ব্লগিং কি?
ব্লগিং সম্বন্ধে কিছু না জানলে আজকের এই লেখাটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। পাশাপাশি নতুন নতুন আইডিয়া পাবেন। আজকের লেখালেখিতে আমি ব্লগিং কাকে বলে? ব্লগিং কি? কিভাবে ব্লগিং শুরু করে, ব্লগ কিভাবে তৈরি করবো তা সম্বন্ধে বলবো। পাশাপাশি ব্লগিং করে আয় করার উপায় সম্বন্ধেও জানবো।
ব্লগ কাকে বলে? | ব্লগের সংজ্ঞা।
একটি ব্লগ হলো ওয়ে-ব্লগের ছোট ভার্সন। Weblog থেকেই পরবর্তীতে Web এবং blog এই দুইটি শব্দ আসে। সেখান থেকে আমরা ব্লগ শব্দটি পাই।
ব্লগ হলো তথ্যবহুল জার্নাল অথবা ওয়েবসাইট। যেখানে একাধিক তথ্যবহুল আর্টিকেল অথবা কনটেন্ট আকারে সজ্জিত থাকে। এবং সম্প্রতি যে কনটেন্টই পাবলিশ করা হয় সেটি লেটেস্ট আইটেমে টপে থাকে। একটি ব্লগে ব্লগিং করে যেকোনো একক বিষয়ের উপর লেখালেখি করা যায়। যেকোনো একটি সাবজেক্ট নিয়ে সে সম্বন্ধে তথ্য লেখালেখি করে সাজানো যায়।বর্তমানে ইন্টারনেট দুনিয়ায় মোট ব্লগ সাইটের সংখ্যা হল প্রায় 570 মিলিয়ন।
ব্লগিং এর সংজ্ঞাঃ
ব্লগিং মূলত কারো দক্ষতা, একজনের কোনো একটি দক্ষতা, যেটি ব্যবহার করে অনলাইনে লোকজনকে সাহায্য করা যায়। যে দক্ষতা ব্যবহার করে কেউ একটি আর্টিকেল লিখে নিতে পারে, সেটি ইউজার ফ্রেন্ডলি করে। পাশাপাশি বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে সেখানে লিংকিং, শেয়ার করার উপযোগী হিসাবে গড়ে তোলে, সেটিই মূলত ব্লগিং।
যে কেউ ব্লগিং করতে পারে না। সে বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়। ব্লগিং করার দক্ষতা না থাকলে সে কোনভাবেই ভালো ব্লগার হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। ব্লগে ব্লগিং যারা করে, তারাই পরবর্তীতে নামকরা লেখক হিসাবে পরিচয় পায়।
আর্টিকেল কিঃ যেকোনো তথ্যবহুল লেখনী যেটি মানুষের প্রয়োজন মিটায়, যেখানে ব্যাক্তির রিসার্চ করা তথ্যের সংগ্রহ থাকে তাই আর্টিকেল।
ব্লগিং কেন করবেন?
ব্লগিং শুরু করার অনেক কারণ থাকতে পারে। এবং এটা যার যার নিজস্ব ব্যক্তিগত বিষয়। কেউ নিজের লেখা শেয়ার করার জন্য, কেউ অনলাইনে নামকরা লেখক হওয়ার জন্য ব্লগিং করে। আবার কেউ কেউ নির্ধারিত টপিকস, যেমনঃ টেকনোলজি, ফিনান্স, জব রিলেটেড, শিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি করে টাকা আয় করার জন্য ব্লগিং শুরু করে।
ব্যবসায়ের খাতিরে অনলাইনে আয় করার জন্য যেভাবে আপনি ব্লগিং করুন না কেন, দিন শেষে অবশ্যই সেখান থেকে ইনকাম করা যবে। আর ব্লগিং করে যদি গুগলের সার্চ রেজাল্টে প্রথম পেজে নিজের লেখাগুলোকে নিয়ে আসতে পারেন, তবে গুগল থেকে বিপুল সার্চ করা ট্রাফিক পাওয়া যায়।
যদি কোন বিজনেস অথবা ব্যবসা শুরু করেন, তাঁর খাতিরে একটি ব্লগিং সাইট খুলে ফেললে ব্যাবসায়িক বিভিন্ন প্রোডাক্ট লেখালেখির মাধ্যমেই প্রমোট করা যাবে। সেগুলোকে তুলে ধরে এভাবে ইনকাম করা যায়। ব্লগিং করার অনেক প্রয়োজনীয়তা আছে। সেগুলো থেকেই মূলতবিভিন্ন ইউজাররা ব্লগিং করতে আসে।
পড়ুনঃ
ব্লগিং করার প্রয়োজনীয়তা কি কি?
