পেপাল একাউন্ট খুলুন বাংলাদেশ থেকে: আমার লিখা একটি ব্লগ শেষে আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশ থেকেও আমি নিজে পেপাল বিজনেস একাউন্ট খুলেছি। এর জন্য আমার কোনো বিদেশী নম্বরের প্রয়োজন হয়নি। আবার কোনো ধরনের আইপি এড্রেস, যেটা ব্যবহারে আমি পেপালকে বুঝাবো যে, বাংলাদেশ থেকে পেপাল বিজনেস একাউন্ট তৈরী করছি না, এরকম কোনো কিছুরই প্রয়োজন পড়ে নি। তাহলে কিভাবে তৈরী করেছি, এটা নিশ্চয়ই আপনার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই না? তবে আজকে জানবো বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম । তবে সেটা হবে পেপাল বিজনেস একাউন্ট। আগে থেকে বলে রাখছি।
চলুন, পেপাল বিজনেস একাউন্ট তৈরী করার সম্পুর্ণ টিউটোরিয়াল দেখার আগে কিছু দরকারী বিষয় সম্বন্ধে জেনে নিই। বোরিং লাগলে একটু এগিয়ে পড়ুন।
পেপাল কি?পেপাল হলো কারেন্সী আদান প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক মানের পেমেন্ট মেথড। এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে বিশ্বের বেশিরভাগ ওয়েবসাইটে কারেন্সী আদান-প্রদান করা খুবই সহজ হয়েছে। উন্নত দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই নিজের একটি পেপাল একাউন্ট থাকে।
অতঃপর আমি কোনো পারসোনাল একাউন্ট খুলতে যাই নি। বরঞ্চ একটি পেপাল বিজনেস একাউন্ট খুলতে যাচ্ছি। আপনারা তো জানেনই, পেপাল বিজনেস একাউন্টের সুযোগ সুবিধা সবচেয়ে বেশি। না জানলে গুগলে সার্চ করে দেখুন।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক। এর জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো একে একে অনুসরণ করবেন। আশাকরি আপনারও একটি পেপাল একাউন্ট হবে।
সেখানে গিয়ে আপনি চাইলে “Create a PayPal Account ” সম্পূর্ণ ওয়ার্ড লিখে সার্চ দিতে পারেন। অথবা চাইলে এখানে ক্লিক করে সরাসরি পেপাল একাউন্ট সাইন আপ করার ঠিকানায় চলে যেতে পারেন।
অপশনে ক্লিক করার পর কিছুক্ষণ লোডিং নেবে। 1 থেকে 2 সেকেন্ডের মত সময় নিবে। তারপর নতুন ইন্টারফেসটি নিচের ছবিটির মত দেখাবে।
এখানে আপনার একটি ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে হবে। তার মানে হল যে কোন জিমেইল এড্রেস আপনি খালি জায়গায় বসাতে পারবেন। আপনি যেই জিমেইল এড্রেস দিয়ে একাউন্ট খুলতে চান সেটি বসাবেন।
জিমেইল একাউন্ট বসিয়ে নিলে, নিচের Sign Up অপশন টি ক্লিক করে দিবেন। নতুন একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। সেখানে বলবে, আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য একটি পাসওয়ার্ড দিতে। পাসওয়ার্ডটি কিভাবে দিবেন সেটি বলে দিচ্ছি। যে কোন পাসওয়ার্ড দিলে হবেনা। ভালো এবং স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
পাসওয়ার্ডটি সুন্দর মত বসিয়ে, ক্লিক করে দিলেই আপনার জন্য আরেকটি ফরম খুলে আসবে।
First Name এর জায়গায় আপনার নামের প্রথম অংশ। এবং Second Name এর জায়গায় আপনার নামের দ্বিতীয়াংশ বসাবেন।
এরপরে বিজনেস ডিটেইলস বলার একটা অপশন আছে। সেখানে আপনাকে বিজনেস নেম বসাতে হবে। মানে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর নাম কি সেটিই বসাবেন।
যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তাহলে সেই সাইটের যে টাইটেল নামটা আছে সেটা দিয়ে দিতে পারেন। আর যদি না খুলে থাকেন তাহলে নিজের মনের মতো করে একটি বিজনেস নেম দিয়ে দেন। সাথে LLC, LTD এরকম কিছু লাগিয়ে দিলেই হবে। বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্বন্ধে জানুন।
পরবর্তীতে Business Phone No. অপশনটিতে আপনার ফোন নম্বরটি দেয়ার জন্যই বলছে। যদি বাংলাদেশী ফোন নম্বরও হয়, তা হলে সমস্যা নেই। আপনি শুধু নিজের মত করে ফোন নম্বর দিয়ে দিবেন। এবং নিজের ফোন নম্বরটিই দিবেন। আর হ্যা নম্বরের গঠনটা কিছুতে এরকম হতে হবে। +88017********
এর পরের ধাপে আপনাকে বিজনেস এড্রেস দিতে হবে। সেখানে অ্যাড্রেস নম্বর 1 অ্যাড্রেস নম্বর 2 এরকম অপশন আছে। যেটা বেশিরভাগ মানুষ দেখে ঘাবড়ে যায়। এবং না বুঝে এটি দেখে আর সাইনআপ করতে যায় না। অথবা এই অপশন গুলো ঠিকমতো পূরণ করতে পারে না। ভুলভাল পূরণ করে রাখে। কিন্তু এসব দেখে ঘাবড়ানোর কোন দরকার নেই।
কারন এই অপশন গুলো পূরণ করা খুবই সহজ। আপনাকে অ্যাড্রেস লাইন 1 অ্যাড্রেস লাইন টু এগুলো কি? এ সম্বন্ধে ধারণা নিতে হবে। এবং এই জায়গাতে কি লিখবেন? সেগুলো জানতে হবে। এড্রেস নম্বর ১ মানে হল এখানে আপনার যদি বাসাবাড়ি থাকে তাহলে তার হোল্ডিং নম্বর।
এবং স্থানীয় অ্যাড্রেস থাকলে স্থানীয় পরিচয় দিতে হবে। অথবা বাসার নামটি লিখে দিতে পারেন। সম্পূর্ণ ডিসক্রিপশন দিতে পারবেন। আর যদি আপনি গ্রামে থাকেন তাহলে সে গ্রামের নামটি দিয়ে দিবেন, গ্রামের কোন জায়গায় থাকেন সেটি দিয়ে দিতে পারবেন। কোন সমস্যা নেই।
এরপর আছে অ্যাড্রেস নম্বর ২। এখানে প্রথমে আপনার পোস্ট অফিসের নাম দিতে হবে। অর্থাৎ যার আছে, সে ডাকঘরের নাম এর পরে দিতে হবে থানার নাম। অথবা উপজেলার নাম এতোটুকুই। এরপরে আর কিছু করতে হবে না। অনেক সময় এই একই জায়গায় Street Address থাকে। এরকম জিনিসগুলি সব একই। এখন পেপাল একাউন্ট খুলুন বাংলাদেশ থেকেই। ।
এরপরের City অপশনটিতে আপনার নিজের জেলার নাম দিয়ে দিতে হবে। আপনি যে জেলায় থাকেন সে জেলার নামটি দিবেন এতোটুকুই। আর Providence এই জায়গাটিতে আপনাকে এই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে, ছবিতে দেয়া আছে।
তারপর তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশন গুলো দেখে সে গুলোতে ক্লিক করে “Agree & Create Account” অপশনে ক্লিক করতে হবে। আরো বলে রাখি, যে পোস্টাল কোড অপশনটিতে কি লিখবেন? পোস্টাল কোড অপশনটি মূলত আপনার জায়গার একটি পোস্ট কোড। এটি একটি জিপ কোড।
আপনি আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড পেয়ে যাবেন। অথবা আপনার ভাই-বোন বা মা-বাবার আইডি কার্ড থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। আর হ্যা, ছবিতে আমি যেরকম পূরণ করছি, সেইম পূরণ করলেও হবে।
তারপর ২য় ফাকা স্থানে Business Services লিখে দিবেন। এরপর ৩য় অপশনে আমি যেটা সিলেক্ট করেছি সেটাই দিবেন।
এরপরে লিখা আছে আপনার ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তারিখটি কবে? যেহেতু আমরা পেপাল বিজনেস একাউন্ট খুলছি তাই এটি আসবেই। এরপরে গিইয়ে আমাদের তারিখটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।
