ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত টিউটোরিয়াল
আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, কেউ কেউ আবার ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর দিকে নজর দেয়। আবার কেউ সে মার্কেটিং সফল করার জন্য ইনস্টাগ্রামের দিকে নজর দেয়। ব্যাপারটা কিছুটা এরকম যে, কেউ চায় ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার। আবার কেউ চায় ইনস্টাগ্রামে নিজের পণ্যের মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়ার বড় ভক্ত?
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার উঠতি পপুলারিটি কে কাজে না লাগিয়ে এখনো ঘরে বসে আছেন? তাহলে এটা আপনার বোকামি। সময়ের সদ্ব্যবহার করতে চাইলে এখন একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খুলে নিন। ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর দিকে নজর দিন।
খুলুন নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট। আর মাসিক আয় করুন হাজার হাজার টাকা। আজকের ব্লগে খুবই বিস্তারিত আলোচনা হবে। একবার সম্পুর্ণ ব্লগটি স্ক্রল করে দেখে নিন।
কারা ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করতে পারেন ?
মূল বিষয়টিকে ক্লিয়ার করে বললাম না। অথচ চলে আসলাম। কারা এ কাজটি করতে পারেন ? তাহলে চলুন বিষয়টি প্রথমে ক্লিয়ার করে নেই। ইনস্টাগ্রামে যখন কেউ একাউন্ট খুলে, তার যত বেশি ফলোয়ার সে ফলোয়ারকে কাজে লাগিয়ে বড় বড় ব্র্যান্ডের এডভার্টাইজিং করা যায়।
যখন কোনো এডভার্টাইজমেন্ট শেয়ার করা হয় ফলোয়ারদের মাঝে, তখন সেটাকে তারা অবশ্যই দেখবে। ইনস্টাগ্রামে কেউ কাউকে ফলো করা খুবই বড় ব্যাপার। বড় বড় সেলিব্রেটিরা ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। কিভাবে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করবেন? আর কিভাবে একাউন্টটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন? তার সম্বন্ধে সম্পূর্ণ টিউটোরিয়াল দেখুন। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কি?
ইনস্টাগ্রাম মূলত ইমেজ , ফটো ,ভিডিও আপলোড ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া সাইট । সেখানে সুন্দর সুন্দর প্রফেশনাল ফটো আপলোড করতে পারেন। নিজের ব্যক্তিত্ব বিল্ড আপ করতে পারেন। ইমেজ, ফটো, ভিডিও নেটিজেনদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। কাজে যদি ফটোগ্রাফিকেও ভালো হোন। অথবা ভালো ছবি তুলতে পারেন।
তাহলে আপনি ইনস্টাগ্রামে একাউন্ট খুলতে পারেন। সেখানে নজরকাড়া সব ছবি আপলোড করবেন। এবং ভিজিটরদের অথবা ফলোয়ারদের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করবেন। যদি এই কাজে দক্ষ হতে পারেন। তাহলে আপনি ইনস্টাগ্রামে মার্কেটিং করে আয় করার জন্য আপনি যোগ্য।
কিভাবে শুরু করবেনঃ
শুরু করার প্রথম ধাপেই সরাসরি ইনস্টাগ্রামে চলে যান । সেখানে গিয়ে নিজস্ব একটি প্রোফাইল পিকচার সেট করুন । যেটি আপনার সুন্দর ছবি আপলোডিং দক্ষতার একটি বড় পরিচয় হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি নিজের জন্য সুন্দর একটি বায়ো সেট করেন। অর্থাৎ আপনি নিজের সম্পর্কে কিছু একটা ডেসক্রিপশন দিন আর শেয়ার করেন নিজস্ব পিকচারগুলা।
ইনস্টাগ্রামে টাকা আয় করার প্রথম ধাপ হলো ফলোয়ার বাড়ানো। যত বেশি ফলোয়ার বাড়াবেন , আপনার আয় করার সম্ভাবনা তত বেশি হবে। এবং তখনই আপনি ইনস্টাগ্রামে মার্কেটিং অথবা পোস্ট করে টাকা আয়ের একটা সুযোগ থাকবে।