যে কোন একটি সাইট অথবা ই-কমার্স সাইট হোক না কেন। সেখানে ব্লগিং করার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা ব্লগিং না করলে সেটি নিয়মিত আপডেট থাকে না। এবং আপনার সে সাইটটি সার্চ করার যোগ্য থাকেনা। কেননা ব্লগিং করার মাধ্যমে যে কনটেন্টগুলো তৈরি হবে, সেগুলোই আপনার নিজের সাইটকে সার্চের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে আসবে।
এতে করে গুগলের ইউজাররা আপনার ওয়েবসাইটটি (ব্লগ সাইটকে মাঝে মাঝে ওয়েবসাইট বললে সমস্যা নেই) সম্বন্ধে জানতে পারবে। ইন্টারনেট দুনিয়ার নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট কম্পিটিশনে নিয়ে আসার জন্য ব্লগিং বেশ দরকারী।
কাজেই এমন অনেক কারণে ব্লগিং করা হয়। একটি নির্দিষ্ট অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য ব্লগিং করা দরকার। পরবর্তীতে ট্রাফিক বশ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট উন্নতির নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ব্লগ পোষ্ট যত উন্নত এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে, পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ হবে, ততো বেশি সম্ভাবনা থাকে সেগুলো বেশি বেশি অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানো। তার মাধ্যমে বুঝতে পারলেন, একটি ব্লগসাইটের ব্লগিং করা বেশ কার্যকরী উপায়। বিশেষত টাকা আয় করার জন্য। তবে এর জন্য জরুরী ভিজিটর। এমনকি একটি ব্লগিং সাইট এর মাধ্যমে নিজের অথরিটি, ব্র্যান্ড তৈরি করা যায়।
যেমনঃ ইন্টারনেট দুনিয়ায় টেকটিউনস নামক প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টি একটি ব্লগ সাইট হিসেবে বেড়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। আর তাদের নিজের এডভারটাইস সার্ভিস আছে। এবং নিজস্ব এড শো করার মাধ্যমে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করেছে।
পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম ২০২১
ব্লগিং এর সাথে নিশের সম্পর্ক কি?
অনলাইন ব্লগিং এর জন্য নিশের প্রয়োজন আছে। ব্লগিং কি সেটাই তো বলা হলো না।
ব্লগিং কি? ব্লগিং মানে হলো কোনো তথ্যবহুল আর্টিকেল বা কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিন ও ইউজারদের জন্য বোধ্যভাবে লেখা। অর্থাৎ এমনভাবে কোনো কিছু লেখালেখি করতে হবে, যাতে মানুষের প্রয়োজন মিটে আবার, সার্চ ইঞ্জিনও যাতে আর্টিকেল কোয়ালিটি অনুধাবন করতে পারে।
নিশ কি?
নিশ হলো কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা সাবজেক্ট। যেটি নিয়ে আপনি ব্লগিং কিংবা অনলাইনে লেখালেখি করবেন। ধরুন, আপনি চাইলে সকল বিষয়বস্তু নিয়ে লেখালেখি করতে পারবেন না। কারণ এটি অনেক সময় উপযোগী। এবং বিশাল জ্ঞান আহরণ করতে হয়। একজন মানুষ সব বিষয়ে পারোগ্য হয় না। হলেও খুব হাতে গোনা কয়েকজন।
ব্লগিং করার বিভিন্ন বিষয়-বস্তু আছে। যেমনঃ শিক্ষা, চাকরি, লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য, বিনোদন, অর্থনীতি। এর মধ্যে যে কোন একটি বিষয় নিয়ে ব্লগিং বা আর্টিকেল লেখালেখি করা যায়। সেগুলো নিয়ে যদি কোনো একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেন, তবে বলবো সেটা নির্ধারিত নিশের উপর গড়ে উঠেছে।
ধরুন আপনি শিক্ষা, পড়াশোনার বিষয় বস্তু নিয়ে একটি ব্লগ সাইট খুলবেন। এখানে নিশ হলো শিক্ষা। এর বাইরে কোন টপিক আপনি এখানে নিতে পারবেন না। এবং এটা নিয়ে লেখালেখি করলে, সবাই এতোটুকু নিশ্চিত হতে পারবে যে এই সাইটটি শিক্ষাবিষয়ক। এখানে শিক্ষা বিষয়ক আর্টিকেল প্রতিনিয়ত পাবলিশ করা হয়।
একটি নির্দিষ্ট অডিয়েন্স অর্থাৎ ভিজিটর আপনার সাইটে প্রতি আকৃষ্ট হবে। এবং নিয়মিত ভিজিট করবে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরাই আপনার ব্লগ সাইটে নিয়মিত ভিজিটর হবে। বাংলাদেশে কিন্তু বিপুল এমাউন্টে ছাত্র-ছাত্রী আছে।
এভাবে ব্লগিং এর সাথে নিশের সম্পর্ক আছে। নির্দিষ্ট নিশ নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি ভালো। আবার চাইলে মাল্টিপল নিশ নিয়েও কাজ করা যায়। অর্থাৎ একাধিক নিশ। যেমনঃ আপনার ব্লগ সাইটে যেভাবে শিক্ষা বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশ পাবে। একইভাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেলও প্রকাশ পাবে। আবার অনলাইনে আয়ের, প্রযুক্তি নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ পাবে। তাহলে সেটা হবে একটি মাল্টিপল ব্লগ সাইট।
তবে এর জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। অনেক জ্ঞান আহরণ করে সেই বিষয়গুলোতে লেখালেখি করার প্রয়োজন হয়। তবে তাদের ক্যাটাগরি উল্লেখ রেখে, ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে আর্টিকেল সাবমিট করতে হয়। আর্টিকেল মানে একটি তথ্যবহুল লেখা, যেমনটা আমার এই পোস্ট।
পড়ুনঃ
- ইউটিউব থেকে আয় করার সম্পুর্ণ গাইডলাইন।
- ব্লগিং করে আয়। কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো?
