।
ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপায়সমূহ
যাইহোক ইউটিউবে যেহেতু ভিজিটর আছে। এবং প্রতি মাসে 6 বিলিয়ম ঘন্টা ভিডিও দেখা হয়, তাহলে এতোটুকু অনুধাবন করা যায় যে প্রতি মাসে এখানে মিলিয়ন এর উপরে ভিজিটর আসে। সেহেতু সেখান থেকে ইনকাম করার জন্য অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করা যেতে পারে। এবং এর রিভিনিউ থেকে ইনকাম করা যেতে পারে। কাজেই ইউটিউবে আয় করার সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় উপায় হলো এড রেভিনিউ উপার্জন।বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন এডসেন্স মনিটাইজেশন অন করে সরাসরি ইউটিউব এর মত গুগল হোস্টেড সাইটে মনিটাইজেশন করা যায়। সেখান থেকে বিভিন্ন ভাবে আয়ও করা যায়।
তবে এটি যে একমাত্র উপায়, তা কিন্তু না। ইউটিউবে অন্যান্য আরো উপায় আছে। যেখান থেকে বিপুল পরিমান উপার্জন করা যায়। এর রিভিনিউ কেবলমাত্র অ্যাডে ক্লিক, অর্গানিক ভিও কতবার একটি ইউটিউব ভিডিওতে আসলো, তার উপর নির্ভর করে দেয়া হয়। এবং তাতে কয়েক ডলার থেকে শুরু করে কিছু পরিমাণ আর্নিং সম্ভব হয়। যেটি ইউটিউবে অন্যান্য উপায়ে করা থেকে কিছুটা কম।
পুরো ইন্টারনেটের প্রায় অর্ধেক ইউজাররা ইউটিউবে অবশ্যই কোনোভাবে এসেছে। এখানে প্রতি মাসে এক দশমিক 9 বিলিয়ন ইউজার লগইন করে এবং নিয়মিত ব্যবহার করে।
এখানে প্রতিনিয়ত যেভাবে ভিজিটর আসে এবং ভিজিট হয়, একইভাবে প্রতি মিনিটে 500 ঘন্টা ভিডিও আপলোড হয়। এখানে ভিডিও আপলোড এবং ভিডিও ওয়াচ এক তালে চলতে থাকে।
ধরুন আপনার ইউটিউবে মিলিয়ন অথবা কয়েক লাখ ভিজিটর আছে। তাহলে আমার ব্লগে দেয়া উপায় গুলো ইউটিউবে আরনিং করার জন্য বেশ ভালো হতে পারে। তারপরও যদি আপনার কোনো ইউটিউব চ্যানেল না থাকে, অথবা ভালো ভিজিটর না আসে, তারপরেও উপায় গুলো দেখে নিতে পারেন। ভবিষ্যতে উপকৃত হবেন।
ইউটিউব থেকে আয় করবেন যেভাবে তার উপায়সমূহ উল্লেখ করছি। এ সমস্ত উপায়ে ইউটিউব থেকে বেশি আয় করা সম্ভব।
ইউটিউব এর পার্টনারশিপে যোগদান করুনঃ
ইউটিউব এ পার্টনারশিপ নামক প্রোগ্রাম আছে। সেখানে ইউটিউব মেম্বার, ইউজার এমনকি যার চ্যানেল আছে, ভালোমতো ভিজিটর আসে তারাও যোগদান করতে পারে। এবং এখানে অ্যাক্সেস করা সম্পূর্ন ফ্রি। কিছু কন্ডিশন মেনে নিলেই ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম এ জয়েন করা যায়। সেখান থেকে বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করা যায়। এবং সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করা যায়।তাছাড়া ইউটিউবে পার্টনার প্রোগ্রামের জয়েন দেওয়া এতটা বাধ্যতামূলক না। যদি আপনি মনিটাইজেশন পেয়ে যান এডসেন্স থেকে, তবে সেখান থেকে ইনকাম করে নেয়াই যথেষ্ট।কিন্তু একটি কথা আছে, সেটি হলো ইউটিউবে পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের জয়েন দেয়ার মাধ্যমে এ ব্যাপারটা আরও সহজ হয়।
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে জয়েন করার মাধ্যমে বিভিন্ন আর্নিং স্ট্রিম অফিশিয়ালি যুক্ত হওয়া যায়। যেমনঃ শুধুমাত্র এডভারটাইস নয়, ইউটিউব প্রেমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ফি, যেখান থেকে সুপার চ্যাটিং করা যায়। চ্যানেলের মেম্বারশিপ ইনেবল করা যায়। এতে করে মেম্বাররা সেখানে ভিডিও দেখতে অথবা চ্যানেলের জয়েন করতে পে করবে। এবং সেখান থেকে উপার্জন হবে।