Tips -
১) বিষয় নির্ধারণ করে নিন।
ইনস্টাগ্রামে মার্কেটিং শুরুর পূর্বে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্ধারণ করে নিতে হয়। যে বিষয়ে আপনি পোস্ট এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন। অথবা নিজস্ব মার্কেটিং পরিকল্পনা গড়ে তুলবেন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একজন ফ্যাশনেবল(Fashionista) হয়ে থাকেন। অর্থাৎ ফ্যাশনের প্রতি যত্নশীল। তাহলে ফ্যাশনের নতুন নতুন আপডেট নিয়ে আসতে পারেন। যত ফ্যাশন ট্রেন্ড, স্টাইল আসে সেসব নিয়ে আপনি নিয়মিত নতুন নতুন টিপস এবং ট্রিক্স, ফটো অডিয়েন্স দের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। এবং সে নিয়ে ছবি আপলোড দিতে পারেন।
২)বায়ো সঠিকভাবে পূরণ করুন।
আপনার বায়ো হলো একমাত্র উপায়, যার মাধ্যমে ফলোয়ার্সরা আপনার সম্বন্ধে ভালো ধারণা নিবে। এবং তারা আপনার একাউন্টের প্রতি ইন্টারেস্টেড হবে। আপনার বায়ো যদি ইন্টারেস্টেড এবং প্রফেশনাল হয়। তাহলে আপনার সকল কাজকর্ম তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
আপনার নিজস্ব যেকোনো লগো তৈরী করে, এটেনশন ধরে রাখার জন্য সুন্দর স্লোগান অথবা ট্যাগ লাইন দিয়ে রাখতে পারেন। ভালো হ্যাশ ট্যাগের ব্যবহার জানা খুবই জরুরি। হ্যাশ ট্যাগের যথাযথ ব্যবহার করলে, অডিয়েন্সদের আপনাকে খুজে পেতে সুবিধে হবে।
৩) ফলোয়ার্স দের জন্য ভালো পোস্ট তৈরি করুন।
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট শেয়ারিং এর পূর্বে বা ইমেজ শেয়ারিং এর পূর্বে, আপনাকে কিছু বিষয়ে রিসার্চ করে নিতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কিভাবে ইউজারদের চাহিদাগুলো এনালাইজ করবেন ? যেমনঃ আপনি যে নির্দিষ্ট নিশ এর উপর ফটো আপলোড করেন। তার মাঝে কোন টপিক্সের ইমেজটির ভিও ভালো? সেটি দেখে নিবেন।
কি কি দক্ষতার প্রয়োজনঃ
১। ফটোগ্রাফিঃ
ফটোগ্রাফি করার দক্ষতা ভালো হতে হবে। এর মানে প্রফেশনালদের মত ছবি তোলার অভ্যাস করতে হবে। এবং ভালো ক্যামেরা ব্যবহার করে ফটোগ্রাফিক ট্যালেন্ট কে কাজে লাগিয়ে, ছবি আপলোড দেয়ার দক্ষতা থাকতে হবে।
২। সৃজনশীলতাঃ
যেকোনো সফলতার পেছনে আছে সৃজনশীলতা। আর থাকে নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তাধারা। যত নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করবেন। আপনার সফলতা লাভ করার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। আর এইভাবে ইনস্টাগ্রামে নতুন আইডিয়া বের করতে পারেন। নতুন দক্ষতার সাথে ছবি আপলোড করতে পারেন। অথবা ছবি এডিটিং অথবা ছবি তুলতে পারেন। তাহলে আপনি সকল ক্ষেত্রে পারফেক্ট হবেন।
৩। ইমেজ এডিটিংঃ
ইনস্টাগ্রামের সুন্দর ছবি এডিটিং এর প্রয়োজন পরে। যেকোনো একটি ছবি আপলোড দেয়ার আগে সেটিকে ভালোমতো এডিট করে নিতে হয়। একইভাবে প্রফেশনাল দের মতো। কাজে যদি এডিটিং দক্ষতা বা স্কিল থাকে। তাহলে আপনি ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করতেন পারেন।
যেকোনো ধরনের হায়েস্ট কোয়ালিটি ছবি এডিট করার দক্ষতা থাকতে হবে। পাশাপাশি এডিটিং টুলগুলো ব্যবহারের দক্ষতা থাকতে হবে। ভালো ওয়ালপেপার তৈরি করতে হবে। আপনাকে কিছু টুল ত সাজেস্ট করতেই পারি। এর মধ্যে আছে Canva,, BeFunky ইত্যাদি।
আরো কতগুলো বিষয়, যেগুলো আপনাকে মনিটাইজ করতে হবেঃ
১। কোন ইমেজ গুলো অডিয়েন্সদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে?