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন ও শিখুন।
ব্লগিং করার নিশ গুলো কি কি?
নিশ সম্বন্ধে আলোচনা করেছি। সেটিকে আমরা ব্লগিং করার বিষয়ও বলতে পারি। নিশই মূলত ব্লগিং করার ক্যাটাগরি। এই একটি ক্যাটাগরি বা নিশ নিলে সেটা আরো ভালো হয়। ব্লগিং করার জনপ্রিয় ক্যাটাগরীর মধ্যে সবগুলোই উল্লেখ করা হলোঃ
- অটো ও যানবাহন।
- অনলাইন কমিউনিটি।
- অর্থনৈতিক।
- আইন ও সরকার।
- ইন্টারনেট ও টেলিকম।
- কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক্স।
- কেনাকাটা।
- খবর।
- খাদ্য ও পানীয়।
- খেলাধুলা।
- গৃহপালিত পশু ও প্রাণি।
- ভিডিও গেম।
- চাকরি ও শিক্ষা।
- বই ও সাহিত্য।
- বাড়ি ও বাগান।
- বিজ্ঞান।
- ব্যবসা ও শিল্প। ভ্রমণ।
- রিয়েল এস্টেট।
- লোকজন ও সমাজ। স্বাস্থ্য।
- সৌন্দর্য্য ও ফিটনেস
ক্যাটাগরি কথা যখন বলেই ফেলছি, সেহেতু মাইক্রো নিশ সম্বন্ধে জানান দিলে খুব বেশি খারাপ হবে না।
মাইক্রো নিশ কি?
নিশের চেয়েও আরো ক্ষুদ্র বিষয় বা নিশের এর মধ্যে যে সকল টপিক আসে, যে সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টপিক আছে। তার মধ্যে যেকোনো একটি হলো মাইক্রো নিশ। যেমন ধরুন, ফিন্যান্স একটি নিশ অথবা ক্যাটাগরি। এ নিশ নিয়ে যারা কাজ করে, তারা ইন্সুরেন্স, অনলাইনে আয়, টাকা সেভিংস, ব্যাংক ইউনিট, ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগ, রিয়েল এস্টেট, ফরেক্স ট্রেডিং এসব নিয়ে লেখালেখি করে।
এই নিশে আয় করা অনেক বেশি সম্ভব। এর মধ্যে একটি ছোট মাইক্রো নিশ হলো অনলাইনে আয়। ফিন্যান্স নিশের একটি ছোট্ট অংশে আসে অনলাইনে আয়। এ বিষয় নিয়ে যদি আপনি ব্লগিং করেন, যেখানে শুধু অনলাইনে আয় নিয়ে আলোচনা হবে। তবে সেটি একটি মাইক্রো নিশ। ফিন্যান্স নিশের একটি ক্ষুদ্র অংশ।
পড়ুনঃ
একটি ব্লগ সাইটের গঠনঃ
শুরুর দিকের ব্লগের স্ট্রাকচার বা গঠনের মতো বর্তমান ব্লগ সাইটের স্ট্রাকচার নেই। কারণ প্রযুক্তির বিকাশ, অনলাইন আবির্ভাবের কারণে এর স্ট্রাকচার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন একটি সাইটে অনেক বেশি আইটেম ভ্যারাইটি থাকে। আর পাশাপাশি থাকে Widget সুবিধা। বেশিরভাগ ব্লগ সাইট বেশ কিছু ফিচার এবং গঠন শৈলী নিয়ে গঠিত। সাধারন ফিচার যেটি বেশিরভাগ ব্লগ সাইট অনুসরণ করে সেটা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
প্রথমে একটি হেডার (Header) থাকে। যেখানে মেনু (Menu) অর্থাৎ নেভিগেশন বার (Nevigation Bar) গুলো উল্লেখ করা থাকে। সেখান থেকে যে কোনো ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে, বা কোন একটি নিশের মধ্যে যে সকল টপিকস আসে, সেগুলো সিলেক্ট করে সে টপিক রিলেটেড আর্টিকেল শো করানো যায়।
এর পরে থাকে ব্লগপোষ্ট। অর্থাৎ ব্লগের মেইন বডি (Main Body)। সেখানে লেটেস্ট আর্টিকেলগুলো থাকে। আর্টিকেলের মেইন বডির পাশেই থাকে সাইডবার (Sidebar)। সাইডবার নামটা শুনে বুঝতে পারলেন যে Widget গুলো বা আইটেমগুলো একপাশে বা সাইডে থাকে। সেখানে ব্লগ কতৃপক্ষের সোসিয়াল প্রোফাইল ( Social Profile) আইডেন্টিফাই করা থাকে। ব্লগ অথোরকে ফলো করার অপশন দেয়া থাকে। এছাড়াও পপুলার বা জনপ্রিয় কন্টেন্ট এর একটি Widget থাকে।
