কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করা ২০২১
ডো-ফলো আর নো-ফলো লিংক এর বেসিকগুলো জানুন। অফ পেজ এসইও এর জন্য অতীব দরকারী হলো ব্যাকলিংক। “হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করা” এ টিউটোরিয়ালে ২টি পর্ব করব। ব্যাকলিংক পর্বে আমি দেখাবো কিভাবে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরী করবেন তার ২০টি উপায়। প্রতি পর্বে ১০টি করে উপায় বর্ণনা করব।
কারো কাছে প্রশ্ন থাকতে পারে, এ সম্বন্ধে ভালো জানলে আমি নিজে কেন হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরী করে সাইটের অফ পেজ করাই না। উত্তর হলোঃ কোনো কিছু জানা আর কাজটি করা তো এক না। আমি আপাতত ব্লগ সাইটের অন-পেজ এসইও তে নজর দিচ্ছি।
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক ওয়েবসাইট র্যাংক করাবার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। গুগল সার্চ রেজাল্টে প্রথম পৃষ্ঠায় সাইট আসার অন্যতম কারণ হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক থাকা।
ওয়বসাইট ব্র্যান্ডিয়ে ব্যাকলিংকঃ
প্রথমত গুগল আপনার ওয়েবসাইটের ডো-ফলো লিংক অন্যান্য উন্নত ওয়েবসাইটে আছে কিনা তার উপর ভিত্তি করে আপনার সাইটের ব্র্যাংডিং হিসেব করে। ডো-ফলো আর নো-ফলো লিংক এই বেসিকগুলা জানা আছে আশাকরি। যখন অন্যান্য হাই কোয়ালিটির ওয়েবসাইট আপনার সাইটের লিংকিং করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইট সম্বন্ধে পজিটিভ সিগন্যাল গ্রহণ করে।
আরও পড়ুনঃ
এখন লিংক ব্যাক পাওয়ার পদ্ধতি একেবারে সিম্পল না। কিংবা রাতারাতি সাইটের জন্য বেশি বেশি ব্যাংকলিংক পাবেন না। তবে এর অনেকগুলো উপায় আছে। আপনার জন্য উপায়গুলো সহজ ও সুবিধাজনক মনে হলে ট্রাই করে দেখতে পারেন। দৈনিক সর্বোচ্চ ৫ টি ব্যাকলিংক নিলেই যথেস্ট। শুরুতেই এভাবেই কাজ করতে হয়। আমি এই পর্বে আর্টিকেল রিলেটেড হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার উপায় নিয়েই আলোচনা করবো। তাই প্রস্তুত হয়ে নিন!
ওয়েবসাইট কন্টেন্টই আপনার ওয়েবসাইটের মূল উৎস। এটাই হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার উপায় সুগম করে।
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার ১০টি পদ্ধতিঃ
১। নিজের ওয়েবসাইটে হাই কোয়ালিটির কন্টেন্ট বা আর্টিকেল পাব্লিস করুনঃ
লিংকিং (আর্টিকেল এর লিংক করা) করবার আগে এটা নিশ্চিত করুন যে, আপনার সাইটে যথেস্ট হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল আছে। আপনার আর্টিকেল অন্যান্য সাইটগুলো অনুধাবণ করে তারপর ব্যাকলিংক দিতে চাইবে। যখন আপনার সাইটে লো-কোয়ালিটির কন্টেন্ট পাবে, একটা আলাদা আকর্ষনীয় ভাব খুজে পাবে না, তখন কোনো সাইটই আপনার সাইটকে অথোরাইজড বা ভালো ব্র্যান্ড হিসেবে ভাববে না। এখন যদিওবা আপনি গেস্ট ব্লগিং করুন না কেন, তেমন লাভ হবে না।
২। নিজের অরিজিনাল রিসার্চ থেকে কন্টেন্ট তৈরী করুন।
মৌলিক পোস্ট লিখার চেস্ট করুন। যখন আপনি অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো টপিক্সের কনসেপ্ট চুরি করেন, তখন সেটা ইউনিক পোস্ট হলেও মৌলিক পোস্ট হয় না। মৌলিক পোস্ট মানে নিজের রিসার্চ করা পোস্ট। ইন্টারনেটের শতকরা ৩০ ভাগ পোস্টই মৌলিক। কারো ওয়েবসাইট থেকে কনসেপ্ট চুরি করলে সেটা মৌলিক হয় না। কারণ এটা ইন্টারনেটে এভেলেবল আছে। সেটা যদিওবা আপনি কপি-পেস্ট নাই করেন না কেন। যদি চান অন্য সাইটে আপনার লিংক এড করা হোক, তাহলে আমি যা বলছি সেটা করুন।
আরও পড়ুনঃ
- ইউটিউব থেকে আয় করার সম্পুর্ণ গাইডলাইন।
- ব্লগিং করে আয়। কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো?