চলুন বিষয়টি step-by-step বুঝিয়ে দেয়া যাকঃ
১। প্রথমত চ্যানেল খুলুন। এবং সেটিকে চালু করুন।
চ্যানেল খোলা এবং সেটি চালু করার জন্য আমি আপনাকে গাইড দিতে পারি। চাইলে গুগলে সার্চ করে দেখুন “কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়”। এবং যেকোনো ভালো ব্লগ পড়ে সেখান থেকে উপকৃত হতে পারবেন। এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন।ইউটিউব থেকে আয় করবেন যেভাবেসম্পুর্ণটা পড়বেন।২। আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য করে গড়ে তুলুন।
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে। যেমনঃআপনার কমপক্ষে 1000 সাবস্ক্রাইবার লাগবে।
এছাড়া 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম প্রয়োজন পড়বে পুরো এক বছরে।
৩। একটি এডসেন্স একাউন্ট সেটআপ করে নিন।
এডসেন্স একাউন্ট তৈরি ও ইউটিউব মনিটাইজেশন শুরু করা খুবই সহজ। এর জন্য আপনি ইউটিউব অথবা গুগল থেকে সাহায্য নিতে পারেন।৪। নতুন মনিটাইজেশন ফিচারটিকে কাজে লাগান
প্রত্যেকটি ইউটিউব চ্যানেলে ভিন্ন ধরনের মনিটাইজেশন পেতে ভিন্ন রকমের রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন পড়ে। যেমনঃ ইউটিউব মনিটাইজেশন সফল করার জন্য যে সকল বিষয় খেয়াল রাখতে হবেঃঅডিয়েন্স দের বয়স সীমার দিকে নজর রাখুন।
অডিয়েন্সের বয়সের সীমা এর উপর ভিত্তি করে আপনি কত বেশি ইনকাম করবেন তা নির্ভর করে। স্বভাবতই 15 থেকে 20 বছর বয়সী অডিয়েন্স দের জন্য ইউটিউব তেমন পে করবে না, যেমনটা পে করবে 25 থেকে 45 বছর বয়সী অডিয়েন্স দের জন্য।ভৌগলিক অবস্থানের উপর নজর রাখুন।
ভৌগলিক অবস্থান এটাই নিশ্চিত করে যে ভিউয়ার্সরা কোন দেশ বা জায়গা থেকে ভিডিও ভিউ করছে। এটি জানা অনেক জরুরি। একজন আমেরিকান নাগরিক একটি ভিডিও ভিউ করে এড এ ক্লিক করলে যত ইনকাম হবে, কোন ব্রাজিল অথবা ইন্ডিয়ান নাগরিক এডে ক্লিক করলে তার চেয়ে কম ইনকাম হবে।তাছাড়া আছে ভিডিও ওয়াচ টাইম। যেটি ইউটিউব মনিটাইজেশনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ইউটিউব এ মনিটাইজেশন কিভাবে ইনেবল করবেনঃ
প্রথমত ইউটিউব একাউন্টে সাইন ইন করে নিন যদি আপনি মনিটাইজ করতে চান তবে।অ্যাকাউন্টে সাইন করে নেওয়ার পরে একদম উপরের ডান দিকের অপশনটিতে ক্লিক করুন। সেখান থেকে Youtube Studio বেছে নিন।
পরবর্তীতে বামদিকের মেনুতে যেসকল অপশন আসবে তার মধ্যে একটি ফিচার আসে other feautures >> Monetization
সেখানে গিয়ে আপনি একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। অথবা নিজের আগে থেকে এডসেন্স একাউন্ট থাকলে সেটি কানেক্ট করতে পারেন। এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করার মাধ্যমেই মূলত মনিটাইজেশন শুরু হবে। এবং আপনাকে তার জন্য ইউটিউব এর প্রোগ্রাম ও পলিসি গাইডলাইন ফলো করতে হবে। এবং যে সকল রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো ফুলফিল করতে হবে।
বেশি ইনকাম করার সুবিধা গুলো কি কি?