পরবর্তীতে একেবারে নিচে ফুটার ( Footer) অপশন। সেখানে বিভিন্ন পেজের লিঙ্ক দেয়া থাকে। প্রয়োজনীয় পেজ গুলোর লিংক। যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা ব্লগিং সাইট সম্বন্ধে জানা যায়। এটা কি নিয়ে তৈরি হয়েছে? এতে নিয়মকানুন, নিয়ম-নীতি কি? সাইটটি কি এলাও করে আর কি অ্যালাও করেনা এ সম্বন্ধে জানা যায়। সেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পেজগুলো থাকে। তার মধ্যে থাকেঃ ডিসক্লেইমার, প্রাইভেসি পলিসি, টার্মস এন্ড কন্ডিশন, About Us, Contact Us।
ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্যঃ
ব্লগ ও ওয়েবসাইটে মধ্যে পার্থক্য নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে যায়। তারা আশঙ্কায় পড়ে যায় যে আসলে ব্লগ সম্বন্ধে কি বুঝায়? একইভাবে ওয়েবসাইট বলতে কি বুঝায়? এদের গঠনশৈলী এর মধ্যে কি পার্থক্য থাকে? এদের কাজ কর্মের মধ্য কি কোনো পার্থক্য আছে?
এদের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে আসা আসলে অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কারণ বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট আছে। যারা ব্লগিং করার ফিচার, নিজের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসছে। ধরুন, ওয়ালটন কোম্পানির নিজেদের ওয়েবসাইট আছে। সেখানে পণ্যগুলো রিভিউ দেয়। মানে সেখানেও ব্লগিং এর মত করে। প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট পণ্য সম্বন্ধে আর্টিকেল সাবমিট করে। আবার একইভাবে বিভিন্ন পণ্যের শো, প্রাইস দেখায়। এটি যেকোনো ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য যে, কোম্পানির পণ্যগুলোকে দেখানো।
পড়ূনঃ
- অনলাইনে অর্থ উপার্জনের কতগুলো বিশ্বস্ত উপায়।
- ডাটা এন্ট্রি জব বাংলাদেশ।
- ঘরে বসে চাকরি করুন এই ১৫টি সাইটে।
ওয়েবসাইট থেকে ব্লগের কি পার্থক্য?
একটি ব্লগ সাইট প্রতিনিয়ত আপডেট হয়। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত পোষ্ট পাবলিশ হয়, সাবমিট হয়। এমনকি প্রতি মিনিটে, প্রতি ঘন্টায় পোস্ট আসতেই থাকে। এবং ইউজার প্রতিনিয়ত ভালো ভালো আর্টিকেল পায়। সেগুলো পড়ে উপকৃত হয়।
ধরুন, খাদ্য বিষয়ে ফুড ব্লগ তৈরি করা হলো। সেখানে ছোট থেকে শুরু করে বড় রেস্টুরেন্টের ভালো ভালো খাবার রিভিউ, সেগুলোর ধরন নিয়ে আলোচনা হয়। আবার কখনও কখনও খাবারের রেসিপি নিয়েও আলোচনা করা হয়। এবং প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকে। নতুন নতুন রেসিপি আসে। খাবারের রিভিউ আসে। এটি হচ্ছে প্রতিনিয়ত আপডেট থাকা।
অথবা কোন কোম্পানি যদি একটি ব্লগ সাইট খুলে ব্লগিং করে। তবে তারা নিজেদের ইন্ডাস্ট্রি খবর গুলো প্রতিনিয়ত সাবমিট করে। আপডেট খবর পেলে সেটি সাবমিট দিয়ে দেয়। যাতে ইউজাররা বা তাদের গ্রাহকরা কাস্টমার পড়ে, আপডেট থাকে ও বুঝতে পারে।
একটি ব্লগ সাইট নিজের ভিউয়ারদের বা যারা এই ব্লগ টি পড়ে, তাদের বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে চিন্তা করে। অর্থাৎ পাঠকরা কি চাচ্ছে, তারা সেই বিষয়ে খেয়াল রাখে।
একটি আর্টিকেল পড়ে ভিজিটররা নিচে কমেন্ট করতে পারে। সেটা ব্লগসাইটে উন্মুক্ত। এবং সে কমেন্টের যথোপযোগী রিপ্লে দেয়া হয়।
একটি ব্লগ পোস্ট অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলি। এসইও ফ্রেন্ডলি ও অপটিমাইজ করা থাকে। সেখানে পাবলিশ ডেট, অথর, ক্যাটাগরি, ট্যাগ ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকে। এবং সার্চ ইঞ্জিনের জন্য প্রয়োজনীয় কিওয়ার্ড ব্যবহার করে অপটিমাইজ করা থাকে।একটি ব্লগ কোনকিছু প্রতিনিয়ত অফার করে। সেটি দিন, সপ্তাহ অথবা মাসিক ভিত্তিতে হতে পারে।