ইন্সট্রাগ্রামে মূলত ছবি বা ফটো আপলোড দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। কোনো ট্রেন্ডিং টপিকে ভালো ফটো আপলোড করলে । অথবা নিজের নিশ নিয়ে প্রফেশনাল-ফটোগ্রাফিং করলেই পাবেন হাজার ফলোয়ার। এখন কোন ফটো গুলো অডিয়েন্স পছন্দ করছে, তা সম্বন্ধে জানাও অনেক জরুরি।
২। ট্যাগ লাইন এর ব্যবহারঃ
আপলোড করা ফটোর সাথে বুঝে শুনে ট্যাগ লাগানো খুবই জরুরি। ভালো ট্যাগ আপনার পোস্ট করা ফটো কাঙ্ক্ষিত অডিয়েন্সের কাছে নিয়ে যাবে।
৩। আপনার ফটো গুলো তে কি ঠিকমতো প্রফেশনালের ছাপ আছে?
না থাকলে ভালো ক্যামেরা ব্যবহার করে নিতে পারেন। আপনার ট্যাগ কি নিশ এর সাথে রিলেটেড? প্রতিটি পোস্টে ইউজারদের রিয়েকশন, ইন্টারেস্ট কেমন?
উপরে উল্লেখ করা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজে নিন। আর নিজের জন্য একটি ছবি চয়েজ করে নিন । আশা রাখি, অসংখ্য ফলোয়ার্স পাবেন আপনার একাউন্টে।
৩। হাই-রেজুলেশনের ইমেজ ব্যবহার
সকম ইনস্টাগ্রাম সেলিব্রেটিদের একাউন্ট একটি ব্র্যান্ডের মতন। ঠিক একইভাবে, নিজের একাউন্টটিকেও একটি ব্র্যান্ড মনে করবেন। যখন কিছু ফটো শেয়ারিং করবেন ।তখন লো-রেজুলেশনের কোনো ইমেজ আপলোড করা ঠিক হবে না। সেখানে আপনার উচিত হাই-রেজুলেশনের হাই-কোয়ালিটি ইমেজ শেয়ার করা। লো-কোয়ালিটির কোনো ইমেজ আপলোড, আপনার ব্র্যান্ডিং প্রতিচ্ছবির ইতি টেনে দিতে পারে।
অপরদিকে হাই কোয়ালিটির ইমেজ আপনার ফলোয়ার্সদের মাঝে একটি দীর্ঘমেয়াদী ইম্প্রেশন ও ইন্টারেস্ট তৈরী করবে। ছবিটি উপলব্ধি করতেও কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। যেকোনো হাই রেজুলেশনের ভালো ছবি, কোনো ভিজিটরের দৃষ্টি আকর্ষনে সবচেয়ে ভালো।
৪। নিয়মিত পোস্ট শেয়ার করাঃ
ফলোয়ার্স দ্রুতগতিতে বাড়ানোই হলো আপনার মূল উদ্দেশ্য। আর এর জন্য আপনাকে রেগুলার পোস্ট শেয়ারিং এর উপর নজর দিতে হবে। প্রতিনিয়ত একটি নির্দিষ্ট টপিক সিলেক্ট করবেন।
আপনি যে বিষয়ে ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খুলেছেন, সে বিষয়টিও সিলেক্ট করে নিতে পারেন। তারপর রিলেটেড সুন্দর সুন্দর ট্যাগ খুজুন। এরপরে গিয়ে পোস্ট শেয়ার। অথবা ইমেজ আপলোড করে যেতে হবে। প্রতিদিন ইমেজ আপলোড রাখার অভ্যাশ থাকা অনেক জরুরি।
প্রতিদিনের ইমেজ আপলোডিং আপনার একাউন্ট সক্রিয় রাখবে। এর ফলে ফলোয়ার পাবার সম্ভাবনাও থাকবে বেশি।
৫)ফলোয়ার্স দের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরিঃ
আপনার প্রধান দায়িত্ব হবে ফলোয়ার্স দের প্রতি সচেতন হওয়া। তাদের সাথে একটা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা। তাদের সমস্যাগুলো জানতে হবে। তাদের চাহিদা পূরণ করতে হবে। এ নিয়ে আপনাকে প্রতিদিন নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার দিতে হবে। তাদেরকে আপনার প্রতি আরো আস্থাশীল করতে হবে। এতে তারা আপনার প্রতি আস্থা স্থাপন করে, মার্কেটিং্যে আপনাকে সহায়তা করবে।
ফলোয়ারদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করার উপায়ঃ
প্রথমত ভালো সম্পর্ক পরিস্থিতি বুঝে তৈরী করে নিতে হয়। কতগুলো উপায় হলোঃ
- আপনার ফলোয়ার্সদের অ্যাকাউন্টে আপলোড করা যেকোনো ছবিতে লাইক, কমেন্ট করতে পারেন। তাদের কমেন্টের ফ্রেন্ডলি রিপ্লাই দিবেন। তাদেরকে ফলো ব্যাক করে করতে পারেন। এর মানে এই যে আপনিও তাদের কে ফলো করে রাখতে পারেন।
- কোনো এক ডেইলি কনটেস্ট চালু করার সিদ্ধান্ত নিন। এটি সবচেয়ে ভালো উপায় হবে। আপনার ফলোয়ার্সদের ভালো সম্পর্ক রক্ষার জন্য নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতা পারেন। যেমনঃ একটি দামী স্বনামধন্য ব্র্যান্ড তার ইউজার দের মাঝে ভালো কন্টেস্ট রাখে। এখানে অডিয়েন্সদের বলা হয় ভালো ইমেজ আপলোড করার মাধ্যমে কন্টেস্টে জয়েন্সেবার জন্য। এটি কন্টেস্টের নাম দিতে পারেন আজকের সেরা ছবি অথবা Pic of the day।
- কন্টেস্টের বেস্ট ফটো সিলেক্ট করে নিয়ে আপনার আকাউন্টে বিজেতার নাম লিখে পাব্লিস করতে পারেন। এর জন্য ছোটো এমাউন্টের পুরষ্কার রাখলেই হবে। এরকম কনটেস্ট ফলোয়ার্সদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যথেস্ট। এমনকি তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রক্ষার অন্যতম উপায়।
৬) প্রয়োজনীয় হ্যাশটেগের সঠিক ব্যবহার
ইনস্টাগ্রামের একটি অন্যতম প্রধান ফিচার হলো হ্যাশটেগ। আপনি যদি সদ্ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে অসংখ্য অর্গানিক ভিজিটর পাবেন। যেকোনো হ্যাশটেগ দিয়ে কিছু খোজা নতুন ট্রেন্ড।
ভালো হ্যাশ টেগ Find Out করার জন্য রিসার্চ করা জরুরি। হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের সময় নিজের ফটো ও আপলোড করা পোস্টের সাথে মিল বন্ধন আছে কিনা তা দেখে ঠিক করে নিতে হবে। ভালো হ্যাশট্যাগের দেখার জন্য tagsforlikes.com এই ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন। ভালো হ্যাশটেগ ব্যবহার করার সর্বোচ্চ প্রয়াশ করবেন।