এড রেভিনিউ:
এড রেভিনিউ নামক মনিটাইজেন ফিচারটি নিতে আপনার বয়স কমপক্ষে 18 বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।আপনাকে একটি অ্যাডভারটাইজার ফ্রেন্ডলি অর্থাৎ কনটেন্ট অ্যাডভারটাইজার ফ্রেন্ডলি মনিটাইজেশন শুরু করতে হবে।
একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার ভিডিওতে সমালোচনা যত কম হবে, ইউটিউব এড চালাতে ততো ভালো অনুভব করবে। অর্থাৎ আপনি যদি এডভেটাইজ ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করেন, তবে এটি আপনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে।
ইউটিউব প্রিমিয়াম রেভিনিউ: ইউটিউব এর কোন প্রেমিয়াম মেম্বার যদি আপনার ভিডিও দেখে অর্থাৎ ভিডিও ভিউ করে, তবে সেখান থেকে কিছু অংশের সাবস্ক্রিপশন ফি হিসেবে আপনি পাবেন। এটা অটোমেটিক্যালি চলে এবং যেটি আসলেই দারুন।
চ্যানেল মেম্বারশিপ চালু করা:
নিজস্ব চ্যানেল মেম্বারশিপ যদি বিক্রি করতে চান আপনার সাবস্ক্রাইবারদের কাছে, তবে এর জন্য কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে। যেমনঃআপনাকে কম করে হলেও 18 বছর বয়স হতে হবে। আপনার 30 হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। আরো আছে সুপার্চাট পেমেন্ট সিস্টেম: যদি আপনার বিপুল পরিমাণে ফ্যান থাকে, যারা আপনার ভিডিও দেখে প্রচুর ভালো অনুভব করে। তবে super chat সিস্টেম অন করতে পারেন।
সেখান থেকে তাদের থেকে টাকা ডোনেশন নিতে পারেন। অথবা লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখান থেকে সুপার চ্যাট নিতে পারেন। এতে করে আপনার প্রচুর আয় হবে। ইউটিউব থেকে আয় করবেন যেভাবে সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে সম্পুর্ণ ব্লগটি পড়বেন।
তবে চাইলে বিভিন্ন টি-শার্ট, ফ্যাশনেবল আইটেম নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। সেখানে নিজের সব পণ্যের রিভিউ করতে পারেন। সেগুলো শেয়ার করার জন্য ডেসক্রিপশন এ লিংক দিয়ে রাখতে পারেন। সেখান থেকে আর্নিং হবে।
Hawaiian YouTube star Ryan Higa ইউটিউব থেকে নিজের অনলাইন প্রডাক্ট কেনাবেচার যাত্রা শুরু করে এবং তিনি বর্তমানে সবচেয়ে সফল ইউটিউবার।
Suggestion: তার আগে বলে নেই, নিজস্ব অনলাইন প্রোডাক্ট বিক্রয় ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে করতে চাইলে এর জন্য যথেষ্ট জ্ঞান আহরণ করতে হবে। ভালো ভালো আইডিয়া নিতে হবে। নিজেও আইডিয়া বানাতে হবে। তা না হলে সেখানে সেখানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
তার আগে শিওর হন আপনি আপনার অডিয়েন্স দের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ও গ্রহণে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেন কি না?
পণ্যের সুন্দর রিভিউ তৈরি করতে হবে এবং সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ও মানানসই যাচাই করতে হবে।
Shopify’s এর যেকোন টিউটোরিয়াল, ভিডিও বা বিভিন্ন বিষয় আশয় দেখে নিশ্চিত হন যে, কিভাবে কাজটি সম্পন্ন করবেন?
নিজের ওয়েবসাইট থেকে সকল ডিল সম্পন্ন করতে পারবেন। বিভিন্ন ফি ও টাকা লেনদেন সম্পন্ন হবে।
Important: merchandise shelf নিয়ে যে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম আছে সেটিকে অবশ্যই এনেবেল করতে হবে।
৫। ইউটিউবে on-going রিভিউ সাবমিট করে দিনঃ
যারা ইউটিউব ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগদান করে, তাদের ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন হয়। একইভাবে চ্যানেলটি একটি হাই স্ট্যান্ডার্ডয়ে পরিণত হয়। এজন্য ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের পলিসি যে শুধু অনুসরণ করতে হয়, তা কিন্তু না। বরঞ্চ আপনাকে কমিউনিটি গাইডলাইন গুলো কে অনুসরণ করতে হবে। কঁপিরাইট আইন থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এবং অন্যান্য ইউটিউবারদের স্ট্রাইক থেকে বাঁচতে হবে।ইউটিউবে নিজের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে আয়।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে যে শুধু এড রেভিনিউ জেনারেট করা হয়, তা কিন্তু না। নিজস্ব পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিও ব্যবহার করে বিজনেস শুরু করে নেয়া যায়। এজন্য ভালো জ্ঞান থাকলেই হবে।কিভাবে আপনি ব্যবসাটি শুরু করবেন?