অপরদিকে যদি ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করি। ওয়েবসাইট মূলত একটি কোম্পানি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোন মন্ত্রনালয়, কোন ব্র্যান্ড, ব্যবসা তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে তৈরি করা হয়। তাদের বিভিন্ন ইনফর্মেশন ও নোটিশ দেয়া থাকে। সেগুলো নিজের কর্মচারীদের মধ্যে বরাদ্দ থাকে।
অর্থাৎ কোন একটি শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বরাদ্দ থাকতে পারে। কোন একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কর্মচারী, অফিসার এবং সেখান কাজ করা সকলের মাঝে বরাদ্দ থাকতে পারে। কিন্তু একটি ব্লগ সাইটের সকল আর্টিকেল ও ইনফর্মেশন পুরো একটি জনগোষ্ঠীর উপর বরাদ্দ থাকে। যে কেউ চাইলে সেটি পড়তে পারে।
আবার একটু ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ইনফর্মেশন আপডেট হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপডেট থাকে না।
পড়ুনঃ
ব্লগিং এর জনপ্রিয়তার কারণ কি?
ব্লগিং জনপ্রিয়তা পাওয়ার একমাত্র কারণ হল এর মাধ্যমে অনলাইনে উপার্জন করা সম্ভব। যত দরকার তত উপার্জন করা যায়। এ থেকে উপার্জন করার নিয়ম গুলো সম্বন্ধে আলোচনা করেছি। এবং ব্লগিং করে আয় বিষয়ে নিচে আলোচনা করা আছে।
আবার ব্লগিং করার মাধ্যমে অনেকেই নামকরা লেখক হতে চায়। বড় বড় ফোরাম ওয়েবসাইটে লেখালেখি করতে চায়। অনলাইনে আমরা গুগলে সার্চ করে অনেক কিছু জানতে চাই। যেমনঃ ধরুন, “জন্ম নিবন্ধন কপি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করব কিভাবে? সেটা সংশোধন করব কিভাবে?” এরকম প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অনলাইনে সার্চ করলে অনেক আর্টিকেল আসে।
সেই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো লিখছে কারা? অবশ্যই ব্লগাররা। তারা অনলাইনে লেখালেখি করছে। নিজেরা জানছে এবং আপনাদের জানাচ্ছে। এভাবেই ব্লগিং ও ব্লগাররা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিদেশে ব্লগিং সম্মানি ও জনপ্রিয় পেশা।বর্তমান স্টেজে ব্লগ একদম মূলস্রোতের ধারা। মানে নিউজ ওয়েবসাইট অথবা পত্র-পত্রিকার মতই ব্লগ সাইটগুলোতেও প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া সম্ভব। উপকৃত হওয়া যায়
আপনি কি জানেন যে ব্লগিং করার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা সম্ভব?
একবার যদি আপনার ব্লগ যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পায়। অথবা ভিসিটরদের আকর্ষণ পায়। আপনার ওয়েবসাইটের ফ্যান ফলোয়ার বেড়ে যায়। তবে সেখান থেকে নিয়মিত ভিজিটর আসলে আয় করা যায়।
ব্লগ মনিটাইজ করে, অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করে যথেষ্ট আয় করা যায়। নিজের প্রোডাক্ট, সার্ভিস প্রমোট করে উপার্জন করা যায়। কখনো কখনো স্পনসর্ড পোস্ট করে আয় করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুনঃ
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনকাম করার উপায়।
- ছাত্র অবস্থায় আয় করুন অনলাইনে।
- রিভিউ লিখে আয় করুন।
- গেম খেলে টাকা আয় করুন বিকাশে।
ব্লগার কাকে বলে?
