৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

এখানে ষষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বাংলা ও কর্ম বইয়ের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর প্রকাশ করা হলো। যাদের প্রয়োজন দেখে নিন। এখানকার অ্যাসাইনমেন্ট কেউ ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। শুধু মাত্র শিক্ষার্থীরা দেখবে ও ব্যবহার করবে। এর কারণ এগুলো আমার পরিশ্রমে তৈরি করা।

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 2021 (বাংলা)

ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট মূলত ”মিনু” গদ্য থেকে এসেছে। যেখানে মিনু একজন বাকপ্রতিবন্ধী। এবং নিজের আত্মীয়র বাড়িতে বড় হয়েছে। এবং তাকে নিয়ে সম্পূর্ণ গদ্য লেখা। গদ্যটি আমাদের বাকপ্রতিবন্ধী অথবা শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি মমত্ববোধ প্রকাশ করতে বলে। গদ্যে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সম্প্রীতি ফুটে উঠেছে। অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ছিল সেটি একবার উল্লেখ করে নেয়া যাক।


৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নঃ

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা


৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 2021 (বাংলা)

শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষের আমাদের অবহেলার পাত্র নয়। তারাও আমাদের সমাজের অংশ। অথচ আমরা তাদের অবহেলা করে এড়িয়ে চলি। তাদের সাথে অমন অমানবিক আচরণ না করে, এবং বরং তাদেরকে আপন করে কাছে টেনে নিলে তারাও আমাদের মত স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে।


বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষেরাও আমাদের সমাজের অংশ। তাদের শারীরিক বা মানসিক অক্ষম থাকতেই পারে। তাই বলে তাদেরকে অবহেলা করবো অথবা তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা আমাদের উচিত নয়। আমাদের পাঠ্যবই “মিনু” গল্পের লেখক সেটাই বুঝাতে চেয়েছেন। তাদের প্রতি মমত্ববোধ দেখানোর অভিপ্রায় তিনি সম্পূর্ণ গদ্যে ব্যক্ত করেছেন।


প্রকৃতি মানে আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও তার উপাদানসমূহ। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির একটি হৃদয় সম্পর্ক রয়েছে। যে প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করে, প্রকৃতি তার প্রতি সম্পর্কের হাত বাড়িয়ে দেয়। এভাবেই মিনু গল্পের সাথে প্রকৃতির ছিল সাদৃশ্যপূর্ণ সম্পর্ক। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের প্রতি যেসকল আচরণ করা উচিত তা নিচে উল্লেখ করা হলো।


আমরা একই ক্লাসে পড়াশোনা করি। এবং আমাদের মাঝেও অনেক সহপাঠী রয়েছে। তাদের মধ্যে হয়তো কেউ হয়তো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হতে পারে। তাই বলে তাকে এড়িয়ে চলা উচিত নয়। তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলাই একমাত্র কর্তব্য। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠীদের প্রতি আমার কর্তব্য ও দায়িত্ব কি? কি করা উচিত ও অনুচিত তা নিচে উল্লেখ করা হলো।


কর্তব্য পরায়নতাঃ 

একে ক্লাসে পড়াশোনা করা সকল সহপাঠীদের প্রতি আমাদের কর্তব্য আছে। সে কর্তব্যগুলো পালন করা, তাদের সহযোগিতা করা, দুঃসময়ে এগিয়ে আসা সকলেরই কর্তব্য। একইভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠিদের হতে হবে কর্তব্য পরায়ন। 


তাদের মঙ্গলকামনায় সব সময় নিজের দায়িত্ব পালন করে যাব। সহযোগিতা করব। তাদের প্রতি যেসব কর্তব্য আছে সেগুলো বিবেচনা করব। এবং সেগুলো পালন করে যাব। যেমন আমাদের আশেপাশে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে অটিস্টিক, অটিজম চাহিদাসম্পন্ন অনেকেই আছে। অথবা অন্যান্য শারীরিক অক্ষমতা থাকতে পারে। তাদের প্রতি নিজের দায়িত্ব কর্তব্য হিসেবে থাকতে পারেঃ ১। তাদেরকে সর্বতোভাবে সাহায্য করা। ২। কোন অন্ধ সহপাঠি থাকলে তাকে চলাচলে সহায়তা করা। 



সহমর্মিতা ও সম্প্রীতি

সমাজে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে কেউ শারীরিকভাবে অক্ষম, আবার কেউ সক্ষম। শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষেরা কখনো অবহেলার পাত্র নয়। তারাও মানুষ। এবং তাদের প্রতি আমরা আন্তরিক ও সহানুভূতি দেখাই, তাহলে তারাও সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। একইভাবে সহপাঠীদের প্রতি আমাদের সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যাতে করে তারাও এ জীবনটা উপভোগ করতে পারে। অবহেলা করলে তারা তাদের মানসিক প্রতিবন্ধকতা থেকে যাবে।