Website না দিলেও অবে। এটি অপশনাল। পেপাল একাউন্ট খুলুন বাংলাদেশ থেকে, সিস্টেম খুবই সহজ।
দেখেন আমার নতুন একাউন্ট তৈরী হয়ে গেল। কেউ যদি বলেন পেপাল বিজনেস একাউন্ট খুলবো? হ্যা, এটাই সবচেয়ে বেস্ট হয়। কারণ এখানে বেশি সুযোগ সুবিধা। চাইলে গুগলে সার্চ দেন paypal business acc vs personal acc
এছাড়াও আপনার ফোন নম্ব্র ভেরিফাই করে নিতে হবে, টু-অথোনিকেশন এড করা লাগবে। এখানে ড্রাইবিং লাইসেন্স অথবা জাতীয় আইডি কার্ড সেট করা যায়। কাজেই ঐটিও করে নিতে পারেন।
পরবর্তীতে আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডটি যোগ করে নিবেন। ব্যাংক একাউন্ট যোগ করার ক্ষেত্রে ব্যাংকের বিসনেস একাউন্ট যোগ করা লাগবে। আমি সাজেস্ট করবো ইসলামী ব্যাংক এড করা যাতে পারে।এক্ষেত্রে কি কি এড করা যেতে পারেঃ
কোনো রকমের ভুল ইনিফরমেশন দেয়া ঠিক হবে না। তাতে পেপাল একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার চান্স থাকে। আপনি বাংলাদেশি বলে যে বন্ধ করে দেবে তা না। আপনার ইনফরমেশন ঘাটতি অথবা সম্পুর্ণ ভেরিফাই না করালে একাউন্ট বন্ধ করে দিবে। ধন্যবাদ।
চলুন, পেপাল বিজনেস একাউন্ট তৈরী করার সম্পুর্ণ টিউটোরিয়াল দেখার আগে কিছু দরকারী বিষয় সম্বন্ধে জেনে নিই। বোরিং লাগলে একটু এগিয়ে পড়ুন।
পেপাল কি?পেপাল হলো কারেন্সী আদান প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক মানের পেমেন্ট মেথড। এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে বিশ্বের বেশিরভাগ ওয়েবসাইটে কারেন্সী আদান-প্রদান করা খুবই সহজ হয়েছে। উন্নত দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই নিজের একটি পেপাল একাউন্ট থাকে।
বাংলাদেশে কি পেপাল একাউন্ট সাপোর্ট করে?
বাংলাদেশে পেপাল পারসোনাল একাউন্ট সাপোর্ট করে না।তবে বিজনেস একাউন্ট সাপোর্ট করে। আজ আমি এ সম্বন্ধেই লিখতে যাচ্ছি। ছবিসহ টিউটোরিয়াল আকারে।বাংলাদেশে থেকে যে পেপাল একেবারেই তৈরি করা যায় না, এরকম না। বরং বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার সময় কোনো বাংলাদেশী নম্বর এলাও করে না।পেপাল একাউন্ট খুলুন বাংলাদেশ থেকে বৈধ উপায়েঃ
এর আগে একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে নিই। এখানে শুরুতেই বলে নিচ্ছি, পেপাল একাউন্ট খোলার জন্য আমি কোনোরুপ প্রতারণা করি নি, করার প্রশ্নই আসে না।অতঃপর আমি কোনো পারসোনাল একাউন্ট খুলতে যাই নি। বরঞ্চ একটি পেপাল বিজনেস একাউন্ট খুলতে যাচ্ছি। আপনারা তো জানেনই, পেপাল বিজনেস একাউন্টের সুযোগ সুবিধা সবচেয়ে বেশি। না জানলে গুগলে সার্চ করে দেখুন।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক। এর জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো একে একে অনুসরণ করবেন। আশাকরি আপনারও একটি পেপাল একাউন্ট হবে।
ধাপ ১ঃ
প্রথমে আপনাকে যেকোনো ওয়েব ব্রাউজারে যেতে হবে। যেমনঃ গুগল ক্রোম অথবা অপেরা মিনি ব্রাউজার ইত্যাদি। ব্রাউজার এ গিয়ে প্রথমে আপনাকে google.com লিখে সার্চ করতে হবে। মানে গুগলের ওয়েবসাইটে যেতে হবে।পড়ুনঃ
- টাকা আয় করার apps
- অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায়?
- অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১।
- কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়?
সেখানে গিয়ে আপনি চাইলে “Create a PayPal Account ” সম্পূর্ণ ওয়ার্ড লিখে সার্চ দিতে পারেন। অথবা চাইলে এখানে ক্লিক করে সরাসরি পেপাল একাউন্ট সাইন আপ করার ঠিকানায় চলে যেতে পারেন।
Sign Up link: https://www.paypal.com/bizsignup/
ধাপ ২ঃ
পেপাল একাউন্টের ওয়েবসাইটে আসার পর সেখানে সাইন আপ করার বা রেজিস্ট্রেশন করার ২টি অপশন দেখাবে। প্রথমে “Personal Account” রেজিস্ট্রেশন করার ইন্টারফেস দেখাবে। সাথে দেখাবে একটি “Business Account” তৈরি করার ইন্টারফেস। আমি যা করছি আপনাকে তাই করতে হবে। Business Account অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।অপশনে ক্লিক করার পর কিছুক্ষণ লোডিং নেবে। 1 থেকে 2 সেকেন্ডের মত সময় নিবে। তারপর নতুন ইন্টারফেসটি নিচের ছবিটির মত দেখাবে।
ফরম ১ঃ Sign up for a Business account
এখানে আপনার একটি ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে হবে। তার মানে হল যে কোন জিমেইল এড্রেস আপনি খালি জায়গায় বসাতে পারবেন। আপনি যেই জিমেইল এড্রেস দিয়ে একাউন্ট খুলতে চান সেটি বসাবেন।
জিমেইল একাউন্ট বসিয়ে নিলে, নিচের Sign Up অপশন টি ক্লিক করে দিবেন। নতুন একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। সেখানে বলবে, আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য একটি পাসওয়ার্ড দিতে। পাসওয়ার্ডটি কিভাবে দিবেন সেটি বলে দিচ্ছি। যে কোন পাসওয়ার্ড দিলে হবেনা। ভালো এবং স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
পড়ুনঃ
যেখানে বড় হাতের অক্ষর, মানে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষর এবং ছোট হাতের অক্ষর এর মিশ্রণ থাকবে। সাথে ক্যারেক্টার থাকবে যেমনঃ @ একটি ক্যারেক্টার। এটা আপনাকে পাসওয়ার্ডের মধ্যে অবশ্যই রাখতেই হবে। আর সাথে নম্বরের ব্যবহার করতে হবে। মানে ইংরেজি অক্ষরের সাথে সাথে আপনাকে ইংরেজি নম্বরও পাসওয়ার্ডের মধ্যে দিতে হবে। পাসওয়ার্ড এর দৈর্ঘ্য কমপক্ষে 8 থেকে 9 ওয়ার্ডের হতে হবে।পাসওয়ার্ডটি সুন্দর মত বসিয়ে, ক্লিক করে দিলেই আপনার জন্য আরেকটি ফরম খুলে আসবে।
ফরম ২ঃ Tell us about your Business
সেখানে আপনার Business Details জানতে চাইবে। ফরমটি তে কি কি বসাবেন তা নিয়ে আলোচনা করা যাক। প্রথমেই দেখতে পাচ্ছেন Business Contact নামে একটি অপশন এসেছে। এখানে আপনার নাম বসাতে হবে। এবং একদম লিগ্যাল নামটিই বসাতে হবে। আপনার আসল নামটি বসাবেন।First Name এর জায়গায় আপনার নামের প্রথম অংশ। এবং Second Name এর জায়গায় আপনার নামের দ্বিতীয়াংশ বসাবেন।
এরপরে বিজনেস ডিটেইলস বলার একটা অপশন আছে। সেখানে আপনাকে বিজনেস নেম বসাতে হবে। মানে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর নাম কি সেটিই বসাবেন।
যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তাহলে সেই সাইটের যে টাইটেল নামটা আছে সেটা দিয়ে দিতে পারেন। আর যদি না খুলে থাকেন তাহলে নিজের মনের মতো করে একটি বিজনেস নেম দিয়ে দেন। সাথে LLC, LTD এরকম কিছু লাগিয়ে দিলেই হবে। বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্বন্ধে জানুন।
পরবর্তীতে Business Phone No. অপশনটিতে আপনার ফোন নম্বরটি দেয়ার জন্যই বলছে। যদি বাংলাদেশী ফোন নম্বরও হয়, তা হলে সমস্যা নেই। আপনি শুধু নিজের মত করে ফোন নম্বর দিয়ে দিবেন। এবং নিজের ফোন নম্বরটিই দিবেন। আর হ্যা নম্বরের গঠনটা কিছুতে এরকম হতে হবে। +88017********
এর পরের ধাপে আপনাকে বিজনেস এড্রেস দিতে হবে। সেখানে অ্যাড্রেস নম্বর 1 অ্যাড্রেস নম্বর 2 এরকম অপশন আছে। যেটা বেশিরভাগ মানুষ দেখে ঘাবড়ে যায়। এবং না বুঝে এটি দেখে আর সাইনআপ করতে যায় না। অথবা এই অপশন গুলো ঠিকমতো পূরণ করতে পারে না। ভুলভাল পূরণ করে রাখে। কিন্তু এসব দেখে ঘাবড়ানোর কোন দরকার নেই।
কারন এই অপশন গুলো পূরণ করা খুবই সহজ। আপনাকে অ্যাড্রেস লাইন 1 অ্যাড্রেস লাইন টু এগুলো কি? এ সম্বন্ধে ধারণা নিতে হবে। এবং এই জায়গাতে কি লিখবেন? সেগুলো জানতে হবে। এড্রেস নম্বর ১ মানে হল এখানে আপনার যদি বাসাবাড়ি থাকে তাহলে তার হোল্ডিং নম্বর।
এবং স্থানীয় অ্যাড্রেস থাকলে স্থানীয় পরিচয় দিতে হবে। অথবা বাসার নামটি লিখে দিতে পারেন। সম্পূর্ণ ডিসক্রিপশন দিতে পারবেন। আর যদি আপনি গ্রামে থাকেন তাহলে সে গ্রামের নামটি দিয়ে দিবেন, গ্রামের কোন জায়গায় থাকেন সেটি দিয়ে দিতে পারবেন। কোন সমস্যা নেই।
এরপর আছে অ্যাড্রেস নম্বর ২। এখানে প্রথমে আপনার পোস্ট অফিসের নাম দিতে হবে। অর্থাৎ যার আছে, সে ডাকঘরের নাম এর পরে দিতে হবে থানার নাম। অথবা উপজেলার নাম এতোটুকুই। এরপরে আর কিছু করতে হবে না। অনেক সময় এই একই জায়গায় Street Address থাকে। এরকম জিনিসগুলি সব একই। এখন পেপাল একাউন্ট খুলুন বাংলাদেশ থেকেই। ।
এরপরের City অপশনটিতে আপনার নিজের জেলার নাম দিয়ে দিতে হবে। আপনি যে জেলায় থাকেন সে জেলার নামটি দিবেন এতোটুকুই। আর Providence এই জায়গাটিতে আপনাকে এই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে, ছবিতে দেয়া আছে।
তারপর তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশন গুলো দেখে সে গুলোতে ক্লিক করে “Agree & Create Account” অপশনে ক্লিক করতে হবে। আরো বলে রাখি, যে পোস্টাল কোড অপশনটিতে কি লিখবেন? পোস্টাল কোড অপশনটি মূলত আপনার জায়গার একটি পোস্ট কোড। এটি একটি জিপ কোড।
আপনি আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড পেয়ে যাবেন। অথবা আপনার ভাই-বোন বা মা-বাবার আইডি কার্ড থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। আর হ্যা, ছবিতে আমি যেরকম পূরণ করছি, সেইম পূরণ করলেও হবে।
ফরম ৩ঃ Describe Your Business:
এখানে একাউন্ট তৈরীর জন্য বিজনেস এর ভালো ডেসজ্রিপশন দিতে হবে। ছবিতে আমি যেভাবে দিচ্ছি, সেভাবে দিকেও হবে। এতে সিউর একাউন্ট খুলবে। প্রথমত Business Type Individual সিলেক্ট করে দিবেন।তারপর ২য় ফাকা স্থানে Business Services লিখে দিবেন। এরপর ৩য় অপশনে আমি যেটা সিলেক্ট করেছি সেটাই দিবেন।