আমরা পুর্বে ব্লগিং কি তা সম্বন্ধে জেনেছি। এখন জানবো ব্লগার কারা। বর্তমান সময়ে ব্লগাররা অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়েছে হয়ে উঠেছে ব্লগিং করার মাধ্যমে। ইন্টারনেট দুনিয়ায় নামকরা লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করছে। ব্লগিং এ জয়েন করার মাধ্যমে নিজেদের উন্নতি করার মাধ্যমে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আরও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
তাদের নিয়মিত শুভাকাঙ্ক্ষীর অভাব নেই। তারা যেভাবে অন্যের চাহিদা মেটাচ্ছে, তাদের লোকজন সাপোর্ট করছে। ব্লগার তারাই, যারা অনলাইনে লেখালেখি করে। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কি সার্চ হয়, তা চেক করে। সে সম্বন্ধে ভালো কিছু লিখে ভিজিটরদের বা আগ্রহীদের উপকার করে।
ব্লগার কারা? ব্লগাররা এককভাবে কোন একটি টপিক বা ক্যাটাগরিতে লিখে। লোকজনের প্রয়োজন মিটিয়ে লেখালেখি করে। তারা আর্ট, হোম ডিজাইন, ফাইন্যান্সিয়াল আর্টিকেল ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি করে। তারা আসলে ইন্টারনেট দুনিয়ায় বাস করে। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় নিজের প্রতিভার বিকাশ দেখিয়ে দেয়।
ব্লগার এর সংজ্ঞা | Definition
কেউ একজন যিনি নিজের ব্লগ সাইটে আর্টিকেল লেখালেখি করে, প্রতিনিয়ত নিজের ব্লগ সাইট কন্ট্রোল করে, সে নিজের অভিমত, চিন্তাভাবনা, লোকজনের প্রয়োজন অনলাইনে লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারে। নিজের লেখার কোয়ালিটি উন্নত করে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসে। যাতে করে তার লেখালেখির ভিজিটর নিয়ে আসতে পারে। সে নিজের জ্ঞান এর একটি অংশ লেখালেখির মধ্যে বিতরণ করে দেয়। শুধুমাত্র একটি টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর জন্য।
পড়ুনঃ
কত বছর পর্যন্ত লম্বা হয় বাংলাদেশে?
লোকজন ব্লগিংয়ের প্রতি এত আকৃষ্ট হচ্ছে কেন?
আসলে আপনি কি নিজের একটি ব্লগ সাইট চাচ্ছেন? সেখানে লেখালেখি করতে চান? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়। তবে একবার ভাবুন কেন আপনি এতে আগ্রহী?
প্রথমত বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে অনলাইনে আয় করার জন্য আকৃষ্ট হয়। ব্লগিং করে আয় করার জন্য। ক্যারিয়ার করার জন্য আকৃষ্ট হয়। আবার কিছু সংখ্যক লোক নামকরা লেখকের পাশাপাশি নিজের অনলাইনে ফ্যান, ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য ব্লগিং করতে চায়।
প্রত্যক মানুষের নিজের স্বতন্ত্র গল্প আছে। লোকজনের কাছে বলার আছে। সেটা যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়, তবে এক বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে নিজের লেখা পৌঁছে দেয়া সম্ভব।
ব্লগিংয়ের জনপ্রিয়তার হওয়ার কারণঃ
ব্লগিং যে কাউকে সমর্থন করে যেকোনো লেখা ইন্টারনেট দুনিয়া পৌঁছে দেওয়ার জন্য। সে তার অনুভূতি, ভাব ভঙ্গি, নিজের গল্প, কথোপকথন, যোগাযোগ প্রভৃতি মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারে। কয়েকটি ক্যাটাগরিতে সেগুলোর জ্ঞান বিতরণ করে, লোকজনের চাহিদা মেটাতে পারে।
এতে করে সকলে উপকৃত হয়। ওই ব্লগারের চাহিদা বাড়ে। তার খ্যাতি বাড়ে। এবং এ জন্যই মূলত ব্লগিংয়ের জনপ্রিয়। ব্লগিং থেকে বিভিন্ন উপায়ে অনলাইনে উপার্জন করা যায়। সে উপায় গুলো অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।
একজন ব্লগারকে এতটুকু সব সময় মনে রাখা উচিত যে, কোন একটা নির্দিষ্ট টপিকস এবং প্যাশন নিয়ে লেখা কি করে লিখে যেতে হবে। যাতে একটি অর্ডিন্যান্স এর কাছে তা পৌঁছানো সম্ভব হয়।
ব্লগাররা কি আসলে উপার্জন করতে পারে?