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন ও শিখুন
আর্টিকেল লিখার সময় এর উপর ভিত্তি করে যেকোনো জরিপ কিংবা তথ্য নিয়ে , কেসটি (Case) এনালাইস করে সম্পুর্ণ ভিন্নধর্মী একটি আর্টিকেল লিখবার চেস্টা করুন। প্রতি ১০টা আর্টিকেল এর মধ্যে অন্তত পক্ষে একটা আর্টিকেল এভাবে লিখার চেস্টা করুন । দেখবেন, যে আর্টিকেলটি এভাবে লিখছেন সেটির এসইও হয়ে গেছে। ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায়। কারণ এটি আপনার রিসার্চ করা আর্টিকেল। কেউ এই টপিকের উপর কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আপনার সাইট-ই- আসবে।
আপনি গেস্ট ব্লগিং করেও এতো ব্যাকলিংক তৈরী করতে পারবেন না! লোকজন আপনার লেখাটি শেয়ার করলে যত কোয়ালিটি ব্যাকলিংক আসবে। হোক না ইউনিক ভিজিটর ৫ জন, কিংবা ১০ জন। তাদের মধ্যে শেয়ার পেলেই তো আপনার সাইটের গ্রো হবে।
আমরা অনেকেই কোরা (Quora), বিস্ময় এসব সাইটে বসে থাকি প্রশ্নোত্তর দিয়ে সাইটে ভিজিটর আনতে। একবার আর্টিকেল কোয়ালিটি বাড়িয়ে তার লিংক কোরা, পিন্টারেস্ট ,সোশ্যাল মিডিয়ায় পাব্লিস্ করুন। দেখবেন, ভিজিটরের সাথে ভালো আর্টিকেল শেয়ারও আসবে।
৩। বিস্তারিত ও গভীর জ্ঞান অন্বেষণ করে কন্টেন্ট লিখুন।
শুধু মাত্র কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার কথা বলছি। কাজেই এখানেও একই কথা । হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাবার অন্যতম উপায় আর্টিকেল এর উৎস অনেক বেশি বিস্তৃত ও মানসম্মত হওয়া।
একটি মানস্মমত আর্টিকেলে প্রধান অংশগুলো কি কি?