প্রথমত আপনার ইউটিউব ভিডিও কে কাজে লাগাবেন। ভিডিওতে পণ্যের প্রডাক্ট মাঝে মাঝে স্পন্সর করবেন। আপনার কনটেন্ট এর নিশের বাইরে গিয়ে কখনো কোনো ভিডিও করতে যাবেন না।তবে চাইলে বিভিন্ন টি-শার্ট, ফ্যাশনেবল আইটেম নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। সেখানে নিজের সব পণ্যের রিভিউ করতে পারেন। সেগুলো শেয়ার করার জন্য ডেসক্রিপশন এ লিংক দিয়ে রাখতে পারেন। সেখান থেকে আর্নিং হবে।
১। নিজের প্রোডাক্ট এর ডিজাইন দেখানঃ
প্রোডাক্ট এর ডিজাইন এবং সেগুলো দেখতে কতটুকু স্টাইলিশ সেগুলো ইউটিউব ভিউয়ারদের আকর্ষণ করে। সেগুলো যতই দেখাবেন তারা ততই মুগ্ধ হবে। এবং সেটি ক্রয় করে নেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।Hawaiian YouTube star Ryan Higa ইউটিউব থেকে নিজের অনলাইন প্রডাক্ট কেনাবেচার যাত্রা শুরু করে এবং তিনি বর্তমানে সবচেয়ে সফল ইউটিউবার।
Suggestion: তার আগে বলে নেই, নিজস্ব অনলাইন প্রোডাক্ট বিক্রয় ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে করতে চাইলে এর জন্য যথেষ্ট জ্ঞান আহরণ করতে হবে। ভালো ভালো আইডিয়া নিতে হবে। নিজেও আইডিয়া বানাতে হবে। তা না হলে সেখানে সেখানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
তার আগে শিওর হন আপনি আপনার অডিয়েন্স দের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ও গ্রহণে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেন কি না?
২। যদি ইউটিউবে প্রোডাক্ট ক্রয়-বিক্রয় শুরু করে দেন, তার জন্য কিছু বিষয় আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে।
প্রোডাক্টের মজুদ রাখতে হবে। সেগুলো ডেলিভারি করার জন্য পর্যাপ্ত লোক রাখতে হবে।পণ্যের সুন্দর রিভিউ তৈরি করতে হবে এবং সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ও মানানসই যাচাই করতে হবে।
Shopify’s এর যেকোন টিউটোরিয়াল, ভিডিও বা বিভিন্ন বিষয় আশয় দেখে নিশ্চিত হন যে, কিভাবে কাজটি সম্পন্ন করবেন?