ব্লগিং ইন্ডাস্ট্রির একটি জরিপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে প্রায় 90 ভাগ ব্লগাররা বলেছে যে, তারা নিজেরাও উপার্জন করতে পেরেছে। তাদের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট মনিটাইজ এর মাধ্যমে উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থাত্ খুব কম সংখ্যক জনগোষ্ঠী এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরড এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারে
মোটকথা গুগলের এ SERP অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে জায়গা করে নিতে পারলে সেখানে মনিটাইজেন শুরু করে। অর্থাৎ আপনার ওয়েব সাইটে এড বসিয়ে, ব্যানার এড আর্টিকেল এর মধ্যে বসে থেকে উপার্জন করা যায়।
ব্লগারদের টাকা আয় করতে নিজের ওয়েবসাইট গ্রো এবং সময়ের প্রয়োজন পড়ে।কোন কোন ব্লগার নিজের ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে দেয়। নিচে ব্লগিং করে উপার্জন করার বা ব্লগিং করে আয় করার উপায় গুলো আলোচনা করা হলোঃ
- ব্লগের স্পেস অথবা ফাঁকা জায়গার মধ্যে অ্যাড অর্থাৎ বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। সেটার জন্য বিভিন্ন অ্যাড মার্কেটপ্লেস আছে। যেমনঃ গুগল এডসেন্স, ইনফো লিংক, মেডিয়ানেট ইত্যাদি।
- একজন অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। সেটি প্রাইভেটলি অথবা কোন এড নেটওয়ার্ক থেকে সহযোগিতার নিয়ে।
- নিজের কোন ডিজিটাল প্রোডাক্ট, যেমন ই-বুক, টিউটোরিয়াল বিক্রি করার মাধ্যমে। একজন ব্লগার যখন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তখন তার লেখাগুলোর অনেক বেশি কদর বেড়ে যায়। তখন সেই লেখাগুলি ই-বুক হিসেবে লিখে নিতে পারেন। অথবা সংরক্ষণ করে নিতে পারেন। পরবর্তীতে তাদের মাঝে বিতরন করে সেল করতে পারেন।
- নিজের ওয়েবসাইটের পেইড আর্টিকেল দেখার জন্য পেইড মেম্বারশিপ বিক্রি করে উপার্জন করা যায়।
- কারো ব্যবসা সহযোগিতা করার জন্য স্পন্সর পোস্ট, কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে পারেন। এতেও প্রচুর উপার্জন হয়।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো? ব্লগ তৈরির নিয়ম।
যে কারো পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত ব্লগ খোলার জন্য হোস্টেড অথবা নন হোস্টেড সাইটে গিয়ে ব্লগ খুলতে পারেন। হোস্টেড সাইটেড এর মধ্যে আছে ব্লগার, গুগোল। হোস্ট ওখান থেকে প্রদান করা হয়। হোস্টিং এর মাধ্যমে মূলত আপনার ওয়েবসাইট ইন্টারনেট লাইভ থাকবে। কনটেন্টগুলো লাইভ শো করবে। এবং ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট স্পিড থাকবে। আমরা পূর্বে ব্লগিং কি তা জেনেছি।
আরও পড়ূনঃ
সাইট গুলো থেকে ব্লগ ব্লগ সাইট তৈরি করা হলে, যেমনঃ ব্লগার থেকে গুগোল ব্লগার থেকে যদি ব্লগ সাইট তৈরি করেন। তবে হোস্টিং এর প্রয়োজন পড়ে না। অন্যথায় ওয়ার্ডপ্রেস এর মত ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্লগ খুললে সেখানে হোস্টিং এর প্রয়োজন পড়ে। ফ্রীতে আর্টিকেল, কন্টেন্ট লাইভ শো করাবে না।
তবে ব্লগারের প্রয়োজনীয়তা ওয়ার্ডপ্রেসের প্রয়োজনীয়তা থেকে কম। কারণ ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক টুল, ফিচার ও সুযোগ সুবিধা আছে। যেগুলো ব্লগারে পাওয়া যায় না। কাজেই যদি কোনো পার্সোনাল ব্লগ খুলতে চান, তবে ওয়ার্ডপ্রেসে গিয়ে ডোমেইন কিনতে হবে। যাতে করে একটি সুন্দর নামে, ভালো টপ লেভেল ডোমেইনে আপনাকে ইন্টারনেটে ইউআরএল সার্চ করলে পেয়ে যায়। একইভাবে ভালো হোস্টিং নিয়ে শুরু করতে হবে।