বিস্তারিত বর্ণনাঃ সম্পুর্ণ আর্টিকেল টির একটি ডিটেইল বর্ণনা থাকে। যে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন তার আগা-গোড়া সবকিছু শেয়ার করার চেস্টা করুন। যেমনঃ এসইও নিয়ে ব্লগ লিখছেন। আপনি সম্পুর্ণ এসইও এর বাপ-দাদা-চৌদ্দগুষ্ঠি নিয়ে লিখলেন। অপরদিকে অন্যান্য ব্লগসাইট এসইও নিয়ে আংশিক-আংশিক লিখে রাখে। যদি আপনার আর্টিকেলে সম্পুর্ণ এসইও শেখার টিউটোরিয়াল পেয়ে যায়, তাহলে ভিজিটরদের অন্যান্য ব্লগে গিয়ে গিয়ে আংশিক পড়বার দরকার কি? এখানে প্রোফাইল ব্যাকলিংক তৈরি করা যেতে পারে।
এছাড়াও উচ্চ-মূল্যের গাইউ পাব্লিস, সম্পুর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা,চ্যাকলিস্ট ইত্যাদি কন্টেন্টের কোয়ালিটি বাড়ায়। তাহলে দেখবেন, অন্যান্য ওয়েসবসাইটগুলা আপনার আর্টিকেলের লিংকিং করবে।
৪। আর্টিকেল সবসময় লিস্ট আকারে প্রকাশ করুন।
আডিয়েন্সরা ঐসব পোস্ট ভালোবাসে, যেগুলো সুন্দর মতো লিস্ট করা থাকে। প্যারা করে আর্টিকেল লিখার চেয়ে লিস্ট করে আর্টিকেল লিখা অনেক ভালো! সহজেই আর্টিকেল বুঝে আসা লিস্ট করা আর্টিকেলের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ ধরনের আর্টিকেল হ্যান্ড-সেট কিংবা ডেস্কটপে পড়তে বেশ সুবিধা হয়।
পড়ুনঃ
- জিপি থেকে এমবি ট্রান্সফার করার নিয়ম।
- মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে ২০২১।
- ৬০০০ টাকার মধ্যে ভালো 4g মোবাইল।
- এসির দাম ২০২১।
এবার আসি আসল কথায়। যদি প্রোফাইল পেজ ব্যাকলিংক পেতে চান, তাহলে লিস্ট করে লেখা আর্টিকেলের ফাক-ফুকুরে একটা করে পোস্ট-লিংক দিয়ে দিবেন। বিশেষ করে বেশি ভিও পাওয়া আর্টিকেলের লিংক গুলো। একসাথে ৪-৫ টা আর্টিকেল লিংক দিয়ে দিলে, ভিজিটররা স্কিপ করে চলে যাবে। তাই পোস্টের ফাকে ফাকে ১টা করে দিবেন।
৫। ভিচুয়াল আর্টিকেল আপলোড।
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার জন্য কখনো কপি টেক্সটের দিকে ফোকাস দিবেন না। ভিচুয়ালি আর্টিকেল গুলাতে চার্ট, ভিডিও এবং ইনফো- গ্রাফিক্স এড থাকে। এগুলো গ্রাহকদের হাইলি- এটার্কট করে। মানে খুব বেশি আকর্ষণ করে। তাই ভিচুয়ালি আর্টিকেল এর দিকে নজর দিন। তারপরও কপি পেস্ট করে অন্যের আর্টিকেল চুরি করবেন না।
৬। ফ্রেস কন্টেন্ট এর পুরো লাইব্রেরী তৈরী করুন
চিরসবুজ কিংবা ফ্রেস আর্টিকেল গুলো থেকে ব্যাকলিংক পাওয়ার চান্স প্রায় ৩০ ভাগ থাকে। ভিজিটর থেকে শুরু করে, কোনো সাইট আপনার আর্টিকেল লিংকিং করবে শুধুমাত্র আপনার কন্টেন্টের মান ও এর সজীবতা দেখে। চিরসবুজ আর্টিকেল বলতে বুঝিয়েছি গুছানো যেকোনো আর্টিকেল বা কন্টেন্ট।
৭। সংবাদ-খবর অথবা ট্রেন্ডিং টপিক ধরুন।
যেকোনো তাক-লাগানো খবর; সেটা যে নিউজ পোর্টালের খবর হবে তা নয়। বরং যেকোনো প্রযুক্তি বিষয়ক, ইন্টারনেট বিষয়ক তাক লাগানো খবরই ট্রেন্ডিং টপিকে পরিণত হয়। এসব ব্যাকিলিংক পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
মাঝে মধ্যেই এরকম আর্টিকেল রাখার চেস্ট করা উচিত। অন্যান্য নিউজ-সাইটে এরকম আর্টিকেল এর লিংকিং করা হয়। অথবা এরকম পোস্টের শেয়ার কতো হবে সেটা একবার ভাবুন?