অবশ্যই দেখবেন
- ক্যাপচা লিখে আয় করুন অনলাইনে
- গুগলে ইমেজ দিয়ে সার্চ করার উপায়
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে আয় [বিস্তারিত টিউটোরিয়াল]
- কপিরাইট লিখে আয় করুন মাসিক ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা
ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম করার কতগুলো জনপ্রিয় উপায়ঃ
১)স্পনসরড পোস্ট পাব্লিস
স্পনসর্ড থেকে লোভনীয় আর কোথা থেকেও পাবেন। কারো প্রোডাক্ট স্পন্সর করে, সাথে নিজস্ব স্পন্সরড কুপন ফলোয়ারদের দিলেই হবে। স্পনসর্ড পোস্টগুলো নিজস্ব প্রোডাক্ট এবং ব্র্যান্ডের উপর ভিত্তি করে দিতে পারেন।
স্পন্সরড পোষ্টের জন্য আপনাকে দেয়া হবে বিপুল অংকের টাকা। সে পেমেন্ট নির্ভর করবে সে স্পনসর্ড পোস্টটি কতটুকু সফল হলো। এছাড়া ফলোয়ার্সরা কতটুকু রেস্পন্স করলো তার উপরও নির্ভর করে। স্পনসর্ড করা কোম্পয়ানীটি মূলত নিজেদের ব্র্যান্ডিং প্রচার করতে চায়।
আয়ঃ $100/Per Post [Followers Required: 100k]
কি ধরনের প্রোডাক্ট স্পন্সর করবেন
আপনার নিজস্ব টপিক রিলেটেড এবং অডিয়েন্স ফ্রেন্ডলি যেকোনো পণ্য স্পন্সর করতে পারেন । এবং আপনার ব্র্যান্ডিং্যের সাথে যায় এরকম কিছু স্পন্সর করবেন। নাহলে যদি এমন হয় যে, আপনি ফ্যাশন নিচ(Niche) নিয়ে ইনস্টাগ্রাম চালাচ্ছেন। আর স্পন্সর করে বসলেন ট্র্যাভেল এজেন্সীর। এতে খুব খারাপ রকমের সমস্যা হতে পারে।
আমি কতগুলো কোম্পানির নাম নিচে দিয়ে রেখেছি। ঐসব কোম্পানীর প্রোডাক্ট স্পন্সর করতে পারেন।
1. Tapinfluence
2. Ifluenz
3. Takumi
২) একাউন্টের ফটোগুলো বিক্রি করে আয়ঃ
আপনার হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন ফটোগ্রাফগুলো কিনে নেয়ার জন্য বসে আছে অনেক ওয়েবসাইট। এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। আপলোড করা ছবিগুলোর মধ্যে যেগুলো ভালো রেস্পন্স পেয়েছে, সেগুলো পেইড ফটো ওয়েবসাইটগুলোর কাছে শেয়ার করুন। আর ভালো রকমের প্রফিট আয় করে নিন। ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
ইন্টারনেটের অনেক ব্লগার অথবা ব্যবসায়ি আছে যারা একটি নতুন এবং সৃজনশীল ফটো খুঁজছে। এবং ইনস্টাগ্রাম সে বিষয়ে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে। যার মাধ্যমে আপনার নিজস্ব ফটোগ্রাফি সেল করে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন।
আপনি এটি কিভাবে করবেন?