এরপরে লিখা আছে আপনার ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তারিখটি কবে? যেহেতু আমরা পেপাল বিজনেস একাউন্ট খুলছি তাই এটি আসবেই। এরপরে গিইয়ে আমাদের তারিখটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।
প্রযুক্তি বিষয়ক লিখাঃ
Website না দিলেও অবে। এটি অপশনাল। পেপাল একাউন্ট খুলুন বাংলাদেশ থেকে, সিস্টেম খুবই সহজ।
ফরম ৪ঃ Tell us more about you
এখানে প্রথমে আপনার জন্ম তারিখ দিতে বলবে, সেটি পূরন করে দিবেন। What is your occupation অপশনে Business সিলেক্ট করে দিবেন। Home Address এ এসে home address is the same as business address এ টিক দিবেন। এখন হয়ে গেল।দেখেন আমার নতুন একাউন্ট তৈরী হয়ে গেল। কেউ যদি বলেন পেপাল বিজনেস একাউন্ট খুলবো? হ্যা, এটাই সবচেয়ে বেস্ট হয়। কারণ এখানে বেশি সুযোগ সুবিধা। চাইলে গুগলে সার্চ দেন paypal business acc vs personal acc
পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই্ড করার নিয়মঃ
পেপাল একাউন্ট একবার তৈরি হয়ে গেলে এটিকে সম্পুর্ণ রুপে ভেরিফাই করে নিতে হবে। এখানে আপনার প্রোফাইল সেট করা থেকে শুরু করে পার্সোনাল ইনফমেশন দিতে হবে।এছাড়াও আপনার ফোন নম্ব্র ভেরিফাই করে নিতে হবে, টু-অথোনিকেশন এড করা লাগবে। এখানে ড্রাইবিং লাইসেন্স অথবা জাতীয় আইডি কার্ড সেট করা যায়। কাজেই ঐটিও করে নিতে পারেন।
পরবর্তীতে আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডটি যোগ করে নিবেন। ব্যাংক একাউন্ট যোগ করার ক্ষেত্রে ব্যাংকের বিসনেস একাউন্ট যোগ করা লাগবে। আমি সাজেস্ট করবো ইসলামী ব্যাংক এড করা যাতে পারে।এক্ষেত্রে কি কি এড করা যেতে পারেঃ
১। জাতীয় পরিচয়পত্র।
২। ড্রাইবিং লাইসেন্স (যদি থাকে)।
৩। ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ড।
কোনো রকমের ভুল ইনিফরমেশন দেয়া ঠিক হবে না। তাতে পেপাল একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার চান্স থাকে। আপনি বাংলাদেশি বলে যে বন্ধ করে দেবে তা না। আপনার ইনফরমেশন ঘাটতি অথবা সম্পুর্ণ ভেরিফাই না করালে একাউন্ট বন্ধ করে দিবে। ধন্যবাদ।
এই নিয়মে আমি খুলেছিলাম, কয়েকদিন পর আমার ডলার সহ পেপাল একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
ReplyDeleteদুঃখিত, শুনে খারাপ লাগলো। তার আগে বলুন আপনি কি একাউন্টটি ব্যাংকের বিজনেস একাউন্টের সাথে এড করেছিলেন। আবার একাউন্ট হয়ে গেলে সম্পুর্ন ভেরিফিকেশনও করতে হয়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান কমেন্টের জন্য
Deleteদারুন!!!!
ReplyDeleteধন্যবাদ, কোনো সমস্যাগ্রস্ত হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ReplyDeleteBhi amar to jip code nai
ReplyDeleteZIP কোড অবশ্যই আছে। আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডে পোস্টাল কোড/ পোস্ট কোড নামক অপশনে দেখুন।
Deleteএখানে SSN কি দিব। মানে বুঝলাম না।
DeleteGive me your mobile number please
ReplyDeletePlease Contact me throw my G-mail: naimulislam8483@gmail
Deleteএখানে country তে কোন দেশ সিলেক্ট করব??