৮। আর্টিকেল লিংক করাকে আরো সহজ করুন
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার জন্য এটাকে লিংক করা সহজ করা উচিত। যেমনঃ আর্টিকেল এর ভিতর এইচ-টি-এম-এল স্নাইপেট লাগানো উচিত যাতে ইউজাররা সহজেই লিংক কপি করে নিতে পারে। এবং তারা নিজের মতো করে শেয়ার করতে পারে।
ভালো হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল আপনার আয় করার বিরাট সুযোগ হবে। এতে করে আপনি অর্গানিক্যালি পাব্লিসার পাবেন, যারা আপনার সাইটে লিংকিং করতে চাইবে। পাব্লিসারদের থেকে লিংক করা যেকোনো সাইটের জন্য উজ্জ্বল ভাব-মূর্তি বয়ে আনে। এতে করে ভালো পরিমাণে আয় করা যায়। এভাবেও ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়
৯। চ্যাক করুন আপনার কম্পিটিটররা কোথায় গেস্ট পোস্ট করছে।
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার আরেকটি উপায় হলো এলেক্সা কম্পিটিটর ব্যাকলিংক চ্যাকার রিপোর্ট থেকে কম্পিটিটরদের নজর রাখা। তাদের ব্যাকলিংক গুলো পর্যবেক্ষনে রাখা।
এলেক্সা রিপোর্টে কম্পিটিটরের ইউ-আর-এল দিলেই কোথায় তার ব্যাকলিংক আছে, সেগুলো জানা যাবে। আর এর জন্য রিপোর্টের একটা লিংকে ক্লিক করলেই আপনি কোনো ব্লগ সাইটে চলে যাবেন। আর সেখানেই গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমএ ব্যাকলিংক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এর জন্য একটি টুল এর লিংক দিচ্ছি। Ahraf Backlink Checker
গেস্ট ব্লগিং করতে চাইলে Jit.com এখানে গিয়ে করতে পারেন। এটি বাংলাদেশি ব্লগ সাইট। কম্পিটিটরদের উপর নজর রেখে ব্যাকলিংক তৈরি করা যেতে পারে।
১০। গেস্ট পোস্টে নিজের সাইটের নাম ম্যানশন করে লিংক তৈরী করুন।
সাইটের নাম ম্যানশন করা খুবই দরকারী। যদি নরমাল লিংক স্থাপন করে চলে যান, তাহলে লিংক গুলো স্কীপ হওয়ার চান্স থেকে যায়। যদি নিজের সাইট সম্বন্ধে একটু ধারণা দিয়ে লিংক এড করে দেন, তাহলে ভিজিটররা আকর্ষন অনুভব করবে। আবার গুগলও আপনার ব্র্যান্ড সম্বন্ধে এলার্ট থাকবে। এতে ব্যাকলিংক তৈরি করা আরও সহজ হবে।
গেস্ট ব্লগিংয়ে সতর্কীকরণ!
গেস্ট ব্লগিং করার আগে কোনো সাইটের ডোমেইন অথোরিটি চ্যাক করে নিয়েন। যেখানে-সেখানে ব্যাকলিংক দিবেন না, বরঞ্চ আপনার টপিকের সাথে মিল যায় এমন সাইটে গিয়ে ব্যাকিলিংক দিবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ
khub valo hoyeche..
ReplyDeletebest of luck..
This comment has been removed by the author.
Deleteonek sundor hoyeche.....
ReplyDeleteektu space maintain korle aro valo hoto....
jemon
৮।আর্টিকেল লিংক করাকে আরো সহজ করুন
না লিখে ৮ এর পর স্পেস দিলে আরো নির্ভুল হতো।
তারপর ও অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ, যা বলছো, তাই করবো।
DeleteHi vaiya dhonnobaad ei article ta pode onek kico noton Janlam .amar ekta prosno. Bangladesh e er English keywords golo te Jodi Bangla i article likhi tahole ki rank koraite parbo ?vai ans ta dile khob opokar hobe amar
ReplyDelete