৩। নিজের শপ এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ
বিভিন্ন ক্রয় ও ডিল সম্পন্ন করার জন্য ই কমার্স ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন আছে। সেখানে প্রোডাক্টের রিভিউ থাকবে। সেই ই-কমার্স ওয়েবসাইট স্পন্সর করতে পারবেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে। এবং এতে করে মার্কেটিং করাও হয়ে যাবে।নিজের ওয়েবসাইট থেকে সকল ডিল সম্পন্ন করতে পারবেন। বিভিন্ন ফি ও টাকা লেনদেন সম্পন্ন হবে।
Important: merchandise shelf নিয়ে যে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম আছে সেটিকে অবশ্যই এনেবেল করতে হবে।
৪। নিজের ইউটিউব ভিডিওতে প্রোডাক্টের প্রমোট করুনঃ
প্রোডাক্ট প্রমোট করার অনেক উপায় আছে।ধরুন, টি শার্ট বিক্রি করছেন। তাহলে নিজে সেই টি-শার্ট পরিধান করে থাকুন। আবার কোন প্রোডাক্ট যদি শেয়ার করতে চান, তাহলে সেটি রিভিউ করুন। অথবা দেখান যে কিভাবে সেটা আপনি ব্যবহার করছেন নিজের প্রতিদিনের জীবনে।
এছাড়াও যারা সদ্য নতুন প্রোডাক্ট কিনেছে,এবং ব্যবহার করছে, তাদের থেকে রিভিউগুলো ভিউয়ারদের মাঝে দেখান।
ভিডিও ডেসক্রিপশনে নিজের স্টোর এর লিঙ্ক এড করতে কখনো বলবেন না। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে করে নিজের ই-কমার্স সাইটে নতুন নতুন অর্গানিক ভিজিটর আনতে পারেন। অডিয়েন্সরা জানবে যে কোথা থেকে প্রোডাক্ট গুলো কিনতে হবে। ইউটিউব থেকে আয় করবেন যেভাবে জানুন।
Suggestion: কেউ পণ্য কিনে নিলে ধন্যবাদ বলতে বলবেন না। নিজের ভদ্রতার পরিচয় দিন।
ইউটিউবে স্পন্সর কনটেন্ট তৈরি করে আয়ঃ
১। ইউটিউবেই স্পন্সরড করা যায়।
স্পনসর কনটেন্ট তৈরি করতে যে শুধু ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর প্রয়োজন লাগে, তা না। ইউটিউব এর যে কোন স্পন্সর কনটেন্ট বা ভিডিও তৈরি করা যায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে আয় করা যায়। এবং কোম্পানির যত ব্র্যান্ডিং হবে ইনকাম তত বেশি হবে।২। স্পন্সর করা সহজ ও ভালো ইনকাম হয়।
কোন কোন প্রোডাক্ট স্পন্সর করা খুবই সহজ। ভিডিওতে তার ব্যাপারে ছোটখাটো 1 মিনিট অথবা কয়েক সেকেন্ডের রিভিউ করে দিতে হয়। সেগুলি ডিসক্রিপশন লিংক এড করে দিতে হয়। এতে কোন ঝামেলা নেই। এটি সম্পূর্ন ফ্রি। এবং এখান থেকে ভালো পরিমাণে আর্নিং করা যায়।৩। ডিরেক্টলি পেমেন্টঃ
সেখান থেকে আপনাকে ডিরেক্টলি পে করা হবে। এবং এটি ইউটিউবে অন্যান্য উপায়ে থেকে অনেক সহজ এবং সিকিউর।Suggestion: স্পনসর ভিডিও তৈরি করা হয় কোন একটি পণ্যের বা কোম্পানির মার্কেটিং করানোর জন্য। আপনার ইউটিউব ভিডিও কনটেন্ট যদি তাদের সাথে সাদৃশ্য হয়, তবে তাদের স্পন্সর করতে পারবেন। তা না হলে সেটি দৃষ্টিকটু দেখাবে।
YouTuber Aaron Marino, a.k.a. Alpha M, সহ আরো অনেকে স্পন্সর কন্টেন্ট করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করে নিয়েছে।
আবার জনপ্রিয় ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ব্রাজিলের ডিজে অলোক ফ্রি ফায়ারের ক্যারেক্টার আনার মাধ্যমে ফ্রী ফায়ার গেমের স্পন্সর করেছে। এবং সে গেমে পার্টনারশিপে জয়েন দিয়েছে।
৪। একটি ব্র্যান্ড খুঁজুন যেখানে নিজে পার্টনারশিপ নিতে পারেন।
ভালো ইউটিউবার দেরকে যে কোন ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ দিতে চায়। তার জন্য সবার আগে প্রয়োজন কোয়ালিটি কনটেন্ট। আপনার ইউটিউব ভিডিও যদি কোয়ালিটি পূর্ণ হয়, এবং সেখান থেকে ভালো অর্গানিক ভিউ আসে, কোন ধরনের সমালোচনা না থাকে, তবে এটি কোন ব্র্যান্ডের পার্টনারশিপ নেয়ার জন্য উপযোগী।নিজের কনটেন্ট এবং নিজের সাবস্ক্রাইবারদের কে আগে থেকেই গড়ে তুলুন যাতে তারা আপনার প্রতি অনেক বেশি সহনশীল এবং সহানুভূতিশীল হয়।
বিভিন্ন মার্কেটিং প্রোগ্রাম ও অ্যাফিলিয়েট লিংক এর সাথে আগে থেকে সাইনআপ করে রাখুন। সাইন করে রাখুন, যাতে করে এফিলিয়েট প্রডাক্ট প্রমোশন করতে পারেন। ইউটিউবে এফিলিয়েট লিংক ও প্রডাক্ট প্রমোশন এর মাধ্যমে উপার্জন করা যায়।
৫। যেকোনো একটি ডিল সম্পন্ন করে নিন।
বিভিন্ন ইন্ফ্লুয়েন্সের মার্কেটিং প্রোগ্রামের জয়েন দেয়ার পর, তাদের সাথে ডিল সম্পন্ন করতে হবে। কারণ হচ্ছে আপনিতো কয়েকটি ব্র্যান্ড অথবা প্রোডাক্টের স্পন্সর করতে চান তাই।কোনো কন্টেন্ট স্পন্সর করার পরবর্তীতে কত টাকা নিবেন, সেটি নির্ভর করেঃ
- অডিয়েন্সের ধরন।
- আপনার সাথে তাদের সম্পর্ক।
- কোন ধরনের স্পন্সর কন্টেন্ট করবেন?