আমি জানি যে আপনার ব্লগ সম্বন্ধে, ব্লগ সাইট খোলার সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। থাকলেও থাকতে পারে সেটা আপনার উপর নির্ভরশীল। আপনার কাছে দুটি অপশন আছে। একটি ব্লগ সাইট খোলার জন্য প্রথমে ফ্রী হোস্টেড একাউন্টে ব্লগ সাইট খুলতে পারবেন। দ্বিতীয়তঃ নিজের ওয়েবসাইট হোস্টিং ক্রয় করে ব্লগ খুলতে পারবেন।
ফ্রী ব্লগ খোলার প্ল্যাটফর্মঃ
ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্মে ব্লগ সাইট তৈরি করা অনেক সহজ এবং ফ্রি। তবে সেখানে ভিডিও ইমেজ আপলোড করা তে কিছু লিমিট আছে। পাশাপাশি ঐ ওয়েব প্লাটফর্ম আপনার সাইটটিকে চাইলে ডিলিট করে দিতে পারে যেকোনো কারণে।
বর্তমানে ব্লগার প্ল্যাটফর্ম নামক অনেক জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম আছে। ব্লগিং প্লাটফর্ম যেখানে কোনো হোস্টিং ক্রয় না করেই ব্লগিং করতে পারেন। সেখানে ব্লগ সাইট খোলা অনেক সহজ। এবং সেটাকে ব্যবহার করা রীতিমতো সাধারন। সেখানে সহজ ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। কোন নির্দিষ্ট ডিজাইন করে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এইচটিএমএল কোডিং জানা দরকার।
এমন অনেক প্লাটফর্ম আছে, যেখানে ব্লগ সাইট খোলা একদম সহজ এবং ফ্রি। তবে তারা কিছু লিমিটিং দিয়ে রাখে। এবং সেই লিমিটের বাইরে গিয়ে কাজ করা যায় না। আর যদি নিজের ইচ্ছেমতো স্বাধীনভাবে নিজের ওয়েবসাইটে পরিচালিত করতে চান, তবে non-হোস্টেড প্ল্যাটফর্ম আছে। যেমনঃ ওয়ার্ডপ্রেস। সেখানে নিজের ইচ্ছামত হোস্টিং সুবিধা, ডোমেইন কিনে ইচ্ছেমতো কোন নিয়ম নীতি বঙ্গন হলে কোন সমস্যা হবে না। ইত্যাদি।
অপরদিকে ফ্রী ফোস্টেড প্লাটফর্ম গুলোতে লিমিটিং থাকার পাশাপাশি, কাস্টমাইজেশন সমস্যা হয়। নিজের ইচ্ছামত ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যায় না। অথবা ইচ্ছামত প্লাগিন ব্যবহার করার সুবিধা নেই। ব্লগার এর মতো প্লাটফর্ম হোস্টিং পাওয়ার পাশাপাশি নিজের ইচ্ছামত ডোমেইন ব্যবহার করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস এর মতন প্ল্যাটফর্মেও কাস্টম ডোমেইন এড করা যায়।
বেশিরভাগ ফ্রী ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নিজের আর্টিকেলে ব্যানার এডভার্টাইজ ব্যবহার করতে দেয় না। এছাড়াও এফিলিয়েট লিংক প্রমোট করে না। তবে গুগল ব্লগারে তার ব্যাতিক্রম আছে।
ব্লগিং প্ল্যাটফর্মঃ
Blogger –ব্লগার হলো গুগলের ফ্রি হোস্টিং সার্ভিস। যেখানে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করা যায়। ব্যবহার করা অনেক সহজ। তবে এখানে ডিজাইন কাস্টমাইজ করার অপশনে অনেক লিমিটেশন আছে। আবার এখানে নতুন নতুন ফিচার এড করা সম্ভব না। সেটা এড করার জন্য নিজের এইচটিএমএল কোডিং জ্ঞান থাকা দরকার।
ওয়ার্ডপ্রেস এর মধ্যে সাইটে যেখানে হোস্টিং কিনে, নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তৈরি করতে হয়। সেখানে ইচ্ছামত থিম ব্যবহার করা যায়। কাস্টমাইজ করা যায়। প্লাগিন ব্যবহার করে করা যায়। ইত্যাদি।
প্রাইভেট ব্যাংক প্রস্তুতি ও জব প্রইপারেশন।
পরিশেষে,
আজকের ব্লগে ব্লগিং কি, ব্লগার কারা, ব্লগিং করে আয় সম্বন্ধে জেনেছি। ব্লগিং করে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করুন এই আশাই ব্যক্ত করি। ভালো থাকুন। আল্লাহ-হাফেজ।
আপনি যদি অনলাইন ইনকাম, ব্লগ ইনকাম, ইউটিউব মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ভিডিও এসিও, পোস্ট এসিও, সাইট এসিও, জানতে আমাদের সাইটে গুরে আসতে পারেন নিচে লিংক দেয়া আছেঃ-
ReplyDeleteঅনলাইন ইনকাম জানতে নিজের লিংকে জান
https://www.pratiborton.gq/
ব্লগ ইনকাম জানতে নিজের লিংকে জান
https://www.hilplife.xyz/
ইউটিউব মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং জানতে লিংকে জান,
https://www.prothomalo24.gq/
ভিডিও এডিটিং জানতে নিচের লিংকে জান
https://www.expertbd.gq