DeleteBangladesh
DeleteVerify করতে পারছিনা
ReplyDeleteভেরিফাই করতে আপনার ক্রেডিট/ডেবিট ও NID Card এর Jpeg ফাইল লাগবে।
Deleteভাই পেপালে টাকা বিকাশে উইথড্র করা যায় কি
ReplyDeleteদুঃখিত, পেপালের টাকা বিকাশে উইথড্র করা যায় না। তবে আপনি পেপালের ডলার সেল করতে পারেন। BDCoinex সাইট থেকে এক্সচেঞ্জ করানো যায়। আবার বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে সেল করা যায়। ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য
Deleteভাই,ভেরিফাই নিয়ম টা বলেন,আর পেপাল থেকে কি ইসলামী ব্যাংক উিথড্র হবে।
ReplyDeleteভেরিফাই করার নিয়ম শীঘ্রই বলব। আর পেপাল থেকে ব্যাংক ট্রান্সফার করা যাবে।
Deleteলিংকিং করতে নিষেধ করা হয়েছে। কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ
ReplyDeleteআমার পোষ্টাল কোডটি ইনভ্যালিড দেখাচ্ছে কেন
ReplyDelete৪ ডিজিটের পোস্টাল কোড আবার ইনিভ্যালিড হবে কেন? এন আইডি কার্ডে চেক করুন।
Deleteআপনি বলেছেন, নিজস্ব পোস্টাল কোড দিতে, কিন্তু আপনার ছবিতে দেখিয়েছেন এ্যলবার্তার পোস্টাল কোড!!!
ReplyDeleteআমার পোষ্টাল কোডটি ইনভ্যালিড দেখাচ্ছে, আমি কি আপনার মতো অন্য পোস্টাল কোড ব্যাবহার করতে পারি?
পোস্টাল কোড ভুল হওয়ার কথা না। আপনি চাইলে অন্য এলাকার পোস্টাল কোড ব্যবহার করতে পারেন, যেট আপনার পরিচিত এলাকা
Deleteএককথায় অসাধারণ পোস্ট।
ReplyDeleteখুব ইনফরমেটিভ ও সাবলীল ছিলো।
এগিয়ে যাও।
link den
ReplyDeleteভাই ইসলামী bank এর visa কাড এর মাধ্যমে paypal এর টাকা তুলা যাবে?
ReplyDeleteবাংলাদেশে পেপাল সমর্থিত না। তাই সম্ভবত এটা হবে না
DeleteNID card dake Postal code dichi nicha na ki korbo
ReplyDeleteঅন্য কোনো পরিচিত থানার পোস্টাল কোড ব্যবহার করুন।
Deleteভাই পোস্ট কোড 5216 দেয়ার পরেও পোস্ট কোড ইনভেলিড দেখাচ্ছে। এখন কি করা যায়?
ReplyDeleteকোন কোড জানতে চাইছে সেটা খেয়াল করুন। এমনও হতে পারে, অন্য কোড চাইছে। আর আগে দেশ সিলেক্ট করে নিবেন ঠিক ঠাক ভাবে।
DeleteVery useful sharing. Thank you very much 💖.I think it's excellent and helpful.
ReplyDeleteধন্যবাদ, খুব অনুপ্রেরণা পেলাম।
DeleteVai ami to Graphics Design,Web Design ar account khulta cai akhon ki korbo
ReplyDeleteগ্রাফিক ডিজাইন অথবা ওয়েব ডিজাইনের কাজে পেমেন্ট নেয়ার জন্য পেউনার, পেপাল দুটোই ভালো হবে আপনার জন্য।
DeleteVai, ssn number pabo kotay
ReplyDeleteভাই যদি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং দাড়া হবে
ReplyDeleteমোবাইল ব্যাংকিং নয়, ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন এখানে।
Deleteভাই আমার কোনো ব্যাংক একাউন্ট নাই কিন্তুু আইডি কার্ড আছে তাতে কি আমি ভেরিফাই করতে পারবো
ReplyDeleteভেরিফাই করতে দুটোই প্রয়োজন আছে।
DeleteVery useful post,But Dutch-Bangla Bank er Shopping Card ki Allow korbe? Thanks.
ReplyDeleteএখানে কোনো ব্যাংক এড্রেস যুক্ত করানো যায় পেমেন্ট সিকিউর করার জন্য।
Delete