অবহেলা না করাঃ

আমাদের সমাজে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা নানাভাবে অবহেলা শিকার হয়। যা মোটেই উচিত না। অবহেলা না করে যদি তাদের প্রতি সম্প্রীতির বন্ধন বাড়িয়ে দেই, তাদের সাথে মানবিক আচরণ করলে, তাদের অনুভূতি বুঝার চেষ্টা করলে, এবং উৎসাহ দিলে তারা সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে। তাই এ সকল দায়িত্ব সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এবং তাদেরকে আমরা চেষ্টা করব মানবিক আচরণ দিয়ে বোঝার। এবং উৎসাহ দেয়ার। যাতে তারাও স্বাভাবিক মানুষের মত বাঁচতে পারে।


সদয় দৃষ্টি রাখাঃ 

পৃথিবীর সব মানুষই সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে জন্মায় না। কিছু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ জন্মায়। অনেকে নানান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শরীরের অঙ্গ হারিয়ে পঙ্গু হয়ে যায়। আমাদের সহপাঠীদের মধ্যে চাহিদা সম্পন্ন মানুষের প্রতি আমরা সব সময় সদয় দৃষ্টি রাখবো। তারা কোনো ভুল ত্রুটি করে দিলে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখব। এবং তাদের প্রতি কখনো নারাজ হবো না।


উৎসাহ প্রদানঃ 

কেউ শারীরিক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী বলে সে যে অস্বাভাবিক কেউ তা কিন্তু না। সেও মানুষ। শারীরিক দিক থেকে হয়তো ত্রুটি থাকতে পারে।

তাই বলে তাদেরকে আমরা কখনো অবহেলা করতে পারিনা। জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লক্ষ্য স্থির করতে হয়। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। আর এর জন্য প্রয়োজন দৃঢ় মনোবল। দৃঢ় মনোবল মানুষের উৎসাহ প্রদানের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়। কাজেই চাহিদাসম্পন্ন মানুষদেরকে সর্বদা উৎসাহ প্রদান করার চেষ্টা করব।


সহযোগিতাপূর্ণ আচরণঃ 

প্রতিবন্ধীরা সমাজে প্রায়শ অবহেলিত। প্রতিবন্ধীদের অভিভাবকরাও নিজেদের দুর্ভাগ্য বলে মনে করেন। প্রতিবন্ধী সন্তানকে স্বাভাবিক সন্তানের মতো গ্রহণ করতে পারেন না। সামাজিক কারণে তাদের এমন মানসিকতা লক্ষ করা যায়।

তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ এরা অন্যের মত সমান অধিকার ভোগ করার দাবি রাখে। তাই একজন সহপাঠির প্রতি আমার কর্তব্য আসে, সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মতো সহনশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করা। যাতে করে তারা নিজেদের অবহেলার পাত্র মনে না করে।


মমত্ববোধের উন্মেষঃ 

মানুষের কাছ থেকে প্রতিবন্ধী মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজ  সহানুভূতি ও মমত্ববোধ। মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও মমত্ববোধ তাদের কষ্ট দূর করে দিতে পারে। কাজেই সহপাঠী হিসেবে মমত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতে পারবো।



৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 2021 (কর্ম ও জীবনমূখী শিক্ষা)

এসাইনমেন্ট প্রশ্নঃ 
৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন কর্ম


এসাইনমেন্ট উত্তরঃ আত্মমর্যাদা একটি মহৎ গুণ। আত্মমর্যাদা হলো নিজ সম্বন্ধে এবং চারপাশ সম্বন্ধে সচেতন থাকা, এবং সে অনুযায়ী কাজ করা। আবার আত্মমর্যাদা হলো নিজের ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে সচেতন থাকা এবং তার পরিচয় বহন করা যায়। সমাজে এমন সব কাজ না করা যার মধ্য দিয়ে লজ্জাবোধক, মানহানি অথবা হয়। সমাজে রুচিশীল আচরন করা। এবং রুচিবোধ তৈরি করায় আত্মমর্যাদার প্রধান উদ্দেশ্য।

আমাদের সমাজের অনেক মানুষই আত্মমর্যাদাবান। এবং নিজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সমাজের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে যায়। বাংলাদেশে অনেক গুণী জ্ঞানী লোক ছিলেন, যারা ছিলেন আত্মমর্যাদাবান। যেমনঃ বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু।



জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে অস্থায়ী পদে অধ্যাপনায় নিয়োগ দেন। এবং সেখানে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। তার একটি বিষয় তার মনে ঘা লাগে যে, ইংরেজি অধ্যাপকদের যে বেতন দেয়া হতো ভারতীয়দের দেয়া হতো তার দুই-তৃতীয়াংশ। এখানে মানবাধিকার লংঘন হয়।