- কতজন সেই লিঙ্কে ক্লিক করবে।
- ভিডিওতে অডিয়েন্সের পরিমাণ।
৬। স্পন্সর এড করার আগে একটু সতর্ক থাকুন।
স্পনসর কন্টেন্টও কিন্তু এডভার্টাইজিং এর মতই। এবং সেটি ইউটিউবের গাইডলাইন সমর্থন করে কিনা আগে জানুন। এমনও হতে পারে কোন পর্নোগ্রাফিক স্পন্সর করে নিতে যাচ্ছেন, যেটি কিনা ইউটিউবের গাইডলাইনের সম্পূর্ণ বাইরে। এতে একাউন্ট রিস্কে চলে আসতে পারে।স্পনসর কনটেন্ট ও এডভারটাইজিং করার আগে সতর্ক থাকা খুব জরুরী। আগে দেখতে হবে, এই স্পনসর্ড অডিয়েন্সের জন্য যথোপযোগী কিনা? তা না হলে আপনার সমালোচনাও বেড়ে যেতে পারে।
ইউটিউবে নিজের ফ্যান তৈরি করুন যাতে করে তারা সরাসরি আপনাকে পে করতে পারে!
ইউটিউবে টাকা আয় করার যে সকল ব্যতিক্রমী উপায় আছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম। এর আগে সুপার চ্যাট হলো মনিটাইজেশন ইউটিউব এর একটি ফিচার তা বলেছি।
সুপার চ্যাটে কিভাবে ইনকাম করবেন?
আপনার ফ্যান আপনাকে টাকা ডোনেশন করবে। টাকা প্রদান করবে। এবং সেখান থেকে সরাসরি ইনকাম করতে পারবেন। যেকোনো একটি লাইভ স্ট্রিমিং ভিডিওতে বেশিরভাগ গেমাররা সরাসরি সুপার চ্যাটের মাধ্যমে ইনকাম করে।১। লাইভ চ্যাট পোস্ট করুন, যেখানে ইউজাররা সুপার চ্যাট করতে পারবে।
2017 সালের পূর্বে ইউটিউব এর যে সুপার চ্যাট অপশন টি আছে, সেটি নামকরণ ছিল ফ্যান ফান্ডিং ফিচার। এই ফিচারটি তখনই নেয়া যায়, যখন ইউটিউব এর পার্টনাররা সরাসরি লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থাকে। আপনার ফ্যানেরা নিজের দেয় কমেন্ট সর্বোচ্চ ভিসিবল করতে পারবে, যদি দ্বারা সুপার চ্যাটে অংশ নেয়। আর এর জন্য তাদেরকে কিছু না কিছু ডোনেট করতে হবে।২। ইউটিউবে সুপার চেট করে আয়।
2. ফ্যান অথবা ভিউয়ারদের কে বেশি উৎসাহিত করুন চ্যানেলের মেম্বার হতে।3. ভক্তদের উৎসাহিত করুন ইউটিউব এ প্রেমিয়াম মেম্বারশিপ নেয়ার জন্য।
যখন কেউ ইউটিউবে প্রেমিয়াম মেম্বারশিপ নিয়ে আপনার ভিডিও দেখবে, তখন সেই মেম্বারশিপ ফি থেকে আপনিও কিছু অংশ পাবেন। এবং এভাবে আপনি ভালো এবং অটোমেটিক্যালি উপার্জন করতে থাকবেন।