প্রথমত, আপনার ইমেজে নিজের একটি ওয়াটারমার্ক অ্যাড থাকা লাগবে। আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ডিং্যের পরিচয় এটি। যে সকল ইমেজ অথবা ফটো সেল করবেন, তাদের ক্যাপশনগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে রাখবেন। পরবর্তীতে গিয়ে সেই ফটোগুলো পেইড সেল করার জন্য কন্টাক্ট করতে পারেন।
নিচে ইনস্টাগ্রামের ফটো সেল করার কতগুলো ট্রাস্টেড সাইটের নাম ও লিংক দেয়া হলোঃ
Foap.com
আরও পড়ুনঃ
৩। এফিলিয়েট মার্কেটিং করুন।
ইনস্টাগ্রামে টাকা আয় করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো Affiliate Marketing। ইন্টারনেটে এমন অনেক এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস আছে, যেখানে নিজস্ব পণ্যের এফিলিয়েট শেয়ার চলে।
মনে করুন, আপনি ফ্যাশন ও ফ্যাশনাবেল আইটেম নিয়ে আপনার ইনস্টাগ্রামে রেগুলার ছবি পোস্ট করছেন। রেগুলার ফ্যাশন আপডেট আপনার নিশ, মানে আপনার টপিক।
অনেকগুলা ফ্যাশনেবল আইটেমের ফটো আপলোডিং। এবং এর পাশাপাশি এফিলিয়েট পণ্যের লিংক শেয়ার করে দিতে পারেন। সে পোস্টে অনেক ফলোয়ার্স যদি আপনার লিংক ব্যবহার করে যদি সে প্রোডাক্টটি সেল করে নেয়। তাহলে সেখান থেকে আপনার ইনকাম হবে। ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিটি বেশ লাভজনক।
অন্যান্য ট্রেডিশ্যনাল মাধ্যম যেমনঃ ব্লগিং, এবং ইউটিউবিং থেকে ইনস্টাগ্রাম যথেস্ট পপুলার। এখানে মার্কেটিং করা টপ লেভেলের বিষয়।
এফিলিয়েট প্রোডাক্টের জন্য,
- আপনাকে কতগুলো এটার্কটিভ হাই-রেজুলশনের ফটো পোস্ট করতে হবে।
- পাশাপাশি আপনাকে নিজস্ব ইউআরএল এফিলিয়েট লিংক দিতে হবে। লিংকগুলোতে ক্লিক করলে আপনার ইনকাম স্টারট হবে।
- ভালো ক্যাপশন ব্যবহার করবেন।
- নিচে কতকগুলো লিঙ্ক দেয়া হলো এমন সব কোম্পানির, যারা ইনস্টাগ্রামে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের নিজেদের সার্ভিস দিয়ে থাকে।
Liketoknow.it
Stylinity.com
এখানে প্রতি পণ্য বিক্রিতে মোট লাভের ৫০% পর্যন্ত শেয়ার পাবেন। পেমেন্ট মেথড আছে পেপাল ও ক্রেডিট কার্ড। আমার ব্লগে পেপাল একাউন্ট তৈরী নিয়ে অলরেডি ব্লগ লিখে রেখেছি।
৪) ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট বিক্রি করে আয়ঃ
অলরেডি ইনস্টাগ্রামে ভালো ফলোয়ার, কিংবা ভালো রেস্পন্স কালেক্ট করে নিতে পারলেই হলো। আপনি সেই ইনস্টাগ্রাম একাউন্টটি ব্যাপক দামে চাইলেই সেল করে দিতে পারেন। সেখানে একাউটন্টটি সেল করার মধ্য দিয়ে ভালো প্রফিট আয় করে নিতে পারেন।
যদি আপনি কোনো সংগত কারণে ইনস্টাগ্রাম থেকে লিভ নিতে চান। তাহলে এটি সেল করে দিয়ে যথেস্ট টাকা ইনকাম করে নিতে পারেন। “কত টাকায় নিজের একাউন্ট সেল করবেন” সেটা নির্ভর করবে আপনার ফলোয়ার এর উপর। আবার আপনার আপলোড করা ফটোর উপরও এটি নির্ভর করবে।
নিচের ওয়েবসাইট গুলোতে দেখে আসতে পারেন। যদি একাউন্ট সেল করতে চান
Fameswap.com
Viralaccounts.com
কতগুলো অতিরিক্ত টিপ্সঃ
উপরের সকল টিপস ভালো ব্র্যান্ডিং মানের। আপনাদেরকে চাহিদা মতো ভালো ধারণা আইডিয়া দিতে পেরেছি এটাই আসল কথা। তবে যতক্ষণ না ইনস্টায় 10,000 ফলোয়ার্স আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ধরনের স্পন্সর বা প্রমোশনাল পোস্ট আপলোড দিবেন না। এটা আপনার ব্র্যান্ডিং্যের পরিচয়।
না হলে এটা আপনার পারসোনালিটি বিল্ড আপ হবে না। যাই হোক, ফলোয়ার ১০০ হোক যতই হোক, তাদের বিশ্বাস অর্জন করার চেস্টা করেন। যখন দেখবেন আপনার ফলোয়াররাই আপনাকে চাইতে শুরু করবে, তখনই আপনার প্রফেশন শুরু হবে।
অবশ্যই দেখবেনঃ