এবং অস্থায়ী অধ্যাপক হওয়ায় জগদীশচন্দ্র বসু কে তার অর্ধেকটা দেয়া হতো। তিনি আর প্রতিবাদ করলে কেউ তার কথা কর্ণপাত করলো না। আর এর জন্য তিনি একাধারে তিন বছর বেতন না নিয়ে অধ্যাপনা করে গেলেন। পরবর্তীতে ইংরেজ সরকার তার সকল পাওনা পরিশোধ করে, সমান হারে বেতন দেয়া শুরু করে। এভাবে তিনি তার আত্মমর্যাদার পরিচয় দিয়েছেন।


কাজেই আত্মমর্যাদা বলতে নিজের পরিচয়, ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে সচেতন থেকে সমাজে রুচিশীল কর্ম প্রতিষ্ঠা করা। যেমনটা, জগদীশচন্দ্র বসু করেছেন। নিজের যোগ্যতার প্রতি এবং ভারতীয়দের যোগ্যতার প্রতি তারা আস্থা ছিল। এবং সে হারে তিনি প্রতিবাদ করে গেছেন। এতে করে ইংরেজরাও মাথা নিচু করতে বাধ্য হয়েছে।


আত্মমর্যাদাবান হিসেবে আমারও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমনঃ

১। রুচিহীনতার প্রকাশ পায় এমন কোন কাজ সমাজে করব না।

২। নিজের ব্যক্তিত্বের মানহানি কিংবা অপমান হয় এরকম কর্মে নিজেকে স্থাপন করব না। আত্মমর্যাদাহীন কর্মে নিজেকে নিয়োগ করা কখনোই শ্রেয় নয়।

৩। নিজের যোগ্যতায় সম্বন্ধে আমার আস্থা আছে। এবং সেটি যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়ার পূর্ণ বিশ্বাস আছে।

৪। আমি উচ্চস্বরে কথা বলি না। অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন থাকি না। উচ্চস্বরে কথা বললে, অপরিচ্ছন্ন থাকলে এতে করে আমার আত্মমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। সমাজে আমার রুচিহীন পরিচয় প্রকাশ পায়। আর এসব কাজে আমি নিজেকে নিয়োজিত রাখিনা। এবং নিজেকে একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বলিয়ান।


৫। আমার আছে লজ্জাশীলতা। আর এ কারণেই মানুষকে সম্মান দিতে শিখি। মানুষের কথায় কর্ণপাত করতে শিখি। কেননা সকলেরই কথা বলার সমান অধিকার আছে। কোন কাজ আগে থেকে না ভেবেই সম্পন্ন করি না। এতে করে লোক সমাগমে লজ্জায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে।


৬। আমি নিজের কাজ নিজেই সম্পন্ন করি। কেননা আমার নিজের প্রতি আস্থা আছে। এবং সে অনুযায়ী কাজ করি। কখনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে যাই না। বিপদজনক কাজ করতে যাই না। আগে শিখে, অভিভাবক ও মা-বাবার পরামর্শ নিয়ে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করি। যেমনঃ আমি নিজের বাগানে চারা রোপণ করি। সেগুলো যত্ন নেই। একইভাবে বাসার ছাদে কবুতর লালন পালন করি। এটি আমার প্রধান শখ। এমনকি পরিবারের সকল কাজে সহায়তা করি। এতে করে আমার আত্মমর্যাদা বেড়ে যায়।

৭। আমি মহৎ ও জ্ঞানী মানুষের থেকে যেসকল আত্মমর্যাদার বৈশিষ্ট্যগুলো নিতে চাই এবং সেগুলো কে ধারণ করতে চাই সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ


যেসকল বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে দেখতে চাইঃ

স্বভাবতই আমি ছোটো। এবং আমি সকল প্রকারের আত্মমর্যাদাবান গুণ এখন ধারণ করতে সক্ষম নই। এজন্য প্রয়োজন মেহনত, শিক্ষা অর্জন, জ্ঞান অর্জন এবং সাধনা। আমি ভবিষ্যতে সকল মানুষকে সহযোগিতা করতে চাই। গরিবের পাশে দাঁড়াতে চাই। নিরক্ষর মানুষকে জ্ঞান দান করার কার্যক্রম চালাতে চাই। এতে আমার নিজের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এবং মানুষের কাছে আমি মানুষ হিসেবে পরিচয় অর্জন করব।৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর উল্লেখ করা হলো।


সমাজের দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। তাদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করতে চাই। যদিও আমি এখনও ছোট। এব্যাপারে ছোটখাটো সাহায্য করতে পারলেও, বড় পরিসরে সাহায্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর এ কারণেই আমি ভবিষ্যতে দরিদ্র মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহমর্মিতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করে যেতে চাই।


কর্ম ক্ষেত্রে সকলেরই আত্মমর্যাদার পরিচয় দেওয়া উচিত। যখন আমি কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত হবো, তখন অবশ্যই সরকারের প্রতি অনুগত থেকে, দেশের মানুষের প্রতি অনুগত থাকে কাজ করে যাবো। সততার পরিচয় দিব। যে আত্মমর্যাদার গুণটি আমার প্রয়োজন সেটি হলো সততা। যেটি এখন থেকেই লালন করে যাচ্ছি।



আত্মমর্যাদাবান নাগরিকের মতো নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকতে চাইব। আমি নিজেকে উত্তম কাজে বলিয়ান করতে চাই। দেশের জন্য কাজ করতে চাই। যদিও এখন থেকেই আমি দেশ প্রেম গুণটি নিজের মধ্যে লালন করছি। এবং একজন দেশ প্রেমিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছি।


বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর মতো এক অসাধারণ আত্মমর্যাদাবান লোক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নিজেদের স্বজাতির দায়িত্ব-কর্তব্য, তাদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকতে চাই।


কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশদের থেকে নাইট উপাধি নিয়ে পরবর্তীতে তিনি তা ত্যাগ করেন। ব্রিটিশরা ভারতীয়দের উপর এমনকি ভারতীয় উপমহাদেশের সকল জাতির প্রতি শোষণ নির্যাতন অত্যাচার করতো। বিশেষ করে শোষণের পরিমাণ বেশি ছিল। মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতো বিশেষ করে ভারতীয়রা নিজের যোগ্যতার মূল্য পেতনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাই। এবং প্রতিবাদ এর মধ্য দিয়ে আত্মমর্যাদার প্রকাশ ঘটাতে চাই।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন অসাধারণ আত্মমর্যাদাবান ব্যক্তি। তার মধ্যে আত্মমর্যাদার ব্যক্তিত্ব চরম ভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি যৌবনের বেশিরভাগ সময় জেলে কাটিয়েছেন। পাকিস্তানির শাসকগোষ্ঠী তাকে চরম ঝুঁকিতে রেখেছিল। তাকে হত্যার জন্য আগরতলা মামলা রটনা করেছিল। তারপরও তিনি বিচলিত হন নি। নিজের আত্ম মর্যাদার পরিচয় দিয়েছেন। পাকিস্তানের কাছে মাথা নিচু করেননি। বরং বাংগালির স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। এতে তার মৃত্যুর ঝুঁকি থাকুক না কেন, তিনি পরোয়া করেন নি। এভাবে সৎকর্মে বলিয়ান হতে চাই। অন্যায়ের প্রতিনাদ করতে চাই। এবং নিজের জীবনকে আত্মমর্যাদাবান হিসেবে তৈরি করতে চাই।


কেমন লাগলো তোমাদের? আমার নিজের তৈরি করা অ্যাসাইনমেন্ট। প্রকৃত পক্ষে, যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তাম, তার কিছু স্মৃতি এখনো ভেসে উঠে। ভালো করে পড়াশোনা করবে আশা করি। নিজ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর করতে পারলে, ইন্টারনেট থেকে সাহায্য নেয়ার দরকার নেই। কেমন! 


বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন প্রকাশ পেয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট থেকে সম্পূর্ণ পিডিএফ নেয়া সম্ভব। এবং সেখানে প্রশ্নসমূহ দেখে নেয়া যায়। এজন্য ইন্টারনেট সার্চ করতে হবে না।  কেননা এতে করে ভুল ওয়েবসাইটে ডুকে পরবর্তীতে অনেক হতাশ হতে হবে। এবং সেখান থেকে খুঁজে বের করা অনেক কঠিন। কিন্তু বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সহজ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এবং সরাসরি সেটা মোবাইলে নিয়ে নেয়া যাবে। এজন্য আপনি যদি সপ্তম, অষ্টম, নবম শ্রেণির প্রশ্নের পিডিএফ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নিতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ

৫০০০ টাকার মধ্যে বেস্ট 4g মোবাইল

৬০০০ টাকার মধ্যে বেস্ট 4g মোবাইল

Rakib

রাকিব "এক্সপার্ট বাংলাদেশ" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক। সে অবসর সময়ে ব্লগিং ও লেখালেখি করতে ভালোবাসে। তাছাড়াও, অনলাইনে নতুন কিছু শেখা তার প্রধান শখ।

Post a Comment

কমেন্ট করার মিনতি করছি। আমরা আপনার কমেন্টকে যথেস্ট মূল্য প্রদান করি। এটি আমাদের সার্ভিসের অংশ।

তবে কোনো ওয়েবসাইট লিংক প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল।

Previous Post Next Post